তাহলে কি বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতেই সুপ্রীম কোর্টের সামনে মূর্তি বসানো হয়েছিলো ?
সিরিয়া ধ্বংস, ইরাক ধ্বংস, আফগানিস্তান ধ্বংস। বাংলাদেশও কি ধ্বংস হয়ে যাবে ??
কি করলে ধ্বংস হবে ? কিভাবে ধ্বংস হবে ??
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় প্রত্যেকটি দেশ ধ্বংস হওয়ার শুরুটা একটা ছোট উপলক্ষ দিয়েই হযেছে, যার পেছনে ছিলো সম্রাজ্যবাদীরা।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় প্রত্যেকটি দেশ ধ্বংস হওয়ার শুরুটা একটা ছোট উপলক্ষ দিয়েই হযেছে, যার পেছনে ছিলো সম্রাজ্যবাদীরা।
বিষয়টি টেনে আনছি, বর্তমান সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি সরানোর ঘটনা নিয়ে। আপনারা দেখেছেন, মূর্তি সরিয়ে ফেলার সময় বিতর্কিত সাংবাদিক মুন্নীর সাহার উত্তেজক বক্তব্য দিয়েছে। বিতর্কিত বলতে হচ্ছে, কারণ ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের সময় এই মুন্নী সাহার ভূমিকা ছিলো নেগেটিভ। পিলখানায় বিদ্রোহ শুরুর পর সে হঠাত লাইভ অনুষ্ঠান শুরু করে, তার অনুষ্ঠান দেখে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার কিছু কিছু অংশে সেনা-বিডিআর রক্তারক্তি শুরুও হয়ে যায়।
বিষয়টি কতটুকু ভয়াবহ চিন্তা করেছেন একবার ? পিলখানার বিদ্রোহ যদি একবার সীমান্ত এলাকায় পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়তো, তবে সীমান্ত হয়ে যেতো অরক্ষিত, তখন বিনা বাধায় বাংলাদেশকে দখল করে নিতো ভারত। আমরা এমন সাংবাদিকতা চাই না, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হরণ করতে পারে। এবং সত্য বলতে মুন্নী সাহা সেই ধরনের সাংবাদিকতা করে যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণের জন্য যথেষ্ট। সেই মুন্নী সাহা যখন গণমানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে সুপ্রীম কোর্টের মূর্তির সরিয়ে নেয়ার বিরুদ্ধে উস্কানি দেয় তখন তার এজেন্ডা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।
একইভাবে যে মৃনাল হক মূর্তিটি বানালো তার পরিচয়ও কিন্তু সবার জানা উচিত। মৃনাল হক হচ্ছে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আমিনুল হকের আপন শ্যালক। যেই আমিনুল হক ছিলো জেএমবি‘র অন্যতম পৃষ্ঠপোষক, এবং এই কারণে একাধিক মামলার রায়ে আমিনুল হকের ৯০ বছরের জেল হয়, বর্তমানে সে পলাতক। মৃনাল হক প্রায় বলে- আমেরিকা সরকার তাকে নিউইয়র্কের বিউটিফিকেশনের দায়িত্ব দিয়েছিলো। এ কথা তো আরো ভয়ের কারণ। কারণ আমরা জানি, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠের মূল পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে আমেরিকা নিজেই, সেই এদের অজুহাত দিয়ে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্র ধ্বংস করে। সেই আমেরিকার সরকার পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া মৃণাল হক বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে বলে মনে হয় না । ভালোভাবে খোঁজ নিলে দেখা যাবে, আমেরিকাই তাকে পাঠিয়েছে বিভিন্ন স্পটে মূর্তি বানিয়ে উস্কানি সৃষ্টির জন্য, যাকে অজুহাত করে বাংলাদেশে আইএস অস্তিত্ব প্রমাণে আমেরিকার সুবিধা হবে, পরবর্তীতে আমেরিকা কি করবে সেটা আর নাই বললাম।
ইতিহাস বলে, ৭১ -এ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিলো পাকিস্তানী বাহিনী। মাধামোটা পাকিস্তানী শাসকদের দাবি- বাংলাদেশের (পূর্ব পাকিস্তান) সব মানুষ নাকি হিন্দু হয়ে গেছে।
পাঠক ! ভালোভাবে লক্ষ্য করুণ, বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু তখনও ধর্মপ্রাণ ছিলো, কিন্তু এই কথাগুলো রটানোর উপলক্ষ ছিলো এই কথিত সংস্কৃতিবাদী গোষ্ঠীর বিকর্তিক কিছু কার্যক্রম। এরা ১৯৬১-১৯৬৭ পর্যন্ত বাংলাদেশে ব্যাপকহারে রবীন্দ্র চর্চা শুরু করে । রবীন্দ্রনাথ ভারতের জাতীয় কবি হওয়ায় পাকিস্তান সরকার বিভিন্ন আইন করে রবীন্দ্রচর্চা বন্ধ করতে চাইছিলো, কিন্তু তারা সেটা ভেঙ্গে বার বার পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠীকে উস্কাচ্ছিলো। এখানে লক্ষণীয় পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন মুসলমানদের কিন্তু মোটেও রবীন্দ্রনাথকে প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু এই সংস্কৃতিবাদীরা অযথাই রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আন্দোলন করে পুরো বাংলাদেশের মানুষকে পাকিস্তানী শাসকদের কাছে হিন্দু বানিয়ে দেয়। আপনি হয়ত বলতে পারেন, এর মাধ্যমে তো আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পেয়েছি। জ্বি পাঠক, পেয়েছি। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে এজন্য ৩০ লক্ষ সাধারণ মানুষকে খেসারত দিতে হয়েছিলো। বলাবাহুল্য যারা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আন্দোলন করেছিলো, তারা কিন্তু ঠিকই যুদ্ধের সময় কলকাতায় পালিয়েছিলো। অর্থাৎ গুটি কয়েক রবীন্দ্রভক্তের দায়ভার বহন করতে হয়েছিলো ৩০ লক্ষ মানুষকে।
ঠিক তেমনি, এই যে সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তির পক্ষে এত আন্দোলন চলছে এটা কি দরকারী কোন কিছু ? এই মূর্তি ছাড়া কি সুপ্রীম কোর্টে এতদিন ন্যায় বিচার হয়নি ?? অ্যার্টোনি জেনারেলের রেফারেন্সে শুনেছি সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের এক সভায় মূর্তিটি সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিছুদিন আগে, আইনজীবিদেরও দেখলাম মূর্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে। সুপ্রীম কোর্টের মূল অধিবাসীরাই যখন মূর্তির বিরুদ্ধে, তখন বাইরে থেকে এই মূর্তির পক্ষে উস্কানি কেন ? যারা উস্কানিগুলো দিচ্ছে তারাই বা কে ? কি তাদের উদ্দেশ্য ?? তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডের ইতিহাস কি ? এ সব অপ্রয়োজনীয় কাজের মাধ্যমে অরাজকতা করে দেশকে কোন দিকে ঠেলে দিতে চাইছে তারা ??
সব হিসেব মিলিয়ে ফেলুন। দেখবেন একটি রেজাল্টই বের হয়ে আসবে- সুপ্রীম কোর্টে গ্রিক মূর্তি বসানোর পেছনে ছিলো গভীর ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানিয়ে সম্রাজ্যবাদীদের খাদ্যে পরিণত করতে চেয়েছিলো এরা। বাংলাদেশকে পরিনত করতো সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানের মত ধ্বংসস্তুপে।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments