পারলে মুক্তিযুদ্ধের সাথে মূর্তির সম্পর্ক প্রমাণ করুন
গত কয়েকদিন ধরে দেখলাম, মূর্তির পক্ষে আন্দোলনকারী বার বার বলছে- মূর্তি নাকি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অথচ-
১) বাংলাদেশে প্রথম মূর্তি (তাদের ভাষায় ভাস্কর্য) স্থাপিত হয় দেশ স্বাধীনের ২ বছর পর ১৯৭৩ সালে (গাজীপুরে, নাম-জাগ্রত চৌরঙ্গী) । মূক্তিযুদ্ধের ২ বছর পর এসে মূর্তি কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হয় ?
২) মুক্তিযুদ্ধের গান ছিলো- ‘মোরা একটি ফুলকে বাচাবো বলে যুদ্ধ করি‘। কিন্তু এমন কোন রচিত হয়নি-‘মোরা একটি মূর্তিকে বাচাবো বলে যুদ্ধ করি‘। তাহলে মূর্তি কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হয় ?
৩) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় প্রচার করা হয়-
‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিতে পিলখানায় ইপিআর ঘাঁটি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করেছে এবং শহরের লোকদের হত্যা করেছে। ঢাকা, চট্টগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে। আমি বিশ্বের জাতিসমূহের কাছে সাহায্যের আবেদন করছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সঙ্গে মাতৃভূমি মুক্ত করার জন্য শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে আপনাদের কাছে আমার আবেদন ও আদেশ দেশকে স্বাধীন করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান। কোনো আপোস নাই, জয় আমাদের হবেই। আমাদের পবিত্র মাতৃভূমি থেকে শেষ শত্রুকে বিতাড়িত করুন। সকল দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতাপ্রিয় লোকদের এ সংবাদ পৌঁছে দিন। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন। জয় বাংলা।’
এই ঘোষণায় স্পষ্ট বলা হচ্ছে- ‘আল্লাহর নামে আপনাদের কাছে আমার আবেদন ও আদেশ দেশকে স্বাধীন করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান।‘ এবং শেষাংশে আবারও বলা হচ্ছে-‘ আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন।‘ এখানে কিন্তু কোথাও বলা নাই-মূর্তির শপথ আপনারা যুদ্ধ করুন, কিংবা বলা নাই-মূর্তি আপনাদের মঙ্গক করুক। তাহলে মূর্তি কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হয় ?
অপরদিকে যারা মূর্তির পক্ষে বলছে-
ক) প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, যে ছিলো ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির সদস্য।
খ) মূর্তির পক্ষে বলছে ইনু। অথচ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পুরোটা সময় সে ভারতে কাটিয়েছে।
গ) মূর্তির পক্ষে বলছে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, যে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পুরোটা সময় ভারতে কাটিয়েছে।
ঘ) মূর্তি পক্ষে বলছে খুশি কবির, যে রাজাকার ত্রিদিব রায়ের আত্মীয়।
ঙ) মূর্তির পক্ষে বলছে সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। যার মা সুফিয়া কামাল জিন্নাহের প্রশংসা করে কবিতায় বলেছিলো-
তোমার আসন আজো সকলের হৃদয়ের মাঝে
তোমারে লইয়া ভরে আছে।
যুগে যুগে তুমি তব দানের প্রভায়
চিরঞ্জীব হয়ে রবে আপনারি দিব্য মহিমায়।
কায়েদে আজম। তব দান
মহাকাল-বক্ষ ভারি’ রহিবে অম্লান।
চ) মূর্তি বানাচ্ছে মৃণাল হক, যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা ইচ্ছা পোষণ করেছিলো। যার দুলাভাই জঙ্গী সংগঠন জেএমবির প্রধান পৃষ্ঠপোষক পলাতক ব্যারিস্টার আমিনুল হক।
ক) প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, যে ছিলো ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির সদস্য।
খ) মূর্তির পক্ষে বলছে ইনু। অথচ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পুরোটা সময় সে ভারতে কাটিয়েছে।
গ) মূর্তির পক্ষে বলছে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, যে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পুরোটা সময় ভারতে কাটিয়েছে।
ঘ) মূর্তি পক্ষে বলছে খুশি কবির, যে রাজাকার ত্রিদিব রায়ের আত্মীয়।
ঙ) মূর্তির পক্ষে বলছে সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। যার মা সুফিয়া কামাল জিন্নাহের প্রশংসা করে কবিতায় বলেছিলো-
তোমার আসন আজো সকলের হৃদয়ের মাঝে
তোমারে লইয়া ভরে আছে।
যুগে যুগে তুমি তব দানের প্রভায়
চিরঞ্জীব হয়ে রবে আপনারি দিব্য মহিমায়।
কায়েদে আজম। তব দান
মহাকাল-বক্ষ ভারি’ রহিবে অম্লান।
চ) মূর্তি বানাচ্ছে মৃণাল হক, যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা ইচ্ছা পোষণ করেছিলো। যার দুলাভাই জঙ্গী সংগঠন জেএমবির প্রধান পৃষ্ঠপোষক পলাতক ব্যারিস্টার আমিনুল হক।
উপরের আলোচনা স্পষ্ট প্রমাণিত,
মূর্তি কখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীরাই মূর্তির আমদানি করে চলেছে।
মূর্তি কখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীরাই মূর্তির আমদানি করে চলেছে।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments