Header Ads

ad728
  • Breaking News

    দুই-চারটা ট্যাঙ্ক আর এয়্যারক্র্যাফট বেশি থাকলেই কি মায়ানমার বেশি শক্তিশালী হবে ?

    ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের কথা সবাই বলে। ভারত ১৭ বছর ধরে যুদ্ধাস্ত্র জমিয়ে ছিলো পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করার জন্য। ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ৯ এপ্রিল ঘোষণা দিলো সকাল ১০টার সময় লাহোরের শালিমার বাগানে গিয়ে সকালের নাস্তা হবে। ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানে প্রবেশ করে ৬০০ ট্যাক্স নিয়ে।
    দেশ বাচাতে আইয়ুব খান পাকিস্তানীদের উদ্দেশ্য খুব জোর গলায় ভাষণ দিলো। ঐ সময় পাকিস্তানের যুদ্ধাস্ত্র খুব একটা ছিলো না। ট্যাঙ্ক ধ্বংসে কেবল ভরসা ছিলো বুকে মাইন বেধে ট্যাঙ্কের নিচে শুয়ে পরা। আইয়ুব খানের গরম ভাষণ শুনে ৬০০ মুসলিম রাজী হয়ে গেলো জীবন বিসর্জন দিতে। বলাবাহুল্য সেই ৬০০ জানবাজের মধ্যে অধিকাংশ ছিলো পূর্ব পাকস্তানী তথা বাংলাদেশী।
    বাংলাদেশীদের অসীম সাহসীকতায় ধ্বংস হয় ভারতের অধিকাংশ ট্যাঙ্ক। ১৭ বছরে জমানো যুদ্ধাস্ত্র শেষ হয়ে গেছিলো মাত্র ১৭ দিনে। ভারতের তখন গো-হারার অবস্থা। বাধ্য হয়ে শাস্ত্রী চলে গেলো তৎকালীন কথিত সুপার পাওয়ার সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে। তাদের হাতে-পায়ে ধরে বললো - দু’ দেশের মধ্যে যেন সমঝোতা করে দেয়া হয়। এরপর সোভিয়েতের তাসখন্দে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতা হলো। এ ঘটনা দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণ হয়, যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে কখনই কোন বাহিনীর শক্তি মাপা যায় না।
    যুদ্ধাস্ত্র আর সেনা দিয়ে যদি শক্তি মাপাই যেতো, তবে ৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বাংলাদেশীদের হাতে আর কতটুকুই বা অস্ত্র ছিলো ? অপরদিকে পাকিস্তানের সবাই ছিলো সেনাসদস্য।
    ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনী যখন আত্মসমর্পন করে তখণ তাদের হাতে ৯৩ হাজার প্রশিক্ষিত সেনা । একবার সামরিক শক্তির কথা চিন্তা করে দেখুন তো, তখন পাকিস্তানের হারার কথা কি না ?
    গত কয়েকদিন আগে বিডিআর-এর সাবেক মহাপরিচালক বলছিলেন -২০০০ সালে সীমান্তে মায়ানমারের সাথে যুদ্ধের কথা। মায়ানমারের সেনা সদস্য তখন ২০-৩০ হাজার। সেখান বাংলাদেশের মাত্র আড়াই হাজার। তারপরেও যুদ্ধে ৬০০ বার্মীজ সেনা নিহত, মায়ানমারের সেনাপ্রধান কানে ধরে বললো- বাংলাদশের সাথে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়।
    হয়ত বলতে পারেন, এখন মায়ানমার তার যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা ও প্রযুক্তি বাড়িয়েছে। আমি বলবো- সেই মাথা মোটা বার্মীজ তো বার্মীজই আছে। অপর দিকে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কেন বাংলাদেশের বিজিবি মায়ানমার আর ভারতকে গোনায় ধরে না।
    কথায় আছে- বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়। গত কয়েকদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও কিছু বাংলাদেশী ফেসবুক আইডি থেকে যেভাবে মায়ানমারের কথিত যুদ্ধাস্ত্রে প্রশংসা করা হচ্ছে, তাতে সেই মনের বাঘের খাওয়ার কথাই মনে হচ্ছে বার বার।

    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728