জি, বাংলাদেশ খেলায় হেরেছে, এবার বাস্তবে জয়লাভের চেষ্টা করুন
গত কয়েকদিন বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট খেলা নিয়ে বাংলাদেশীদের উন্মাদনার শেষ ছিলো না। অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘাটে-মাঠে-দোকানে-অনলাইনে এমন কোন স্থান নেই যেখানে এই আলোচনা নেই। ক্রিকেটে বাংলাদেশ হেরেছে, মানে ‘খেলা‘ নামক এক বিষয়ে হেরেছে। গুগল ডিকশনারীতে দেখুন- খেলা শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে- উপহাস বা ছল, মানে- যার বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নাই এমন।
এই অবাস্তব একটি বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ যত চিন্তা-ভাবনা-জ্ঞান-গবেষণা-অ্যানালাইসিস-দোয়াকরলো তা যদি অন্য কোন সেক্টরে করতো, তবে আমার মনে হয় বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে বাস্তবেই সুপার পাউয়ার হতে পারতো। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ অগণিত মন-মগজ খরচ করলো শুধু খেলা নামক এক অবাস্তব বিষয়ের উপর। অথচ সেই বাংলাদেশীগুলোই যখন-
১) সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ যখন বাংলাদেশীদের পাখির মত গুলি করে মারে, তখন কি তারা প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে ?
২) যখন বাংলাদেশের নদীগুলোকে বাধ দিয়ে ভারত মরুভূমি বানাচ্ছে, তখন কি ঐ লোকগুলো নূন্যতম প্রতিবাদ করেছে ?
৩) বাংলাদেশীদের সংস্কৃতি যখন ভারতীয়রা অক্টোপাসের মত গিলে খায়, নিজের সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়, তখন কি তারা প্রতিবাদে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে ?
৪) বাংলাদেশের সকল অর্থনৈতিক বাজারগুলো যখন একের পর এক ভারতীয়রা দখল করে নিচ্ছে তখন কি তারা এর বিরুদ্ধে একটা শ্লোগান দিয়েছে ?
৫) চাকুরী বাজারে অবাধে ঢুকছে ভারতীয়, সিনেমা শিল্প দখল করে নিয়েছে ভারতীয়, নাটক মানেই ভারতীয়, জামা মানেই ভারতীয়, মটরসাইকেল মানেই ভারতীয়, ঈদের শপিং মানেই ভারতীয়,---- এত এত যখন আগ্রাসণ, তখন ঐ ক্রিকেটে ভারতকে হারাতে চাওয়া লোকগুলো কি একবিন্দু দেশপ্রেম দেখিয়েছে ?
৬) বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর স্বার্থ বিরুদ্ধ চূক্তি করতে বাধ্য করিয়েছে ভারত সরকার। ঐ ক্রিকেটপ্রেমী লোকগুলো তো এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়নি।
১) সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ যখন বাংলাদেশীদের পাখির মত গুলি করে মারে, তখন কি তারা প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে ?
২) যখন বাংলাদেশের নদীগুলোকে বাধ দিয়ে ভারত মরুভূমি বানাচ্ছে, তখন কি ঐ লোকগুলো নূন্যতম প্রতিবাদ করেছে ?
৩) বাংলাদেশীদের সংস্কৃতি যখন ভারতীয়রা অক্টোপাসের মত গিলে খায়, নিজের সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়, তখন কি তারা প্রতিবাদে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে ?
৪) বাংলাদেশের সকল অর্থনৈতিক বাজারগুলো যখন একের পর এক ভারতীয়রা দখল করে নিচ্ছে তখন কি তারা এর বিরুদ্ধে একটা শ্লোগান দিয়েছে ?
৫) চাকুরী বাজারে অবাধে ঢুকছে ভারতীয়, সিনেমা শিল্প দখল করে নিয়েছে ভারতীয়, নাটক মানেই ভারতীয়, জামা মানেই ভারতীয়, মটরসাইকেল মানেই ভারতীয়, ঈদের শপিং মানেই ভারতীয়,---- এত এত যখন আগ্রাসণ, তখন ঐ ক্রিকেটে ভারতকে হারাতে চাওয়া লোকগুলো কি একবিন্দু দেশপ্রেম দেখিয়েছে ?
৬) বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর স্বার্থ বিরুদ্ধ চূক্তি করতে বাধ্য করিয়েছে ভারত সরকার। ঐ ক্রিকেটপ্রেমী লোকগুলো তো এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়নি।
হয়ত বলবেন, “কিছু কিছু মানুষ তো বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে।“
না । আমি কিছু কিছু মানুষের কোন কথা বলছি না,
আমি কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলনের কথা বলছি না,
আমি বলছি ক্রিকেট ইস্যুতে যেভাবে গণমানুষ প্রতিবাদ করে
ভারতীয় আগ্রাসনের ইস্যুতেও যেন গণমানুষ ঐ একইভাবে প্রতিবাদ করে।
না । আমি কিছু কিছু মানুষের কোন কথা বলছি না,
আমি কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলনের কথা বলছি না,
আমি বলছি ক্রিকেট ইস্যুতে যেভাবে গণমানুষ প্রতিবাদ করে
ভারতীয় আগ্রাসনের ইস্যুতেও যেন গণমানুষ ঐ একইভাবে প্রতিবাদ করে।
আপনাদের মনে থাকার কথা,
গত কয়েক বছর আগে অ্যাম্পায়াররা ভারত-বাংলাদেশ খেলার সময় ভারতের পক্ষে দুটো ডিসিশন দিয়েছিলো। তখন কিন্তু গণমানুষ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলো। আমার এও মনে আছে গণজোয়ারের মুখে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অ্যাম্পায়ারদের ভারতীয় পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে বলেছিলো। ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ভারতীয় অপকর্মের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছিলো। এর কারণ গণস্রোত। যখন গণস্রোত উঠে যায়, তখন খোদ প্রধানমন্ত্রীরও কিছু করার থাকে না। এখন ভারতীয় আগ্রাসণের বিরুদ্ধে যেসব আন্দোলন হচ্ছে তা বিভিন্ন সংগঠণের মাধ্যমে হচ্ছে। কিন্তু অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘাটে-মাঠে-দোকানে-অনলাইনে সব কিছুর সীমা ছাড়িয়ে যে গণ আন্দোলন (যেটা শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে হয়) সেটা কিন্তু হচ্ছে না।
গত কয়েক বছর আগে অ্যাম্পায়াররা ভারত-বাংলাদেশ খেলার সময় ভারতের পক্ষে দুটো ডিসিশন দিয়েছিলো। তখন কিন্তু গণমানুষ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলো। আমার এও মনে আছে গণজোয়ারের মুখে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অ্যাম্পায়ারদের ভারতীয় পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে বলেছিলো। ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ভারতীয় অপকর্মের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছিলো। এর কারণ গণস্রোত। যখন গণস্রোত উঠে যায়, তখন খোদ প্রধানমন্ত্রীরও কিছু করার থাকে না। এখন ভারতীয় আগ্রাসণের বিরুদ্ধে যেসব আন্দোলন হচ্ছে তা বিভিন্ন সংগঠণের মাধ্যমে হচ্ছে। কিন্তু অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘাটে-মাঠে-দোকানে-অনলাইনে সব কিছুর সীমা ছাড়িয়ে যে গণ আন্দোলন (যেটা শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে হয়) সেটা কিন্তু হচ্ছে না।
গত কিছুদিন আগে নেপালের সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনী একজন মেরেছিলো। এতে নেপালের মানুষ রাগে-ক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসে। তীব্র প্রতিবাদের মুখে ভারতীয় সরকার পর্যন্ত ক্ষমা চায়। আমি চাই বাংলাদেশ সীমান্তেও একটা মানুষ মরলে বাংলাদেশের মানুষ গণহারে রাস্তায় নেমে আসবে, ক্রিকেট খেলায় যেমন গণউচ্ছ্বাস দেখায়, ঠিক তেমননি ভারতীয় আগ্রাসণের বিরুদ্ধেও তারা গণপ্রতিবাদ জানাবে। ভারতকে খেলা নামক অবাস্তব বিষয়ে নয়, বরং বাস্তব বিষয়গুলোতে নতি স্বীকার করতে বাধ্য করতে হবে। তাহলেই প্রকৃত জয়লাভ হবে, এর আগে নয়।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments