ভোজ্য তেল সয়াবিন তেলকে শূন্য (০) টলারেন্স দিন, সুস্থভাবে বাচুন, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন উপসর্গ থেকে বাচুন
আজকাল অনেকেই বলে-----
- হাটুতে বেশিকিছুদিন যাবত খুব ব্যথা,
- হাড়ের সংযোগস্থলগুলোতে খুব ব্যাথ্যা,
- খুব কম বয়সেই ডায়বেটিস ধরা পড়ছে,
- শিশুটি জন্মগত ত্রুটি বা অটিজম নিয়ে
পৃথিবীতে আসছে,
- প্রায় ফ্যামিলিতেই হঠাৎ কোন সদস্যের
কান্সার ধরা পড়ছে, এরপর থেরাপী দিতে
গিয়ে সংসারের সব সঞ্চয় শেষ , কিন্তু
তারপরও প্রিয় সদস্যটিকে বাচানো
যাচ্ছে না।
এরকম হরেক রকম রোগের প্রকোপ যেন
হঠাৎ করেই বেড়ে চলেছে। ঘটনাগুলো
কিন্তু খুব র্যানডম ঘটছে। কিন্তু কেন ঘটছে,
কি কারণে ঘটছে, এ প্রশ্নটাও কেউ করছে
না, হয়ত ভাবছে তার একারই হচ্ছে।
আচ্ছা, আমরা এমন কিছু খাচ্ছি না তো,
যেটার মধ্যে ক্ষতিকারক বিষ রয়েছে ?
যেটা স্লো পয়জনের মত আমাদের শরীরকে
ধ্বংস করে দিচ্ছে। ধিরে ধিরে পুরো
জাতিকে করছে নিঃশেষ।
হ্যা, আমি জিএমও ফুড বা জেনিটিকাল
মোটিফাইড খাদ্যের কথা বলছি।
আপনারা জিএমও বিটি বেগুন সম্পর্কে
অনেকেই জেনেছেন, আমি কয়েক পোস্ট
আগে গোল্ডেন রাইস নিয়েও আলোচনা
করেছি। এবার যেটা বলবো সেটা হলো
সয়াবিন তেল।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ভোজ্য
তেল হিসেব সয়াবিন তেল ব্যবহার করে।
বাংলাদেশের সয়াবিন তেলের একটি বড়
অংশ (প্রায় তিনভাগের এক ভাগ)
আমদানি করা হয় আমেরিকা, ব্রাজিল
অথবা আর্জেন্টিনা থেকে। অথচ ঐ সমস্ত
দেশের সয়াবিন তেলের প্রায় সবটাই
জিএমও বা জেনেটিকালি
মোডিফাইড। বলাবাহুল্য যুক্তরাষ্ট্রসহ
অনেক দেশে সয়াবিন পশুখাদ্য, কিন্তু
বাংলাদেশে কিন্তু মনুষ্যখাদ্য। আরো
ভয়ঙ্কর বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে সয়াবিন
হিসেবে জিএমও ফুড ব্যবহার হলেও সেটা
প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে না। অথচ
বর্হিবিশ্বে জিএমও ফুড থাকলে তা
প্যাকেটের গায়ে স্পষ্ট লেখা থাকে,
ফলে অধিকাংশ মানুষ আগে থেকেই
সচেতন হতে পারে। আসলে
বাংলাদেশের মানুষ মারাত্মক অসতর্ক।
তবে এটা তারা্ এখন বুঝবে না, এখন
অসুস্থতা কেবল শুরু হয়েছে, ২০-৩০ বছর পর
পুরো জাতিটাই অসুস্থ হয়ে জন্ম নিবে।
দেখুন, আমার কথা ভুল বুঝবেন না।
আফ্রিকা অনেক দেশে কিন্তু ৩০-৪০
শতাংশ মানুষ এইডসে আক্রান্ত। আর এটা
প্রায় সবাই জানে, এইডস কোন রোগ নয়,
এটি সম্রাজ্যবাদীদের গবেষণাগারে
তৈরী একপ্রকার জীবাণু, যা বিভিন্ন
ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আফ্রিকানদের
শরীরে প্রবেশ করিয়েছিলো
সম্রাজ্যবাদীরা। আফ্রিকান মানুষগুলো
এখন রোগাক্রান্ত, আর এ সুযোগ তাদের
সম্পদগুলো লুটপাট করে চলেছে পশ্চিমা
দেশগুলো।
উল্লেখ্য ইহুদীবাদী বহুজাতিক কোম্পানি
মোনসান্টো কিংবা সিনজেন্টা
দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশে বীজ
সরবারহ করে যাচ্ছে, যাদের অধিকাংশ
ফসল জিএমও। উপরন্তু বাইরে থেকে যে
সমস্ত শস্য (যেমন: সয়াবিন) তার মধ্যে
বিরাট অংশ জিএমও।
বর্হিবিশ্বের জনগণ কিন্তু বিষয় নিয়ে
অনেক আগেই সচেতন হয়েছে। সেখানে
বাংলাদেশের মানুষ জিএমও ফুডের
ক্ষতিকর প্রভাবের কথা জানেই না। খুব
দ্রুত বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা তৈরী করা
না গেলে হয়ত অদূর ভবিষ্যতে খুব খারাপ
সময় অপেক্ষা করছে বাংলাদেশীদের
জন্য।
সবাইকে ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্র:
১) জিএম সয়াবিন অশনি সঙ্কেত ( http://
goo.gl/llZb09 )
২) সয়াবিন উৎপাদনে জিন প্রযুক্তির
প্রয়োগ ও তার ভয়াবহ ফলাফল ( http://goo.gl/
kjy5xJ )
৩) অটিজমের কারণ জিএম সয়াবিন ( http://
goo.gl/cAeEAk )
৪) কেন্দ্রীয় ব্যাংক জিএম সয়াবিন তেল
আমদানির তথ্য চেয়েছে
( http://goo.gl/kV4sgb )
৫) জিএম ফুডের ভালো মন্দ : কৃষিবিদ
ফরহাদ আহাম্মেদ
( http://goo.gl/NoSf1L )
৬) খাদ্য উৎপাদ্ন নিরাপদ করার প্রশ্নে
( http://goo.gl/9gU7zb )
৭) মনসানটো নবযুগের ইষ্ট ইণ্ডিয়া
কোম্পানি? ( http://goo.gl/YsyKAp )
৮) জিএমও শস্যকে 'না' বলুন : জিএম খাদ্য
খেলে ব্রেস্ট, প্রোস্টেট এবং কোলন
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়-
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, উদ্যানতত্ত্ব
বিভাগ, শেরে বাংলা কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয় ( http://goo.gl/DMS4S2 )
৯) Top 10 Worst GMO Foods for Your GMO
Foods List ( http://goo.gl/zvJMsI )
১০) GMO alert: top 10 genetically modified
foods to avoid eating
( http://goo.gl/6D82Qr )
১১) এইডস গবেষনাগারে নির্মিত জীবাণু
অস্ত্র ( http://goo.gl/CzopYB , https://goo.gl/
nACq9T )
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/
No comments