Header Ads

ad728
  • Breaking News

    সাধারণত কোন শ্রেণীর মানুষগুলো কোরবানির টাকা বন্যার্তদের দিতে বলেছে ?

    আমি এ বছর দুই শ্রেণীর মানুষ পেয়েছি যারা বলেছে-কোরবানি না করে কিংবা সেখান থেকে টাকা বাচিয়ে বন্যার্তদের দেওয়ার জন্য। এই দুই শ্রেণীর লোক হলো-
    ১) বিভিন্ন দাতা সংস্থার নামে পাবলিক থেকে কালেকশন করে যে লোকগুলো।
    ২) অভিনেতা-অভিনেত্রী ।
    প্রথম যে গ্রুপটির কথা বলছি, সেটা হলো দুস্থ মানুষকে সাহায্য করার কথা বলে এরা বিভিন্ন অজুহাতে টাকা কালেকশন করে। যেমন শাহানা হুদা নামক এক মহিলা খুব প্রচারণা চালাচ্ছে- কোরবানি কম করে সেই টাকা বন্যার্তদের দেওয়ার জন্য। (http://bit.ly/2wW7gCy)খোজ নিয়ে জানা গেলো ঐ মহিলা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ নাম একটি প্রতিষ্ঠান চালায়।
    একই ধরনের প্রচারণায় আরেকজন হলো মঈনুল আহসান সাবের নামক এক ব্যক্তি (http://bit.ly/2whoDAx)। এই ব্যক্তিও ‘জেগে আছি’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান চালায় মানুষের থেকে ফান্ড সংগ্রহ করে।
    কথা হলো এই লোকগুলো কেন হঠাৎ এ ধরনের প্রচারণা চালালো ? এদের উদ্দেশ্যটা কি??
    আসলে এরা বিভিন্ন অকেশনে মানুষের থেকে নানান অজুহাতে ফান্ড সংগ্রহ করে। এবার বন্যাতেও সংগ্রহ করতো। স্বাভাবিকভাবে মানুষ তার আয়ের কিছু অংশ হয়ত এদেরকে দেয় দাতব্য কাজের জন্য। কিন্তু এই লোকগুলো জানে, মানুষ কোরবানী ঈদ উপলক্ষে একটা ফান্ড রাখে। যদি শুধু বন্যার্তদের কথা বলে ফান্ড চায়, তবে যতবড় ফান্ড পাবে, কোরবানির বাদ দিয়ে/কম দিয়ে যদি ফান্ড চায় তবে আরো বেশি ফান্ড পাবে। অর্থাৎ এক দাতব্য কাজে অন্য দাতব্য কাজের (কোরবানির মাংশ কিন্তু মানুষ বিলি করে) ফান্ড নিয়ে আসা। আমার দৃষ্টিতে, এ লোকগুলোর কর্মকাণ্ড বিশেষ সন্দেহজনক, এদের মূল উদ্দেশ্য বন্যার্তদের সাহায্য করা নয়, যদি সাহায্য করা হতো, তবে কখনই কোরবানি আর বন্যা মিলিয়ে ফেলতো না। কারণ কোরবানির মাধ্যমেও গরীবরা নানাভাবে উপকৃত হয়।
    গত কয়েকদিন আগে আহসাব হাবীব পিয়ার নামক একটা ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। তার নামে অনেক অভিযোগ, অন্যতম অভিযোগ- সে দাতব্য কাজে টাকা সংগ্রহ করে মানুষের কাছে পৌছে না, নিজের পকেটে ভরে। পিয়ার নামের ছেলেটি হয়ত দোষী, কিন্তু আমার কথা হলো- ‘সব মাছে গু খায় দোষ হয় ঘাওরা মাছের’। ঠিক তেমননি বহু শালা সাহায্য করার কথা বলে টাকা মেরে খায়, কিন্তু দোষ হয় পিয়ারের। কারণ পিয়ারের মুখে দাড়ি আর মাথায় টুপি ছিলো । এসব শাহানা হুদা, মঈনুল আহসান সাবের, ইমরান এইচ সরকার কিংবা তামান্না সেতুরা ফেসবুকে কত কত টাকা তুলছে, সেই টাকা কতটুকু যায়গা মত পৌছাচ্ছে সেটারও হিসেব নেয়ার কেউ কি আছে ? আর তারা দেয় বা কতটুকু ??
    এ সম্পর্কে পত্রিকার খবর-
    “২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল আমরা টিএসসিতে বসে ইমরানের কাছে টাকার হিসাব চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই টাকার হিসাব আজও দিতে পারেনি ইমরান। তখনকার আত্মসাৎ করা টাকা দিয়েই এখন আয়েশি জীবন-যাপন করছেন ইমরান।” (http://bit.ly/2uY0BdM)
    দ্বিতীয় যে গ্রুপটি- সেটা হলো অভিনেতা-অভিনেত্রী, নায়ক-নায়িকা। অভিনয় এদের পেশা। এরা অভিনয় করে কাঁদে, অভিনয় করে হাসে। এদের কোনটা বাস্তব, আর কোনটা অভিনয় বোঝা মুশকিল। এরা নতুন করে অভিনয় দিয়ে পাবলিকের বন্যার্তদের সহানুভূতি টানছে নাকি সেটাও যাচাই করা দরকার।
    “কোরবানি না করে টাকা বন্যার্তদের মাঝে দিয়ে দিন” এই প্রচারের মধ্যে আছে ওমর সানী, হিল্লোল, সোহানা সাবা ও শামীমা তুষ্টি। (http://bit.ly/2vRPeD2http://bit.ly/2x5MTmN)
    একটু চিন্তা করে দেখুন, এই গোষ্ঠীটি কারা ? এরা তো ঐ গোষ্ঠী, যারা খবরের শিরোনাম হওয়ার জন্য কিংবা সামান্য কটা টাকার জন্য কাপড় খুলে উদোম হয়, কখন নিজের বউকে অন্যের কোলে পাঠায়। সামান্য একটু পরিচিতি লাভের জন্য যারা এতটা নিচে নামতে পারে, তারা যে “কোরবানি না করে সেই টাকা বন্যার্তদের দিয়ে দেন” এই কথা বলে খবর-ফেসবুকে শিরোনামে আসতে চাইবে কিংবা এফডিসি নির্বাচনে দল ভারি করতে চাইবে সেটাই তো স্বাভাবিক। যদিও ইসলামবেত্তাদের সাথে কথা বলে জানলাম- এদের উপার্জন করা টাকা দিয়ে নাকি কোরবানি করা যায় না। সে হিসেবে এ লোকগুলোর কোরবানি গুরুত্বহীন। তাই তাদের ডিসিশনগুলো যে গুরুত্বহীন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
    তাই কোরবানীর মত একটি ধর্মীয় বিষয়ে, যাকে অনুসরণ করছেন, তার ধর্মীয় অবস্থানটা কোথায়, অথবা তার স্বার্থটা কি সেটা অবশ্যই যাচাই করা উচিত।


    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728