মুসলমানদের প্রথম যুদ্ধের নাম ছিলো বদর যুদ্ধ এই বদর যুদ্ধ কিন্তু রমজান মাসে সংগঠিত হয়েছিলো

গতকালকে পুনরায় গ্রিক দেবীর মূর্তি পুন:স্থাপন করে সরকার মুসলমানদের ফের আরেকটি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। রাতেই মুসলমানরা গ্রিক দেবীর মূর্তি পুন:স্থাপনের প্রতিবাদে প্রেসক্লাবে নেমে আসে। কিন্তু অতি দু:খজনক হচ্ছে, সরকারী পুলিশ বাহিনী গ্রিক মূর্তির অনুসারী হয়ে মুসলমানদের উপর হামলা করে এবং অর্ধশতাধিক মুসলমানকে আহত করে, গ্রেফতার করে অনেককে।

কিছুক্ষণ আগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে (ছবি)। তবে শুধু একটি মসজিদ থেকে নয় বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মসজিদ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তির পুন:স্থাপনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা উচিত। শুধু একটি-দুই সংগঠন এর প্রতিবাদ করলে হবে না, প্রত্যেক মুসলমানকে এর প্রতিবাদে এগিয়ে আসতে হবে। যারা প্রতিবাদে এগিয়ে আসবে না, প্রমাণিত হবে তারা গ্রিক ধর্মের অনুসারী। কারণ সুপ্রীম কোর্ট গণমানুষের স্থান, আর সেই গণমানুষের স্থানে গ্রিক ন্যায় বিচারের দেবী স্থাপন করে গণমানুষের উপর তার অস্তিত্বের বিশ্বাস চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। গ্রিক দেবীর অস্তিত্ব অস্বীকারে প্রতিবাদে তাই বিকল্প নাই।

মুসলমানদের এখন কি করতে হবে ???

১) ৬৪ জেলার প্রেসক্লাবে মুসলমানদের কর্মসূচি দিতে হবে,

২) রমজান মাসে প্রত্যেক মসজিদ মুসল্লীতে পরিপূর্ণ থাকে, তাদের এগিয়ে আসতে হবে। হিজরা হয়ে বসে থাকলে চলবে না। প্রত্যেকদিন, প্রত্যেক নামাজের পর প্রতিবাদ মিছিল করতে হবে। তবে আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের পর সারা দেশে বড় আকারের মিছিল বের করতে হবে।

৩) যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলতে হবে। যারা আহত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলতে হবে। এই ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলতে হবে।

৪) মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া সকল মূর্তি অপসারণ করার দাবি তুলতে হবে।

৫) এই মূর্তির কোনই দরকার ছিলো না। এই মূর্তি বসিয়ে প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে হানাহানী ও বিভেদ সৃ্ষ্টি করেছে। অবিলম্বে প্রধান বিচারপতির অপসারণের দাবি তুলতে হবে।

৬) বাংলাদেশ মসজিদের দেশ, একে মূর্তির দেশে রুপান্তর করতে মার্কিন এজেন্ডা নিয়ে এসেছে মৃণাল হক। মৃণাল হককে গ্রেফতার করার দাবি তুলতে হবে।

৭) শুধু মূর্তি নয় ----
ক) পাঠ্যপুস্তককে এখনও ৬৫% হিন্দু ও নাস্তিকদের লেখা আছে। সেগুলো বাদ দেওয়ার দাবি তুলতে হবে।
খ) সারা দেশের অনেক মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে। আর মসজিদ ভাঙ্গা যাবে না, এবং ভেঙ্গে ফেলা মসজিদগুলো পুন:নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি তুলতে হবে।
গ) রমজানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা বা পরীক্ষা ফেলানো যাবে না। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি তুলতে হবে।
ঘ) ঈদের ছুটি ১০ দিন করার দাবি তুলতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠকে তার ধর্মীয় অনুষ্ঠান নির্ভিঘ্নে পালনের সুযোগ দিতে হবে।

আমি আবার বলছি,
মুসলমানদের প্রথম যুদ্ধ বদর সংগঠিত হয়েছিলো রমজান মাসে
এই রমজান মাসেই মুসলমানদের হারানো অতীত ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

---------------------------------------------------

--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।

--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)