মুসলমানদের নিজেদের মধ্যে হানাহানি-আর হিন্দুদের নিজেদের মধ্যে হানাহানির তফাৎ
হিন্দুরা প্রায় মুসলমানদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বিষয় নিয়ে কথা বলে। তারা দাবি করে, মুসলমানরা নাকি ভাইয়ে-ভাইয়ে রক্তারক্তি করে, হানাহানি করে। তবে ঐতিহাসিকভাবে বিশ্লেষণ করলে মুসলমানদের নিজেদের মধ্যে হানাহানি-আর হিন্দুদের নিজেদের মধ্যের মধ্যে বিস্তর তফাৎ আছে।
মুসলমানদের মধ্যে নামধারী মুসলমান যখন হানাহানি করেছে, তখন অন্যরা তাকে বিশ্বাসঘাতক বলেই পরিচয় করে দিয়েছে। কিন্তু হিন্দুদের মধ্যে পরষ্পর পরষ্পর যখন হানাহানি করেছে, তখন অনেক হিন্দু তাকে দেবতা বলে পূজা করেছে, এমন নজিরই পাওয়া যায়।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, নাথুরাম গডসের মূর্তি বানিয়ে তা পূজা করছে ভারতের হিন্দু মহাসভার কর্মীরা। নাথুরাম গডসে হচ্ছে মোহনদাস করমচাদ গান্ধীর খুনি। গান্ধীকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নাই। আজকে ভারতের যে বিশাল মানচিত্র, তার পেছনে একক অবদান হচ্ছে গান্ধীর। সে মুসলিম প্রেমী সেজে মুসলমানদের ঘরে ঘরে যেতো, আর বলতো- তোমরা পাকিস্তানের সাথে যেয়ো না, ভারতের সাথে থাকো। তোমরা ন্যায্য অধিকার পাবে।” গান্ধীর কথায় ভুলে অনেক মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা ভারতের মধ্যে পড়ে যায়, ফলে ভারতের মানচিত্র বিশাল হয়, পাকিস্তানের মানচিত্র ছোট হয়। কিন্তু সমস্যা মাধামোটা উগ্রহিন্দুদের নিয়ে। গান্ধীর এই বহুরুপী কৌশল তারা ধরতে পারেনি, উল্টো গান্ধীকে মুসলমানদের দালাল ভাবতে শুরু করে তারা। একসময় গান্ধীকে নিহত হতে হয় নাধুরাম গডসের মত উগ্রহিন্দুর হাতে। বলাবাহুল্য, নাধুরাম গডসের সেই ভুল মাথামোটা হিন্দুরা এখনো বুঝতে পারেনি, তাই তো নাধুরাম গডসেকে দেবতা বানিয়ে পূজা করে তারা।
আসলে হিন্দু ধর্মের মধ্যে যে হানাহানি ও রক্তারক্তি আছে, তা মুসলমানদের সাথে তুলনা করলে, মুসলমানরা শিশুই থেকে যাবে। হিন্দু বৈষ্ণবদের প্রধান চৈতন্যকে হত্যা করেছিলো উগ্রহিন্দুরা। একই ঘটনা ইসকন প্রধান প্রভুপাদেরও। প্রভুপাদকে ইসকনের লোকেরাই বিষ প্রয়োগে হত্যা করে। রাজীব গন্ধীকে হত্যা করেছে তামিল উগ্রহিন্দু সন্ত্রাসীরা। হিন্দুরাষ্ট্র নেপালেও একই অবস্থা। রাজা বীরেন্দ্র সপরিবারে নিহত হয় নিজ ভাই জ্ঞানেন্দ্রর ষড়যন্ত্রে।
আসলে হিন্দু ধর্মটাই হচ্ছে ভাইয়ে-ভাইয়ে হানাহানি আর রক্তারক্তির ধর্ম। হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ মহাভারত হচ্ছে গৃহযুদ্ধের কাহিনী। গীতার মধ্যে তো লেখাই আছে- শত্রুপক্ষে আত্মীয়, বন্ধু ও গুরুকে দেখে অর্জুন যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন কৃষ্ণ তাকে আত্মীয়দের সাথেই যুদ্ধ করতে উব্ধুদ্ধ করে। রামায়ণেও একই অবস্থা। রাম-রাবনের যুদ্ধ। হিন্দুদের এক গোষ্ঠী সেই রামের পূজা করে, আরেক গোষ্ঠী রাবনের পূজা করে। অর্থাৎ এখানেও গৃহযুদ্ধ।
একই অবস্থা পাওয়া যায় হিন্দুদের পূজার মূর্তিগুলো মধ্যে। যেমন দূর্গা পূজার সময় দূর্গা মূর্তিকে দেখা যায় মহীসাশুরকে হত্যা করতে। অথচ একদল হিন্দু দূর্গার পূজা করে, আবার কিছু সংখ্যক আদিবাসী হিন্দু আছে যারা মহীসাশুরকে পূজা করে। তারমানে দূর্গা পূজার কাহিনীও গৃহযুদ্ধের কাহিনী।
গ্রাম-বাংলায় একটা প্রচলিত শ্লোক আছে- “নিজের গোয়ায় এত গু, পরের কয় থু থু”। তাই আমি বলবো- যেসব হিন্দু, মুসলমানের মধ্যে কথিত হানাহানি নিয়ে ফেও স্ট্যাটাস রচনা করছে, তাদের উচিত হবে আগে নিজের পশ্চাতে লেগে থাকা ময়লা নিয়ে আলোচনা করে, এরপর না হয় মুসলমানদেরটা দেখা যাবে।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments