সৌম আর লিটনের কোন যোগ্যতা না থাকার পরও তাদের বড় যোগ্যতা তারা ধর্মে হিন্দু

গত ২৪ ঘণ্টায় মিডিয়ায় যে খবরটা আমার কাছে বেশি ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে, সেটা হলো- বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচ দল থেকে মুমিনুল-মুহম্মদুল্লাহ বাদ দেয়া (একটু আগে অবশ্য ১ টেস্টের জন্য মুমিনুলকে নেয়া হয়েছে বলে খবর এসেছে)। কিন্তু কেন টেস্ট দল থেকে এই দুই প্লেয়ারকে বাদ দেয়ার প্রয়োজন পরলো ? যুগান্তরের ফেসবুক পেইজে অনেক কমেন্ট দেখলাম, পাবলিক প্রশ্ন করেছে- মুমিনুল-মুহম্মদুল্লাহ বাদ দিয়ে সৌম-লিটন দাসকে কেন নেয়া হলো ? ওদের কি যোগ্যতা আছে দলে থাকার ?

সৌম আর লিটনের কোন যোগ্যতা না থাকার পরও যে বড় যোগ্যতা তাদের আছে সেটা হলো তারা ধর্মে হিন্দু। আর আওয়ামী সরকারের একটা বড় অভ্যাস, ন্যাংটোভাবে হিন্দু তোষণ। এই হিন্দু তোষণ করতে গিয়ে তারা যদি বার নাজেহাল হয়, বার বার অমানিত হয়, তবুও তাদের লজ্জা হয় না। যদি লজ্জা থাকতো তবে মুমিনুল-মুহম্মদুল্লাহ বাদ দিয়ে সৌম-লিটন দাসের মত প্লেয়ারকে কখনই নিতে পারতো না।

আপনারা জানেন, আওয়ামীলীগের মধ্যে এখন সবচেয়ে বড় কম্পন সৃষ্টি করেছে হিন্দু এসকে সিনহা। আজকে বিচারক এসকে সিনহা তার অবস্থান স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে- পাকিস্তানে হতে পারলে বাংলাদেশে সমস্যা কোথায় ?

মানে পাকিস্তানে কিছুদিন আগে নওয়াজকে বিচারক ক্ষমতা থেকে নামিয়েছে, এখন বাংলাদেশও সেদিকে যাচ্ছে। তারমানে দুধকলা দিয়ে পোষা সাপ এবার আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কাজ করছে। বীরেণ শিকদার ও কামরুল কিন্তু ষ্পষ্ট করে বলে দিয়েছে- এসকে সিনহার নিয়োগ ছিলো রাজনৈতিক এবং তা ছিলো হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উপহার। মানে আওয়ামী সরকার হিন্দুদের খুশি করতে বদ্ধ পরিকর। সেই কাজ করতে গিয়েই তারা মুসলিম বিচারপতিকে প্রধান না করে এসকে সিনহাকে বসিয়েছে। যে মুসলিম জাস্টিজের প্রধানবিচারপতি হওয়ার কথা ছিলো, সিনহা প্রধানবিচারপতি হওয়ার পর বেচারা রাগে দু:খে ৬ মাস কোর্টেই আসে নাই।

আওয়ামীলীগের এই হিন্দু তোষণ কিন্তু শুধু প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নাই। পুলিশ-প্রশাসন-এমপি-মন্ত্রী এমনকি ছাত্রলীগের নেতারা পর্যন্ত চায় হিন্দুদের খুশি করতে। যার প্রতিফলন দেখা গেছে ক্রিকেট খেলায়ও, মুমিনুল-মুহম্মদুল্লাহ বাদ দিয়ে সৌম-লিটন দাসকে নেয়ার মধ্য দিয়ে। একই ঘটনা দেখা গেছে, আওয়ামীলীগ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা রানাদাশগুপ্তের সময়ও। অথচ তাকেই শেখ হাসিনা হিন্দু প্রীতি দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর বানিয়েছিলো। এ সম্পর্কে দৈনিক জনকণ্ঠে স্বদেশ রায় বলেছিলো-
রানা দাশগুপ্তের অসুবিধা সহজে বোঝা যায়। তিনি কুয়োর ব্যাঙ, সাগরে এসে পড়েছেন। আসলে চট্টগ্রাম জজকোর্টের সাধারণ উকিল হঠাৎ করে শেখ হাসিনার বদান্যতায় জাতীয় রাজনীতি বা জাতীয় ফোরামে চলে এসেছেন। এখন তাল সামলাতে পারছেন না। (http://bit.ly/2qFtbtY)

তারমানে আওয়ামীলীগের এখন সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে আওয়ামীলীগকে পূজি করে যায়গা মত ঢুকে পরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। জামায়াত-বিএনপিকে যদি আওয়ামীলীগ বড় শত্রু মনে করে তবে আমি বলবো তারা ভুল করবে। কারণ জামায়াত-বিএনপি দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই, কিন্তু হিন্দুরা আওয়ামীলীগকে পূজি করে বড় বড় পদে ঢুকে গেছে, যারা এখন আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় সিদ কাটছে।

আমি আওয়ামীলীগকে শুধু একটা মেসেজ দিতে চাই, আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারণী কমিটির উচিত হবে সেটা দৃঢ়ভাবে বিবেচনা করা-

নির্বাচনের আর বেশি দিন নাই। যে বিদেশী শক্তিটি নাস্তিকদের উপর ভর করে ২০১৩ সালে আওয়ামীলীগের পতন ঘটাতে চেয়েছিলো, সেই শক্তিটি এখন ভর করেছে হিন্দুদের উপর। কিন্তু ঐ সময় নাস্তিকরা ছিলো তৃতীয়পক্ষ, তাদের হাতে কার্যত কোন শক্তি ছিলো না। কিন্তু এখন হিন্দুরা অনেক ভয়ঙ্কর। কারণ তারা আওয়ামী সরকারকে পূজি করে দেশের বড় বড় অবস্থানে চলে গিয়েছে। এ অবস্থায় বড় কোন ঘটনা ঘটলে সরকার প্রতিরোধ করার কতটুকু ক্ষমতা রাখতে পারে সেটা চিন্তার বিষয়। শুধু এক এসকে সিহনায় সরকার কাহিল, বাকিরা তো রয়েই গেছে।

কয়েকদিন আগে অপু উকিল বলছে- ‘এসকে সিনহার পাশে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায় নাই‘। এরমাধ্যমে অপু উকিল বুঝাতে চেয়েছে- সব হিন্দু খারাপ না, শুধু এসকে সিনহা খারাপ। তাই হিন্দুদের ব্যাপারে যেন আওয়ামীলীগের উদার দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন না হয়।

শেষে বলবো-
সব হিন্দুরা খারাপ না, তবে হিন্দুরা যখন আওয়ামীলীগের পতন ঘটাবে তখন আওয়ামীলীগে বুঝবে আসলে কতগুলো হিন্দু খারাপ ছিলো।

---------------------------------------------------

--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।

--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/