হিন্দুদের নিজ বাড়িতে আগুন দেয়ার কারণ অনুসন্ধানে……….
রাখাইনে হিন্দুরা টুপি-হিজাব পরে নিজ বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে। কিন্তু কেন ? বিষয়টি নিয়ে সত্যিই আমি হতবাক! অনুসন্ধানে নেমে পড়লাম অনলাইনে, পুরো ঘটনার ইতিবৃত্ত খুজতে। পেয়েও গেলাম। এবারের রিপোর্ট, হিন্দুরা কেন টুপি-হিজাব পরে নিজ বাড়িতে আগুন দিলো।
১) এই ছবিগুলো কেন্দ্র করে বার্মীজ বৌদ্ধরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করেছে, রোহিঙ্গা নির্যাতনের খবরগুলো আসলে ভুয়া, রোহিঙ্গারা নিজেদের ঘরে নিজেরাই আগুন দিয়েছে। (http://bit.ly/2wQEOCu, http://bit.ly/2gRdtsy)
২) আগুন দেয়ার সময় হিজাব পরিহিতা এক নারীর ছবি দেখা যাচ্ছে। ঐ মহিলাকে অনুসন্ধান করে ডেইলি ওয়ার্ল্ড নামক একটি নিউজ পেপারে মহিলার পরিচয় পেয়ে গেলাম। মহিলার নাম হাজুলি, বয়স ৩৮। তারাসহ বেশ কিছু হিন্দু (আনুমানিক ৪০০) মংডুতে একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। (http://bit.ly/2vLQiWO, http://archive.is/Ihmlo)
৩) এরপর খুজতে গিয়ে আরো মজার জিনিস পেলাম, Shing Panyuar Dhiph নামক এক বার্মীজের টুইটারে দেয়া ছবিতে পেলাম খোদ বার্মীজ নাগরিক ও অসংখ্য আর্মির তত্ত্বাবধানেই হিন্দুরা স্কুলটিতে আছে । (http://bit.ly/2gT9grK)
৪) Aung Myo Htwe নামক এক ব্যক্তির টুইটারে দেখা গেলো রাখাইন বৌদ্ধ ও সেনাবাহিনী ঐ হিন্দু পরিবারগুলোকে ত্রাণ দিচ্ছে। (http://bit.ly/2gQkd9V)। মায়ানমারের সরকারের পক্ষ থেকে যে হিন্দুদের ত্রাণ দেয়া হচ্ছে সেটার ভিডিও পাওয়া গেলো (http://bit.ly/2xk5HC7)
৫) ঐ হিন্দুরা মায়ানমারের দৈনিক পত্রিকা the global new light of Myanmar –তে সাক্ষাৎকার দেয়, যা পত্রিকাটিতে ১লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে ৬ষ্ঠ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। সেখানে হিন্দুরা স্পষ্ট করে বলে- বাঙালী সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা তাদের উপর নির্যাতন করেছে, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, তাদের ধর্মান্তরের চেষ্টা করেছে, তাদের অনেককে হত্যা করেছে, অনেককে ধর্ষণ করেছে। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পেছনে ARSA নামক একটি জঙ্গী সংগঠনের নামও বলে তারা। (http://bit.ly/2wQknG1)। কয়েক যায়গায় সাক্ষাৎকারে তারা এও বলে- জঙ্গীরা আমাদের নির্যাতন করছে, আর মায়ানমার সরকার ও আর্মি জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়ছে। (http://bit.ly/2wPDCRA)। মায়ানমারের টিভি চ্যানেলগুলোতে রোহিঙ্গারা হিন্দুদের নির্যাতন করেছে এমন খবর প্রচারিত হয়, যেখানে হিন্দুরা অনেক কান্নাকাটি করে (https://youtu.be/zCdTQSkOYsc)।
পুরো ঘটনা দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হিন্দু ও বার্মীজ সরকার এক হয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আপনারা দেখেছেন, এই ঘটনার পর পরই হয়েছে মোদির মায়ানমার সফর। সুকির হাতে যখন রোহিঙ্গাদের কাচা রক্ত লেগে আছে, ঠিক তখনই গুজরাটের কসাই মোদি সুকির রক্তমাখা হাতের সাথে হাত মেলালো আর রোহিঙ্গা রক্তপানে সমর্থন দিলো। পুরো ঘটনার মূল তত্ত্ব আসলে এটাই –“হিন্দু-বৌদ্ধ ভাই ভাই, মুসলমানের রক্ষা নাই”।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/

No comments