Header Ads

ad728
  • Breaking News

    রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, এই মূল কারণ অনুসন্ধান করা জরুরী

    বিষয়টি আরো অধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই সমস্যার সাথে বাংলাদেশও ওতোপ্রতভাবে জড়িত।
    আলোচনার জন্য চাই দীর্ঘ সময়, তবে সংক্ষেপে কিছু বিষয় বলবো, আপনারা মনে রাখার চেষ্টা করবেন।
    বিষয়টা গুরুত্ব দেবেন এ কারণে, এ বিষয়টির সাথে শুধু রোহিঙ্গারা নয়, আপনার বাংলাদেশ, মানে আপনিও জড়িত। সুতরাং বি-সিরিয়াস।

    লেখাটি পড়ার আগে, আপনারা আজ থেকে ১ বছর আগে আমার লেখা “বাংলাদেশ কেন বিশ্বের বুকে হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ?” এর চতুর্থ পর্ব (http://bit.ly/2ehmojR) লেখাটি পড়ে আসুন।
    এই লেখাটির মধ্যে আমি বলেছিলাম বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ২০০ ট্রিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস মজুদ পাওয়া গেছে, যা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে সর্ববৃহৎ। ডিপ্ল্যোম্যাটে প্রকাশিত সেই খবরে আরো বলা হয়েছিলো বাংলাদেশ সম্ভবত নেক্সট এনার্জি সুপারপাউয়ার (সৌদি আরবের মত ?) লিঙ্ক-http://bit.ly/1qGzua9

    ছবির ম্যাপের দিকে খেয়ার করুণ- আমার খুব বেশি ধারণা, সম্ভবত ছবিতে লাল গোল চিহ্নিত অংশেই সেই গ্যাস (গ্যাস থাকলে তেলও থাকবে) সম্পদগুলো আছে। যা শুরু হয়েছে কক্সবাজার থেকে শুরু হয়ে মায়ানামরের রাখাইনের উপকূল পর্যন্ত পৌছেছে।

    এজন্য দেখবেন-
    কক্সাবাজারের কুতুবদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে চীন (http://bit.ly/2j4Su9Q)
    কক্সাবাজারের মহেশখালীতে সোনাদিয়া সমুদ্রবন্দর করতে চায় চীন (http://bit.ly/2wJ633C)
    ভারতও চায় কক্সবাজারের মহেশখালীতে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে। এটা নিয়ে চীন-ভারত দন্দ্বও হয়। (http://bit.ly/2f6SO3v
    কারণ গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের অজুহতে এ অঞ্চরের সম্পদের উপর আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যাবে।
    রাশিয়ার সরকারী সংবাদ সংস্থা স্পুটনিকের দেয়া তথ্য অনুসারে, ২০০৪ সালে রাখাইনের উপকূলীয় এলাকায় বিশাল গ্যাস ও তেল সম্পদের খবর পায় চীন। এবং তারা সেখান থেকে একটি বিশাল গ্যাস ও তেল যাওয়ার পাইপ লাইন তৈরী করে যা চীন পর্যন্ত পৌছে। এই পাইপলাইনের নাম Sino-Myanmar pipelines (http://bit.ly/2waUGOB) ২৮০৬ কিলোমিটার লম্বা এই পাইপলাইনের সাহায্যে বছরে ১২ মিলিয়ন টন তেল এবং ১২ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস চীনে পৌছাবে। তারমানে খুব শিঘ্রই হয়ত চীন বাংলাদেশের সাথে সরাসরি এই গ্যাস ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কেনা-বেচায় বসবে এতে সন্দেহ নাই। এবং সেই গ্যাস ও তেল নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে পাইপ নির্মাণের কাজও শেষ !!

    এবার আসি, আমেরিকার দিকে। আমেরিকা কখনই চাইবে না চীন এই জ্বালানি সম্পদের মালিক হোক।
    এর কারণ-যদি চীন বিপুল তেল-গ্যাসের মালিক হয়ে পৃথক অর্থনৈতিক সিস্টেম গড়ে তুলে তবে আমেরিকার অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়বে, ফলে ভেঙ্গে যাবে আমেরিকার সম্রাজ্যবাদও। তাই আমেরিকা চাই এখানে যুদ্ধ বাধিয়ে দেবে, তবুও চীনকে এই সম্পদের মালিক হতে দেবে না।

    গতকালকে জর্জ সরোস নামক এক মার্কিন-হ্যাঙ্গেরিয়ান ইহুদী তেল ব্যবসায়ীর কথা বলেছিলাম। উইকিপিডিয়ার দেয়া তথ্য মতে, জর্জ সরোস পৃথিবীর ৩০তম শীর্ষ ধনী, যার বিশ্বের বড় বড় ১১টি তেল কোম্পানিতে শেয়ার আছে। বাংলাদেশের ইউনুসের গ্রামীন ব্যাংক বা গ্রামীন ফোনেও এই ইহুদীর ইনভেস্ট আছে। (http://bit.ly/2wLFh9i)
    এই ইহুদী তেল ব্যবসায়ী প্রায় ২ যুগ ধরে মিয়ানমারে কাজ করে যাচ্ছে। ফিল্ড পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পগুলোতেও সাহায্যের নাম করে আসে এই ইহুদী (http://bit.ly/2waWGGx)। তেল-গন্ধ পেয়েই যে তেল ব্যবসায়ী এসেছে এতে সন্দেহ নাই। আর সেই তেল কি না, চীন নিয়ে যাচ্ছে !!!

    লেখা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, পরের লেখার অপেক্ষায় থাকুন……



    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728