ঢাকা কেন ফাঁকা ? ফাঁকা ঢাকা পেতে আমাদের কি করতে হবে ??
গত কয়েকদিন ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছিলো পুরোপুরি ফাঁকা। ঈদের ছুটিতে ঢাকা ফাঁকা হলে একটি বিষয় মাথায় আসে, তা হলো- কিভাবে সারা বছর ঢাকাকে ফাঁকা রাখা যায় ।
বিভিন্ন পত্রপত্রিকার দেয়া হিসেব মোতাবেক, ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছে প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ লোক। আর তাতেই ফাঁকা হয়েছে ঢাকা। তারমানে এই ৫০-৬০ লক্ষ লোক ঢাকার স্থায়ী অধিবাসী নয় এবং যদি তাদেরকে ডিসেন্ট্রলাইজেশন বা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ঢাকা থেকে সরিয়ে নেয়া যায়, তবে সারা বছর ঈদের মত ঢাকাকে ফাঁকা পাওয়া সম্ভব।
ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে সরকার মহোদয়ের উদ্যোগের শেষ নেই। তারা ফ্লাইওভার-মেট্রোরেল-পাতাল রেল দিয়ে ঢাকা ভরিয়ে দিতে চায়, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- এসব কাঠামো দিয়ে ঢাকার যানজট কখনই সারানো যাবে না, বরং জনগণের কষ্ট বহুগুণে বাড়িয়ে তুলবে এবং তুলছে।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, এবার বাজেটে রাস্তাঘাট-সেতু-ফ্লাইওভার বানাতে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দ হয়েছে, আনুমানিক ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এ বাজেট দেখে মোটামুটি নিশ্চিত, বাংলাদেশ সরকার কখনই চায় না, ঢাকা শহরের যানজট নিরসন হোক। যদি নিরসন হয়ে যায়, তবে বাজেটে এত এত টাকা কখনই বরাদ্দ করা যাবে না। তাই ঢাকার যানজট সরকারের কাছে অনেকটা আলাউদ্দিনের চেরাগের মতই দামি। যতদিন যানজট টিকে থাকবে ততদিন তাদের পকেট ভরবে।
আসলে সাধারণ মানুষ অনেক বোকা। তারা দেখে তাদের মাথার উপর ফ্লাইওভার হচ্ছে, মেট্রোরেল হচ্ছে, আর তারা ভাবছে- বোধহয় দেশটা উন্নত হয়ে যাচ্ছে। অথচ এর মাধ্যমে যে, আনপ্রোডাকটিভি খাতে বিপুল ব্যয় করে দেশের অর্থনীতিটাকে পঙ্গু বানিয়ে দেয়া হচ্ছে, এটা তারা বুঝছে না। এ সম্পর্কে আরো ভালো বুঝতে, আন্তর্জাতিকভাবে বেস্টসেলিং জন পার্কিন্সের লেখা - ` এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারোক্তি‘ নামক বইটা পড়তে পারেন, যেখানে স্পষ্ট ব্যাখ্যা করা হয়েছে- কিভাবে সম্রাজ্যবাদীরা সেতু-ফ্লাইওভার-মেট্রোরেলের
যাই হোক, ঢাকাকে ফাকা করার সহজ উপায় হচ্ছে- শহর বিকেন্দ্রীকরণ। এজন্য মৌলিক চাহিদা (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিতসা) – এর কেন্দ্রগুলোকে শুধু বিকেন্দ্রীকরণ করলেই জনগণ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। তবে বিষয়টি আরো সহজ করলে- খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান সারা দেশজড়েই আছে, সমস্যা শুধু ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ভালো মানের চিকিতসা সেবা নিয়ে। তাই দেশের প্রত্যেকটি থানা/উপজেলায় যদি একটি করে উন্নত মানের ইউনিভার্সিটি ও একটি উন্নতমানের হাসপাতাল করা যায়, তবে শহর বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টি অনেক সহজে হবে বলেই মনে হয়।
সিলেটের রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যখন লিখেছিলাম, তখন জেনেছিলাম – ঐ এলাকাটি নাকি আগে জনশূণ্য ছিলো। মানুষ খুব একটা যেতো না। কিন্তু রাগীব আলী ঐ জনশূণ্য এলাকায় মেডিকেল কলেজ বানানোর পর নাকি হাসপাতালকে কেন্দ্র করে চতুর্পাশ্বে প্রায় ১ লক্ষ লোকের জনবসতি গড়ে উঠেছে। তারমানে ১টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যদি ১ লক্ষ লোকের জনবসতি তৈরী করতে পারে, তবে ১টি ইউভার্সিটিও ১ লক্ষ লোকের জনবসতি গড়তে পারবে। তাহলে দেশের ৬০০ থানা/উপজেলায় ১২ কোটি লোকের ডিসেন্ট্রলাইজেশন সহজ হবে। যা আগামী ২০-৩০ বছরেও ভবিষ্যতেও ঢাকাকে জনবহুল করবে না। ১০-১২ বছরের প্ল্যান নিয়ে এগুলো ফেললে বানিয়ে ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ তাই খুব কঠিন বলে মনে হয় না।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
সহমত
ReplyDelete