একটা গ্রুপ মায়ানমারের সামরিক শক্তির সাথে বাংলাদেশের সামরিক শক্তির তুলনা করছে !
গত কয়েকদিন যাবত দেখছি, একটা গ্রুপ প্রচার করছে মায়ানমার সামরিক দিক থেকে খুব শক্তিশালী। এজন্য তারা যুদ্ধ বিমান, জাহাজ আর সেনাসংখ্যা নিয়ে তুলনা করছে।
কিন্তু আমার কথা হলো, একটি দেশের প্রায় পুরোটাতেই যখন গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে, তখন ঐ দেশটি পাশ্ববর্তী কোন হামলা ঠেকাতে কতটুকু সামরিক শক্তি প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখে ?
উল্লেখ্য-
মায়ানমারের ১৪টি স্টেটের মধ্যে ৯টিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির এই গৃহযুদ্ধকে পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ হিসেবে ধরা হয়।
দেশটিতে বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপ-
১) Arakan Army (Kachin State)
২) Arakan Army (Kayin State)
৩) Kachin Independence Army
৪) Kuki National Army
৫) Myanmar National Democratic Alliance Army
৬) Ta'ang National Liberation Army
৭) Zomi Revolutionary Army
৮) All Burma Students' Democratic Front
৯) Arakan Liberation Army
১০) Chin National Army
১১) Democratic Karen Buddhist Army - Brigade 5
১২) Karen National Defence Organisation
১৩) Karen National Liberation Army
১৪) Karenni Army
১৫) Mon National Liberation Army
১৬) National Democratic Alliance Army
১৭) Pa-O National Liberation Army
১৮) Shan State Army – North
১৯) Shan State Army – South
২০) United Wa State Army
২১) Wa National Army
২২) Arakan Rohingya Salvation Army
(https://en.wikipedia.org/
মায়ানমারের দৈনিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত বিদ্রোহীদের হাতে সেনা নিহতের খবর আসে-
১) কাচিন বিদ্রোহীদের হামলায় ২১১ মায়ানমার সেনা নিহত (http://bit.ly/2xct3rQ)
২) বিদ্রোহী গ্রুপের হামলায় কয়েক ডজন সেনা নিহত (http://reut.rs/2y7iiVJ)
৩) বিদ্রোহী হামলায় ১০০ বার্মীজ সেনা নিহত (http://bit.ly/2x5SY5v)
৩) কাচিন স্টেটে ১০ মাসে বিদ্রোহীদের হামলায় ৩ হাজার সেনা নিহত (http://bit.ly/2jzsjbO)
একটু হিসেব করুন-
বার্মার আর্মি, নেভী ও এয়ারফোর্স সংখ্যা সব মিলিয়ে ৪ লক্ষ। এর মধ্যে কমব্যাট ট্রুপ (যুদ্ধ সৈণ্য) সর্বোচ্চ ২০% অর্থাৎ ৮০ হাজার হবে। এরমধ্যে ১টি স্টেটে ১০ মাসে ৩ হাজার সেনা মারা যাওয়া মানে, মূল কমব্যাট সেনাদের ৪% ই মারা গেছে।
একটি দেশে যখন এত ব্যাপক হারে গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে, তখন পাশ্ববর্তী কোন দেশ হামলা করলে তারা নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। কারণ এক স্টেটের দিকে দৃষ্টি সরালে পুরো দেশকে বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেবে।
শেখ হাসিনা তো বোকা। শুধু মাত্র রাখাইন স্টেটের সম্পদ আর ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে চীন-আমেরিকা-ভারত মায়ানমারের পা-চাটছে। আর সেই রাখাইন স্টেটে ৮ লক্ষ মানুষ অবস্থান করছে কি না বাংলাদেশে। উদাহরণ হিসেবে বলতে হয়- বিরাট ধন সম্পদযুক্ত সিন্দুকের চাবি চলে এসেছে বাংলাদেশের মালিকানায়, শুধু চাবি দিয়ে তালাটা খুলতে হবে। অন্য কোন চালাক দেশ হইলে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করে খুব সহজেই রাখাইন নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারতো। মালিক হতে পারতো বিরাট খনিজ সম্পদ আর ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের। কিন্তু বাংলাদেশের সেই চিন্তা শক্তিটা কোথায় ??
[বি: দ্র: মায়ানমার ভয় পাচ্ছে, বাংলাদেশ না রাখাইন স্টেট দখল করে নেয়। তারা বার বার বুঝতে চাইছে বাংলাদেশের বর্তমান সামরিক অবস্থানটা কোথায় ? এ জন্যই ইচ্ছাকৃত আকাশসীমা লঙ্ঘন করে প্রায় ১০ কিলোমিটার ( http://bit.ly/2f2lYQV)ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশ কতটা এগ্রেসিভ হয়েছে সেটা বুঝতে চাইছে]
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/
No comments