প্রসঙ্গ ধর্ষণ বৃদ্ধি : পাঠ্যবইয়ে ধর্ষণ শেখানো হয়নি তো ?
অতি সম্প্রতি বণানীতে এক ধর্ষন ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে মিডিয়া, ফেসবুকেও চলছে তোলপাড়। কেউ ধর্ষককে ধরিয়ে দিতে বলছে, কেউ ধর্ষকের ফাঁসি চাইছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে একটি বিষয়ে সবাই নিশ্চিত হয়েছে, সমাজে হঠাত করে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন গিয়েছে এটা নিয়ে চিন্তিত অনেকে।
সম্প্রতি পাঠ্যপুস্তক নিয়েও ব্যাপক কথা হচ্ছে। ইসলামপন্থীরা পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন চাইছে, সরকার কিছু পরিবর্তনও করেছে, অপরদিকে বিরুদ্ধপন্থীরা বলছে, এ সব পরিবর্তন করে সরকার বাংলাদেশকে মৌলবাদের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
পাঠক ! খেয়াল করুন, যে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে এত বিতর্ক তা জারি ছিলো ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত, অর্থাত ৪ বছর। প্রতি বছর যদি গড়ে ১৫ লক্ষ করে শিক্ষার্থী ধরি, তবে ৪ বছরে বের হয়েছে ৬০ লক্ষ শিক্ষার্থী, যারা সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েছে। কথা হচ্ছে, ঐ সিলেবাসে কি শিক্ষা দেয়া হয়েছে সেটা কেউ যাচাই করেছিলো কি ?
সেই পাঠ্যবইয়ে ছিলো-
১) রাধাকৃষ্ণের লীলা খেলার কবিতা সুখের লাগিয়া। মামী-ভাগিনার সম্পর্ক নিয়ে যখন রসাত্মক কবিতা পড়বে তখন শিক্ষার্থীরা কি শিখবে, আপনি বলুন ? কৃষ্ণের কথা শুনে হয়ত কৃষ্ণের জীবনী পড়তে গিয়ে দেখবে পুকুরে স্নানরতা মহিলাদের কিভাবে বস্ত্রহরণ করতে হয় কৃষ্ণের সেই ঘটনা। এগুলো কি সমাজে ধর্ষণ বৃদ্ধি করবে না ?
২) পাঠ্যবইয়ে ছিলো লালন বাউলের লেখা দেহতত্ত্বের কবিতা `সময় গেলে সাধণ হবে না‘। কবিতায় যখণ শিক্ষার্থীরা পড়বে- মীন থাকে না জল শুকালে, কী হয় তার বাঁধন দিলে শুকনা মোহনা।। অসময়ে কৃষি করে মিছামিছি খেটে মরে গাছ যদি হয় বীজের জোরে ফল তো ধরে না।।‘ একজন শিক্ষার্থী যখন এই কবিতার অর্থ খুজতে ড. মোঃ আবদুল করিম মিঞা এর লেখা `বাউল-লালন পরিভাষা‘ বইটি পড়বে তখন সে নিশ্চিত কুতসিত যৌনতা শিখবে যা তাকে এগিয়ে দিবে ধর্ষক হওয়ার দিকে।
৩) শিক্ষার্থীরা যখন পড়বে `বই‘- নামক কবিতা, তখন জানবে কবিতাটি লিখেছিলো হুমায়ুন আজাদ নামক এক ব্যক্তি। কবির সম্পর্কে আরো খবর নিতে গিয়ে জানবে তার উক্তি- ``এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি ,মাঝারী স্তন আমার পছন্দ, সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ ,চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে ।কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমারহাত-পা বাঁধা !“….এগুলো কি শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের দিকে আরো এগিয়ে নেবে না??
৪) পাঠ্যবইয়ে যখন পড়বে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা `সাকোটা দুলছে‘, কবি সম্পর্কে জানতে গিয়ে জানতো, তসলিমা নাসরিনের বহু শয্যাসঙ্গীর একজন সে। এগুলো কি শিক্ষার্থীদের মাঝে অনৈতিকতা সৃষ্টি করবে না ?
১) রাধাকৃষ্ণের লীলা খেলার কবিতা সুখের লাগিয়া। মামী-ভাগিনার সম্পর্ক নিয়ে যখন রসাত্মক কবিতা পড়বে তখন শিক্ষার্থীরা কি শিখবে, আপনি বলুন ? কৃষ্ণের কথা শুনে হয়ত কৃষ্ণের জীবনী পড়তে গিয়ে দেখবে পুকুরে স্নানরতা মহিলাদের কিভাবে বস্ত্রহরণ করতে হয় কৃষ্ণের সেই ঘটনা। এগুলো কি সমাজে ধর্ষণ বৃদ্ধি করবে না ?
২) পাঠ্যবইয়ে ছিলো লালন বাউলের লেখা দেহতত্ত্বের কবিতা `সময় গেলে সাধণ হবে না‘। কবিতায় যখণ শিক্ষার্থীরা পড়বে- মীন থাকে না জল শুকালে, কী হয় তার বাঁধন দিলে শুকনা মোহনা।। অসময়ে কৃষি করে মিছামিছি খেটে মরে গাছ যদি হয় বীজের জোরে ফল তো ধরে না।।‘ একজন শিক্ষার্থী যখন এই কবিতার অর্থ খুজতে ড. মোঃ আবদুল করিম মিঞা এর লেখা `বাউল-লালন পরিভাষা‘ বইটি পড়বে তখন সে নিশ্চিত কুতসিত যৌনতা শিখবে যা তাকে এগিয়ে দিবে ধর্ষক হওয়ার দিকে।
৩) শিক্ষার্থীরা যখন পড়বে `বই‘- নামক কবিতা, তখন জানবে কবিতাটি লিখেছিলো হুমায়ুন আজাদ নামক এক ব্যক্তি। কবির সম্পর্কে আরো খবর নিতে গিয়ে জানবে তার উক্তি- ``এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি ,মাঝারী স্তন আমার পছন্দ, সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ ,চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে ।কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমারহাত-পা বাঁধা !“….এগুলো কি শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের দিকে আরো এগিয়ে নেবে না??
৪) পাঠ্যবইয়ে যখন পড়বে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা `সাকোটা দুলছে‘, কবি সম্পর্কে জানতে গিয়ে জানতো, তসলিমা নাসরিনের বহু শয্যাসঙ্গীর একজন সে। এগুলো কি শিক্ষার্থীদের মাঝে অনৈতিকতা সৃষ্টি করবে না ?
পাঠ্যবইয়ে এখনও আছে-
রবীন্দ্রনাথের গল্পকবিতা যার পৈতৃক পেশা ছিলো পতিতালয় ব্যবসা,
আছে তসলিমার জামাই রুদ্র শহীদুল্লাহর কবিতা, যার মৃত্যু হয়েছিলো যৌনরোগ সিফিলিসে,
পাঠ্যবইয়ে আছে শামসুর রহমানের কবিতা যার উক্তি- আজনের ধ্বনি নাকি তার কাছে বেশ্যার খদ্দের ডাকার মত লাগে
আছে সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা, যার অন্য কবিতায় খোজ নিলে পাওয়া যাবে ধর্ষণে উতসাহ- যখন খুলছো তুমি দেহ থেকে শাড়ি ও শেমিজ, তখন উদ্বেল কেউ হয়ে ওঠে কৃষি-প্রতিভায়...
রবীন্দ্রনাথের গল্পকবিতা যার পৈতৃক পেশা ছিলো পতিতালয় ব্যবসা,
আছে তসলিমার জামাই রুদ্র শহীদুল্লাহর কবিতা, যার মৃত্যু হয়েছিলো যৌনরোগ সিফিলিসে,
পাঠ্যবইয়ে আছে শামসুর রহমানের কবিতা যার উক্তি- আজনের ধ্বনি নাকি তার কাছে বেশ্যার খদ্দের ডাকার মত লাগে
আছে সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা, যার অন্য কবিতায় খোজ নিলে পাওয়া যাবে ধর্ষণে উতসাহ- যখন খুলছো তুমি দেহ থেকে শাড়ি ও শেমিজ, তখন উদ্বেল কেউ হয়ে ওঠে কৃষি-প্রতিভায়...
শিক্ষাজাতির মেরুদণ্ড, আর পাঠ্যবই হচ্ছে কশেরুকা। সেই কশেরুকা দিয়ে যখন আপনি অনৈতিকতা, দেহতত্ত্ব, নারীদেহের প্রতিলোভ, উর্বশী, ইনসেস্ট শিখাবেন তখন জাতির মেরুদণ্ড তো র্যাপিস্টের মতই গড়ে উঠবে, তার বাস্তব ফসল হচ্ছে বর্তমানে ধর্ষণ বৃদ্ধি পাওয়া, এটাই সত্য।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments