Header Ads

ad728
  • Breaking News

    নিজ ভাষায় পাঠ্যবই পড়লেই কি পার্বত্য উপজাতিরা অধিকার প্রাপ্ত হয়ে যাবে ?

    সমস্যা অনেক । প্যাচ লাগানোর লোকের অভাব নাই, তবে খোলার লোকের অভাব আছে। গত কয়েক বছর যাবত পশ্চিমাপন্থী সংগঠনগুলো বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো- পার্বত্য এলাকায় উপজাতি গোষ্ঠীগুলোকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় পাঠ্যবই পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। সরকার পশ্চিমাগোষ্ঠীর কথা শুনে ইতিমধ্যে উপজাতি ভাষায় (শুরুতে ৫টি ভাষায় করা হয়েছে, তবে মোট ভাষা ৩০টি) পাঠ্যবই রচনা শুরু করেছে।
    পাঠক ! উপরের কথা শুনলে আপনাদের মনে হতে পারে, পশ্চিমাসংগঠনগুলোর এ দাবি দিয়ে হয়ত উপজাতিদের অনেক অধিকার সংরক্ষণ হবে এবং তাদের কথা শুনে সরকার বোধহয় ন্যায্য কাজটি করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ঠিক তার উল্টো। পশ্চিমাগোষ্ঠী ও সরকারের এ কাজগুলো করে উপজাতিগোষ্ঠীগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলেছে। আসুন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি।
    (১) বাংলাদেশে উপজাতিদের মধ্যে প্রায় ৩০টি ভাষা প্রচলিত আছে। প্রত্যেকটি ভাষায় কথা বলার লোকের সংখ্যাও কম। উপজাতি গোষ্ঠীগুলো যদি শুধু নিজেদের ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর ভাষা চর্চা করে, তবে তারা নিজ গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে, তার বাইরে আসতে পারবে না। সারা দেশে ৫৭ হাজার বর্গমাইল এলাকা এবং ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে চাকুরী-ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুতের মধ্যেই অংশ নিতে পারবে না। এতে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থারও পরিবর্তন হবে না। তারা যেমন অনুন্নত, তেমনই থাকবে।
    (২) পৃথিবীর অনেক দেশেই বহুভাষাভাষী লোক আছে। তবে সব দেশেই একটা অফিসিয়াল ভাষা থাকে, যার মাধ্যমে তারা সারা দেশে ভাব আদান-প্রদান করে। বাংলাদেশের সেই ভাষার নাম – বাংলা। উপজাতিরা নিজেদের মধ্যে নিজস্ব ভাষা চর্চা করুক, কিন্তু দেশব্যাপী তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও অবস্থান দৃঢ় করার জন্য প্রয়োজন বাংলা ভাষায় পাঠ্যবই চর্চা।
    (৩) উপজাতিদের ভাষার সংখ্যা (৩০টি) হিসেবে জনসংখ্যা খুবই অল্প। সে হিসেব করলে সিলেটি-চাটগা ভাষায় (এ দুটো ভাষাও সাধারনের বোধগোম্য হয় না) জনসংখ্যা আরো বেশি। এখন তারা যদি সিলেটি ও চাটগা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক দাবি করে বসে, তবে কেমন হবে ? কিন্তু সিলেটি ও চাটগার মানুষরা কখনই সেটা করবে না। কারণ তারা জানে আঞ্চালিক ভাষায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম চলে না। তাই নিজ স্বার্ধ রক্ষার্থেই সিলেটি ও চাটগার মানুষ সাধারণ বাংলা ভাষা চর্চা করে এবং এ কারণে তারা উপজাতিদের থেকে উন্নত।
    আসলে উপজাতিদের তো এত বুদ্ধি নেই, বাইরে থেকে তাদেরকে কেউ উস্কাচ্ছে। বলাবাহুল্য সেই উস্কানিদাতারা হচ্ছে, ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আগত বিভিন্ন এনজিও। এদের কখনই লক্ষ্য নয় উপজাতিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, বরং উপজাতিদের ব্যবহার করে তারা দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে চায়। সেই লক্ষ্যেই মিথ্যা মিথ্যা অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে, উপজাতিদের পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায়। আমি পার্বত্য উপজাতিদের উদ্দেশ্য করে বলবো- আপনারা যারা, বিদেশী এনজিওদের দেখানো মুলার পেছনে ছুটছেন, তারা দয়া করে দক্ষিণ সুদানের দিকে তাকিয়ে নেবেন। আপনাদেরকে যে মুলার লোভ দেখানো হচ্ছে, দক্ষিণ সুদানকেও সে একই মুলার লোভ দেখানো হয়েছে। কিন্তু দু:খের বিষয় মুলা পেলেও মুলার স্বাদ কিন্তু নিতে পারেনি দক্ষিণ সুদান অধিবাসীরা। সুদানের তেল সম্পদের ৭৫-৮০% মজুদ ছিলো দক্ষিণ সুদানে। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের পর এখন বিশ্বের অন্যতম দুর্ভিক্ষ পীড়িত রাষ্ট্র হয়েছে দক্ষিণ সুদান। জাতিসংঘের হিসেব মতে দক্ষিণ সুদানে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষ পীড়িত অবস্থায় আছে। অনেকে না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে, অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রকৃতসত্য হচ্ছে, পুরো প্রক্রিয়ায় দক্ষিণ সুদানবাসীরা ব্যবহৃত হয়েছে খেলনা হিসেবে, কিন্তু বাস্তবে তোদের কোন প্রাপ্তি নাই। এদেরকে অসুখ-বিসুখেরই শেষ করে দেয়া হবে। এরপর সম্পদের মালিক হবে ঐ পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীরা। বিদেশী এনজিওদের দেখানো পথে হাটালে, বাংলাদেশের উপজাতিদের ভাগ্যেও এর ব্যতিক্রম নেই।


    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728