Header Ads

ad728
  • Breaking News

    মায়ানমারে রোহিঙ্গারা থাকতে না পারলে বাংলাদেশে মারমা-চাকমা উপজাতি গোষ্ঠী থাকতে পারবে কিভাবে ?

    মায়ানমারে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর উপর গণহত্যা চালাচ্ছে মায়ানমার সরকার। তাদের দাবি- রোহিঙ্গারা নাকি আরাকানের (বর্তমান রাখাইন) অধিবাসী নয়, মগরা নাকি সেখানকার আদিবাসী। এজন্য বেছে বেছে রোহিঙ্গাদের উপর চালানো হচ্ছে এথনিক ক্লিনজিং বা জাতিগত নিধন।
    আমার কথা হলো, রোহিঙ্গারা যদি মায়ানামারের অধিবাসী না হয়, তবে বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় বসবাস করা বিভিন্ন উপজাতি বিশেষ করে মারমা-চাকমরা কিভাবে বাংলাদেশের অধিবাসী হয় ?
    মারমা’ শব্দটি ‘ম্রাইমা’ থেকে এসেছে। মারমারা মিয়ানমার থেকে এসেছে বিধায় তাদের ‘ম্রাইমা’ নাম থেকে নিজেদের ‘মারমা’ নামে ডাকে। বান্দরবানে মারমা লোকসংখ্যা প্রায় এক লাখের কাছাকাছি। এছাড়া এরা কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, পটুয়াখালি, বরগুনা জেলাতেও বাস করে। এদেরকে মগ নামেও ডাকা হয়। অপরদিকে চাকমারা এসেছে আরাকান রাজ্যের চম্পক নগরী থেকে। উভয় জাতি সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে আরাকান থেকে বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাস গাড়ে। বর্তমানে চাকমাদের জনসংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ ধরা হয়।
    একটি বিষয় লক্ষ্য করুণ-
    রোহিঙ্গা সমস্যার মূলে রয়েছে বার্মার সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ১৯৮২ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইন। কারণ, এই আইনের মধ্য দিয়েই রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব হারিয়ে রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠিতে পরিণত হয়েছেন।
    আট অধ্যায়ে মোট ৭৬ ধারা বিশিষ্ট সেই আইনের ১ নং ধারায় বলা হয়েছে আইনটির নাম ‘Citizenship Law’, ২ নং ধারায় বলা হয়েছে রাষ্ট্রের নাম ‘Socialist Republic of the Union of Burma’ এবং ৩ নং ধারায় বলা হয়েছেঃ
    “Nationals such as the Kachin, Kayah, Karen, Chin, Burman, Mon, Rakhine or Shan and ethnic groups as have settled in any of the territories included within the State as their permanent home from a period anterior to 1185 B.E., 1823 A.D. are Burma citizens”
    এর অর্থ হলো, “যে-সকল নৃজাতি যথা কাচিন, কেয়াহ, কারেন, চিন, বার্মান, মন, রাখাইন বা শান ও জনজাতিসমূহ এই রাষ্ট্রের অন্তর্ভূক্ত কোনো এলাকায় ১১৮৫ বার্মাব্দ বা ১৮২৩ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ স্থায়ী আবাস হিসেবে বসতি স্থাপন করেছে, তারাই বার্মার নাগরিক।”
    অর্থাৎ ১৮২৩ সালের পর যারা দেশটিতে স্থায়ী আবাস করেছে তারাই মায়ানমারের নাগরিক। কিন্তু রোহিঙ্গারা তো সেখানাকার বহু পুরাতন আদিবাসী। ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহাঙ্গা নামে স্বাধীন রাজ্যই ছিল। তারমানে ১৯৮২ সালে একটি ভুয়া আইনের অজুহাতে ইচ্ছাকৃত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়।
    বিশেষভাবে খেয়াল করুন-
    মায়ানমার যেখানে মিথ্যা অজুহাতে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে চাকমা-মারমা নামক মায়ানমারের নাগরিকদের ভিভিআইপি মর্যাদা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে ছোট ছোট বাচ্চারা সারাদিন এদের গুনগান পড়ছে। এদের কথিত রাজাদের পর্যন্ত বাংলাদেশীদের খাজনা দিতে হচ্ছে এবং সেটা সরকারিভাবে স্বীকৃত। এই সব মগ-রাখাইনদের কোটা দিয়ে বিসিএস চাকুরী দেয়া হচ্ছে, বড় বড় ইউনিভার্সিটিতে পড়ানো হচ্ছে।
    আপনি হয়ত বলবেন-
    একজনের জন্য তবে কি আপনি আরেকজনকে নির্যাতন করতে বলছেন ?
    উত্তরে আমি বলবো-
    মিয়ানমার যেটা করছে সে কিন্তু কোন ক্রমেই ভদ্র মানুষের কাজ নয়। তারা কোন নিয়ম-নীতি মানছে না। তারা মিথ্যা কথা বলে জাতিগত নিধন করছে এবং সে সব নাগরিককে বাধ্য করছে বাংলাদেশে পাড়ি জমানোর জন্য। তারা কোন আন্তর্জাতিক কোন আইনের তোয়াক্কা করছে না। ‘মগের মুল্লুক’ ফ্রেজ এর যথার্থতা তাদের বর্তমান কার্যক্রম থেকে অনুধাবন করা সম্ভব। আপনি এদের সাথে কোন মানবতা, আইন,. নিয়মনীতি নিয়ে কথা বললে কোন লাভ হবে না, কুকুরের জন্য মুগুর, ইটের বদলে পাটকেল ছাড়া কোন উপায় নেই।
    মায়ানমার যদি-
    ১) রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা না থামায়,
    ২) তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে না দেয় এবং
    ৩) বাংলাদেশে মানবেতর জীবন-যাপন করা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নেয়
    তবে বাংলাদেশে বাস করা তাদের নাগরিক (মারমা-চাকমা)দেরও এদেশ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হবে। বাধ্য করা হবে তাদের আদিভূমি মায়ানামারে ফিরে যেতে। বাংলাদেশে এদের সকল সুযোগ সুবিধা (কোটা-রাজার খাজনা) বন্ধ করা হবে। তখন বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল।


    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728