Header Ads

ad728
  • Breaking News

    রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সমস্যা নয় আলাউদ্দিনের চেরাগ বানান

    গত কয়েকিন ধরে ফেসবুকে কিছু ছাত্র ইউনিয়ন ও বাম ঘরোনার আইডি থেকে অব্যাহত ভাবে চলছে রোহিঙ্গা বিরোধী প্রোপাগাণ্ডা। বাংলাদেশের ভারতপন্থী মিডিয়াগুলো অসহায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশীদের ক্ষেপিয়ে তুলছে। গতকালকে ভারত বলেছে- রোহিঙ্গা মুসলিমরা তাদের জন্য হুমকি,আর আজকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কলকাতায় গিয়ে শুধু সেই শিখিয়ে দেয়া কথার পুনরাবৃত্তি করেছে।
    রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমস্যার কথা যারা যারা উচ্চারণ করছে, তারা কিন্তু চাচ্ছে বাংলাদেশী-রোহিঙ্গাদের মধ্যে একটা বিরোধ লাগুগ। বিরোধ লাগলো সত্যিকার অর্থেই রোহিঙ্গারা একটা সমস্যায় পরিণত হবে। কিন্তু সেটা আমরা করতে দেবো কেন ? রোহিঙ্গাদের উপকারি বানানো যায় না ?
    আপনাদের মনে থাকার কথা , মায়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা শুরু হওয়ার পর সেখানে সফর করেছে মোদি। সে সময় মোদির সাথে চীনবন্ধু মিয়ানমারের হৃদ্যতা ছিলো চোখে পরার মত।
    একটু ভাবলেই চিন্তা করা সম্ভব, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সাথে কি কথা হতে পারে মোদির ?
    যেহেতু ঘটনার শুরুতে সেখানে তুরষ্কের নাক গলিয়েছে, তাই এই প্রথম রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে ভয় পেয়েছে মায়ানমার। এবং সম্ভবত, তারা ভারতকে অনুরোধ করেছে- রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা যেন বাংলাদেশকে সামাল দেয়। কারণ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের একমাত্র ভয়- যদি বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ট্রেনিং দিয়ে ফেরত পাঠায়, তবে আরাকান মায়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে সময় লাগবে না।
    মোদি যদি মায়ানমারের পক্ষে কাজ করে দেয়, তবে তার বিনিময়ে মায়ানমার যেভাবে চীনকে ব্যবসায়ীক সুবিধা দিয়েছে, ঠিক একইভাবে ভারতকেও ব্যবসায়ীক সুবিধা দেবে। আর এ কারণেই কুত্তার মত পাগল হয়েছে ভারত।
    আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি-
    রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের সামনে এক বিরাট সম্পদ ভর্তি সিন্দুক এনে দিয়েছে, যার চাবিও এখন বাংলাদেশের ভেতরে। সেই চাবির নাম রোহিঙ্গা।
    পৃথিবীর অনেক দেশই পাশ্ববর্তী দেশের বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেয়, তাই বলে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় না। বাংলাদেশের পাবর্ত উপজাতি বিদ্রোহীগ্রুপ গলোকে বহুদিন ধরে অস্ত্র সাপ্লাই দিচ্ছে ভারত, তাই বলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়নি। মায়ানমারের অনেক বিদ্রোহী গ্রুপকে সাপোর্ট দিচ্ছে চীন। অস্ত্র সাপ্লাই দিচ্ছে। তাই বলে চীন-মায়ানমারের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়নি। বিশ্ব রাজনীতিতে এটা খুব কমন বিষয়।
    রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তুরষ্ক এগিয়ে এসেছে, ইরান ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আগ্রহ দেখিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানরা ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের স্বাধীনতার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাদেশের উচিত, এই সব মুসলিম দেশকে এক সাথে দিনে রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে সম্মেলন ডাকা। মুসলিম দেশগুলো এক হলে সেখানে কথিত জঙ্গীবাদের ধূয়া তুলতে পারবে না পশ্চিমারা। ১০-১৫টা মুসলিম দেশের কিছু কিছু করে সৈন্য জড়ো হলে বিনাযুদ্ধেই আরাকান ছেড়ে পালাবে মায়ানমার বাহিনী।
    ৭১ সালের যুদ্ধের কথা চিন্তা করুন, মুক্তিযুদ্ধের লিড দিয়েছিলো পূর্ব পাকিস্তানের সেনা সদস্যরা। তাদের অধিনে ছিলো সিভিল মুক্তিযোদ্ধরা। দুই দল এক হতেই সহজ হয়েছে বিষয়টি। ঠিক একইভাবে শুধু রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র দিলে হবে না, সাথে কিছু সামরিকবাহিনী সদস্য প্রয়োজন, যারা মূল বিষয়টির নেতৃত্ব দিবে।
    আজকে খবরে দেখলাম, শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে বিভিন্ন অমুসলিম দেশের সাহায্য প্রার্থনা করছে। কিন্তু বাংলাদেশ এত বড় মনোভাব দেখানোর পরও এক হিসেবে শেখ হাসিনার কথার উত্তর না দিয়ে বাংলাদেশকে অবমাননা করতে চেয়েছে উগ্রবাদী ট্র্যাম্প। মনের দু:খে শেখ হাসিনা রয়টার্সের কাছে বলে ফেলেছে- ট্র্যাম্পের থেকে তিনি কোন সাহায্য প্রত্যাশা করেন না। আসলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলেই ক্ষমতায় এসেছে ট্র্যাম্প, সেখানে সে কিভাবে মুসলমানদের সহায়তা করতে পারে ?
    যাই হোক, জাতিসংঘে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাষন দিয়ে হয়ত কিছু আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন, কিছু মানুষের থেকে প্রশংসা পেতে পারেন। এর বেশি কিছু মনে হয় পাবেন না। তাই দেশে ফিরে শেখ হাসিনাকে ভিন্ন কিছু ভাবতে হবে। চিন্তা করতে হবে – মুসলিম দেশের শাসকদের ডেকে একটি সম্মেলনের আয়োজন করার। এবং কাজটি করতে হবে ভারতের মতের বিরুদ্ধে গিয়েই।


    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728