অমুসলিমদের সাম্প্রদায়িকতা রুখতে চাই ‘মুসলমানদের ভাতৃত্ব’
কিছুদিন আগে ২০১৪ সালের একটি আর্টিকেল দেখছিলাম (http://bit.ly/2wWXoZP)। সেখানে পেলাম এ উপমহাদেশে মুসলিম বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর জন্য সরাসরি কাজ করছে ইহুদীরা। এজন্য ইহুদীরা বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরী করছে, যেমন-
১) আরএসএস : ভারতের সমস্ত হিন্দু সংগঠনগুলো মাদার সংগঠন। ভারতের মুসলিমবিরোধী সাম্প্রদায়িক পরিবেশ তারাই সৃষ্টি করেছে এবং তা রাজনীতিতে তার সফল প্রয়োগও ঘটিয়েছে। তারাই সবগুলো হিন্দু সংগঠন থেকে মোদিকে সিলেক্ট করে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য। ভারতের বিভিন্ন স্থানে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা তাদের নির্দেশনায় হয়। বর্তমানে ভারতের শিশুদের পাঠ্যপুস্তক তৈরী এবং মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে তৈরী করার দায়িত্ব এ সংগঠনটির কাছে। এদের মূল লক্ষ্য- ১০০% মুসলিমমুক্ত অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করা।
২) ৯৬৯ মুভমেন্ট : মায়ানমারে ২০০১ সাল থেকে এ সংগঠনটি কাজ করছে। এদের উদ্দেশ্য বৌদ্ধদেরকে স্থানীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা, গণহত্যা ঘটানো ও মুসলমানদের তাড়িয়ে দেয়া। এ সংগঠনের প্রধান হচ্ছে বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথু। উগ্রপন্থার দায়ে তাকে ২০০৩ সালে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১০ সালে অন্যান্য রাজবন্দির সঙ্গে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এ বছর রোহিঙ্গা নিধন ও তাড়িয়ে দেয়া প্রমাণ করে তারা কতটুকু সফলভাবে কাজ করেছে।
৩) বধু বালা সেনা (শ্রীলংকা) : মায়ানমারের মত এটাও পরিচালিত হয় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দ্বারা। ২০১২ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করে বৌদ্ধ ভিক্ষু Galagoda Aththe Gnanasara। কিছুদিন আগে মুসলমানদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য এই সংগঠনের একজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় (http://bit.ly/2gYd37j)। শ্রীলঙ্কা থেকে মুসলমান তাড়ানো এর প্রধান লক্ষ্য।
পাশাপাশি বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যেও ইহুদীদের প্রভাব বিস্তার শুরু হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের হিন্দুরা যে সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠছে তা সবার নজরে পরার কথা। বিষয়টি বুঝতে হলে আপনাকে ইসরাইলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদি ফেসবুক আইডিটি ঘাটতে হবে। ঘাটলেই পাবেন- বাংলাদেশী হিন্দুরা কিভাবে ইসরাইলে গিয়ে পরামর্শ নিচ্ছে, মিটিং করছে। জানতে পারবেন, কিভাবে বাংলাদেশের হিন্দুদের সংগঠিত করছে ইসরাইলের এ ব্যক্তি-
ক) http://bit.ly/2rvGOwP, খ) http://bit.ly/2jjTYxi, গ) http://bit.ly/2eSL04W, ঘ) http://bit.ly/2ff4P7e
ঙ) http://bit.ly/2xu7e8M, চ) http://bit.ly/2wUmQS3, ছ) http://bit.ly/2eRQexV
ক) http://bit.ly/2rvGOwP, খ) http://bit.ly/2jjTYxi, গ) http://bit.ly/2eSL04W, ঘ) http://bit.ly/2ff4P7e
ঙ) http://bit.ly/2xu7e8M, চ) http://bit.ly/2wUmQS3, ছ) http://bit.ly/2eRQexV
ভারত-মায়ানমার-শ্রীলংকায় ইহুদীপন্থী এ সাম্প্রদায়িক কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য যদি হয় মুসলিম নিধন বা মুসলমানদের তাড়িয়ে দেয়া তবে বাংলাদেশের হিন্দুদেরও যে একই উদ্দেশ্য আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
উপরের কার্যক্রম থেকে একটি বিষয় ক্লিয়ার, এ অঞ্চলে হিন্দু ও বৌদ্ধরা সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মুসলমানরা এখন অসাম্প্রদায়িক বা সেক্যুলার হয়ে আছে। আমার কথা হলো- অমুসলিমদের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মুসলমানরা সেক্যুলার হয়ে বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে তো ?
