Header Ads

ad728
  • Breaking News

    রোহিঙ্গাদের জন্য মুসলিম বিশ্বের করণীয়...

    বাংলাদেশে প্রায় ৩ লক্ষ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে, এর আগে ছিলো আরো ৫ লক্ষ। মায়ানমারের সরকারি হিসেব মতে সেখানে রয়ে গেছে আরো ৫ লক্ষ । রোহিঙ্গাদের জন্য সবাই খাদ্য-পানীয় নিয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই এ খাদ্য-পানীয় জরুরী। কিন্তু কতক্ষণ আপনি তা সরবরাহ করবেন ?
    বাংলাদেশে প্রবেশের পর নির্দ্দিষ্ট সীমানার মধ্যে রোহিঙ্গাদের সরকারীভাবে আটকে রাখা হয়েছে। অনেকটা খাচার মত। তারা কিছু করতে পারবে না, তাদের শুধু সরবরাহ করতে হবে। কথাটা শুনতে খারাপ শোনা গেলেও বাস্তবতা- খাচায় আটকানো রোহিঙ্গাদের যতদিন আপনি খাবার দিবেন, তারা ততদিন খাবে, এর কিন্তু কোন সীমা-পরিসীমা নেই। আমি আবার বলছি- আমি কিন্তু আবেগী নই, আবেগ দিয়ে কিছু নির্ধারণ করা যায় না। চাই বাস্তবতা। আমার বলার উদ্দেশ্য- চিন্তা করে দেখুন: খাদ্যের থেকেও রোহিঙ্গাদের আরো বেশি কিছু দরকার আছে।
    সেটা কি ??
    সবাইকে একটা কথা বুঝতে হবে-
    মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের সাথে শুধু রোহিঙ্গারা জড়িত নয়, সারা বিশ্বের মুসলিম স্বার্থ জড়িত। পৃথিবীতে মোট রাষ্ট্র আছে ১৯৩টি (জাতিসংঘ সদস্য), যার সবগুলোতেই কম বেশি মুসলমান আছে। এর মধ্যে মুসলিম রাষ্ট্র ৫৭টি (ওআইসিভূক্ত)। ধরলাম ৫৭টি রাষ্ট্রে মুসলিমরা ঠিকঠাক মত আছে। কিন্তু আজকে যদি মায়ানমারের রোহিঙ্গা বিতারণ দেখে বাকি (১৯৩-৫৭)=১৩৬টি রাষ্ট্রের অমুসলিমরা ঐ দেশের মুসলমানদের বের করে দেয়। তবে কি হবে ??
    কিছুদিন আগে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) আ ল ম ফজলুর রহমান একটি বেসরকারি টিভির টকশোতে একটা কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন- ২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে ট্রেনিং দিয়ে মায়ানমারে পাঠানো দরকার।
    আমি ফজলুর রহমান সাহেবের কথাকে সমর্থন দিয়ে বলবো- রোহিঙ্গাদের বের করে দিয়েছে, এটা নিয়ে চুপ থাকলে চলবে না, রোহিঙ্গাদের পুনরায় তাদের ভূমিতে ফিরিয়ে দিতে হবে। এবং মায়ানমার সরকার যে মুসলমানদের হত্যা করেছে তার পেনাল্টি হিসেবে পুরো ভূমি মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, মানে স্বাধীন রাষ্ট্র বানিয়ে ফিরিয়ে দিতে হবে। তবেই কোন দেশ থেকে মুসলমানদের বের করে দিলে ‘কত ধানে কত চাল’ তার নজির স্থাপিত হবে, এতে অন্য অমুসলিম রাষ্ট্রগুলো তাদের দেশে মুসলমানদের গায়ে হাত দিতে ভয় করবে।
    এক্ষেত্রে যেটা করতে হবে- সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে এক হয়ে রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র দিতে হবে এবং স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সহায়তা করতে হবে।
    আমি জানি, এখানে প্রথম যে কথাটি আসবে, কথিত জঙ্গীবাদের ভয়।
    মনে রাখবেন, যে কোন যুদ্ধে পরাজিত বা নিপীড়িত ব্যক্তি সব সময় দোষী হয়। আজকে মুসলমানদের পাখির মত গুলি করে মারছে মায়ানমার বাহিনী, সেটাতে তারা জঙ্গী হচ্ছে না, কিন্তু অস্ত্রহীন রোহিঙ্গাদেরই বাঙালী সন্ত্রাসী নামে ডাকা হচ্ছে। আজকে মুসলমানরা অস্ত্র হাতে তুলে দিয়ে আরাকান স্বাধীন করুক, তখন দেখবেন তাদের জঙ্গী না বলে সবাই মুক্তিযোদ্ধা, বীর ইত্যাদি উপাধি দিয়ে ডাকছে।
    তবে পুরো কার্যক্রম করার জন্য বিশেষ সতকর্তার দরকার আছে। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই আইএস নাম দিয়ে বিভিন্ন সংগঠন তৈরী করে মুসলমানদের হেনস্থা করছে। তাই রোহিঙ্গাদের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কোনভাবেই ইনভলব হতে দেয়া যাবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা তার অনুগত সংস্থাগুলো উপর দিয়ে ভালো কথা বলে সংযুক্ত হলেই স্বাধীনতাবাদী রোহিঙ্গারা হয়ে যাবে জঙ্গীবাদী। তাই রোহিঙ্গাদের আমেরিকা ও তার সহযোগীদের ষড়যন্ত্র বুঝতে হবে এবং তাদের সংসর্গ ও ফান্ডিং থেকে দূরে থাকতে হবে। নয়ত আরাকান স্বাধীনের নামে তারা ভিন্ন কূটপ্ল্যান বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে।
    হয়ত ভাবতে পারেন, বিষয়টি অনেক জটিল।
    না মোটেও জটিল না।
    অমুসলিমরা এত জটিল জটিল প্ল্যান করলে, মুসলমানরা এতটুকু করতে পারবে না, এটা কি হয়?
    যে সব মুসলিম দেশ আইএসকে ইহুদীবাদী অনুচর বলে ঘোষণা করেছে এবং রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে আসছে, তারাই এক হয়ে রোহিঙ্গাদের অস্ত্র সরবরাহ করুক। মুসলিম রাষ্ট্রের সরকাররা এক হয়ে কাজটি করলে এখানে কথিত জঙ্গীবাদের কথা মুখেও আনতে পারবে না। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো সামান্য সাহায্য পেলে আরাকান নামক স্বাধীন ভূমিতে নিরাপদে বাস করতে পারবে রোহিঙ্গারা।


    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728