সাম্প্রদায়িকতা বিপরীতে অসাম্প্রদায়িকতা কতটুকু সফল ?
এর উপযুক্ত জবাব দিতে পারবে সম্ভবত মায়ানমারের মুসলমানরা। কারণ ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার সময় যখন আরাকান নামক স্বাধীন মুসলিম ভূমির কথা উঠেছিলো তখন তাতে বাধ সেধেছিলো মায়ানমারের কথিত অসাম্প্রদায়িক মুসলিম নেতারাই। আপনারা জানেন, মায়ানমারের জাতির পিতা বা মায়ানমার রাষ্ট্রের স্বপ্নদূত ছিলো সুকীর বাবা অং সাং। আর সেই অং সাং এর ডান হাত ছিলো মুসলিম নেতা উ রাজাক, যে ছিলো ‘বার্মা মুসলিম কংগ্রেস’ নামক একমাত্র মুসলিম রাজনৈতিক দলের চেয়্যারম্যান। মুসলমানরা যখন চাইলো পাকিস্তানের সাথে এক হতে, তখন জিন্নাহর সাথে মিটিং করলো অং সাং। বললো- আরাকানের আলাদা হওয়ার দরকার নাই, আমরা সকল মুসলমানকে সাংবিধানিক অধিকার দিবো। অং সাং এ বক্তব্যের সাথে উ রাজাকসহ সমস্ত মুসলিম নেতারা সাপোর্ট দিয়েছিলো। ফলে আরাকান আর মুসলমানদের থাকলো না, মায়ানমারের অংশ হলে গেলো। মুসলমান নেতাদের সেই অসাম্প্রদায়িক ভূমিকার কারণে কিছুদিন রোহিঙ্গাদের থেকে কয়েকজনকে এমপি করা হয়েছিলো। কিন্তু বেশি দিন সেই সুখ থাকলো না। ১৯৬২ থেকে আবার শুরু হলো রোহিঙ্গাদের উপর বৌদ্ধদের নির্যাতন, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত। দেশভাগের সময় যদি সকল মুসলিম নেতা অসাম্প্রদায়িকতা না দেখিয়ে মুসলমানদের জন্য পৃথক ভূমি চাইতো, তবে রোহিঙ্গাদের এত কষ্ট সইতে হতো না।
সাম্প্রদায়িকতা বিপরীতে অসাম্প্রদায়িকতা কতটুকু সফল ?
এর উপযুক্ত জবাব দিতে পারবে সম্ভবত মায়ানমারের মুসলমানরা। কারণ ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার সময় যখন আরাকান নামক স্বাধীন মুসলিম ভূমির কথা উঠেছিলো তখন তাতে বাধ সেধেছিলো মায়ানমারের কথিত অসাম্প্রদায়িক মুসলিম নেতারাই। আপনারা জানেন, মায়ানমারের জাতির পিতা বা মায়ানমার রাষ্ট্রের স্বপ্নদূত ছিলো সুকীর বাবা অং সাং। আর সেই অং সাং এর ডান হাত ছিলো মুসলিম নেতা উ রাজাক, যে ছিলো ‘বার্মা মুসলিম কংগ্রেস’ নামক একমাত্র মুসলিম রাজনৈতিক দলের চেয়্যারম্যান। মুসলমানরা যখন চাইলো পাকিস্তানের সাথে এক হতে, তখন জিন্নাহর সাথে মিটিং করলো অং সাং। বললো- আরাকানের আলাদা হওয়ার দরকার নাই, আমরা সকল মুসলমানকে সাংবিধানিক অধিকার দিবো। অং সাং এ বক্তব্যের সাথে উ রাজাকসহ সমস্ত মুসলিম নেতারা সাপোর্ট দিয়েছিলো। ফলে আরাকান আর মুসলমানদের থাকলো না, মায়ানমারের অংশ হলে গেলো। মুসলমান নেতাদের সেই অসাম্প্রদায়িক ভূমিকার কারণে কিছুদিন রোহিঙ্গাদের থেকে কয়েকজনকে এমপি করা হয়েছিলো। কিন্তু বেশি দিন সেই সুখ থাকলো না। ১৯৬২ থেকে আবার শুরু হলো রোহিঙ্গাদের উপর বৌদ্ধদের নির্যাতন, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত। দেশভাগের সময় যদি সকল মুসলিম নেতা অসাম্প্রদায়িকতা না দেখিয়ে মুসলমানদের জন্য পৃথক ভূমি চাইতো, তবে রোহিঙ্গাদের এত কষ্ট সইতে হতো না।
তাই আজকে যারা আপনাকে অসাম্প্রদায়িক হতে বলে, দয়া করে তাদের রোহিঙ্গাদের অবস্থানটা দেখিয়ে দিবেন। বলে দিবেন- অমুসলিমদের সাম্প্রদায়িকতার বিপরিতে মুসলমানরা অসাম্প্রদায়িক হলে থাকলে শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে রোহিঙ্গাদের মত সমুদ্রে ডুবে মরা ছাড়া উপায় নেই।
তাহলে মুসলমানরা এখন কি করবে ?
প্রথমে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুসলমানদের ‘অসাম্প্রদায়িকতা’ নামক টিউমারকে কেটে ফেলতে হবে। তবে অমুসলিমদের সাম্প্রদায়িকতার রুখতে মুসলমানরা তো আর সাম্প্রদায়িক হতে পারে না, মুসলমানদের চালু করতে হবে ‘মুসলিম ভাতৃত্ববোধ’। অর্থাৎ মুসলমান শুধু মুসলমানের জন্য হবে। অমুসলিমরা তাদের সাহায্য করতে আসলে সেটা নেয়া যেতে পারে, কিন্তু মুসলমানদের সবকিছু হবে শুধুই মুসলমানদের জন্য।
-মুসলমানরা পণ্য কয় করবে মুসলমান দোকানি থেকে,
-মুসলমানরা চাকুরী দেবে মুসলমানকে,
-মুসলমানরা মুসলিম সেলুন থেকে চুল কাটবে,
-মুসলিম চালকের গাড়িতেই চলবে,
-মুসলমানদের অনুষ্ঠানেই কেবল যাবেন এবং অর্থ দেবেন,
-মুসলমানদের হোটেলের খাবার খাবে,
-বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ মুসলিম কোম্পানিকেই দেবেন,
-মুসলিম শিক্ষকের কাছে ছেলে-মেয়ে প্রাইভেট পড়াবেন,
- পণ্য কয়ের সময় মুসলিম কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দেবেন,
-আর্থিক অনুদান বা সাহায্য কেবল মুসলমানকেই দেবেন
প্রথমে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুসলমানদের ‘অসাম্প্রদায়িকতা’ নামক টিউমারকে কেটে ফেলতে হবে। তবে অমুসলিমদের সাম্প্রদায়িকতার রুখতে মুসলমানরা তো আর সাম্প্রদায়িক হতে পারে না, মুসলমানদের চালু করতে হবে ‘মুসলিম ভাতৃত্ববোধ’। অর্থাৎ মুসলমান শুধু মুসলমানের জন্য হবে। অমুসলিমরা তাদের সাহায্য করতে আসলে সেটা নেয়া যেতে পারে, কিন্তু মুসলমানদের সবকিছু হবে শুধুই মুসলমানদের জন্য।
-মুসলমানরা পণ্য কয় করবে মুসলমান দোকানি থেকে,
-মুসলমানরা চাকুরী দেবে মুসলমানকে,
-মুসলমানরা মুসলিম সেলুন থেকে চুল কাটবে,
-মুসলিম চালকের গাড়িতেই চলবে,
-মুসলমানদের অনুষ্ঠানেই কেবল যাবেন এবং অর্থ দেবেন,
-মুসলমানদের হোটেলের খাবার খাবে,
-বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ মুসলিম কোম্পানিকেই দেবেন,
-মুসলিম শিক্ষকের কাছে ছেলে-মেয়ে প্রাইভেট পড়াবেন,
- পণ্য কয়ের সময় মুসলিম কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দেবেন,
-আর্থিক অনুদান বা সাহায্য কেবল মুসলমানকেই দেবেন
সারা বিশ্বে ‘মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে’ এটা আপনাকে মানতেই হবে। এবং সেই নির্যাতন করছে সাম্প্রদায়িক অমুসলিমরা। আপনি মুসলিম হিসেবে তো খুব ভদ্রলোক, গুড বয়, তাই ওদের মত সাম্প্রদায়িক হতে পারবেন না। খুব ভালো কথা, তবে সাম্প্রদায়িক না হোন, অন্তত মুসলিম-মুসলিম ভাতৃ্ত্ব চালু করুন, দেখবেন অনেকটা কাজ হবে।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/
No comments