যতদিন মুসলমানরা পৃথক বলয় তৈরী করতে না পারবে, ততদিন মুসলমানরা এতিম হয়েই থাকবে

১) মায়ানমার থেকে জীবন নিয়ে আসা সকল রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হোক, একজন রোহিঙ্গাকেও যেন ফিরিয়ে দেয়া না হয়।
২) তাদের একটি নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে অবস্থান করতে দেয়া হোক,
৩) তাদের অস্থায়ী ঘর/তাবু তৈরী করে দেয়া হোক,
৪) তাদের খাদ্য ও জরুরী চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হোক,
৫) তাদের পানীয়/পয়োঃনিষ্কাশন সেবার অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হোক,
৬) দেশী/বিদেশী ত্রাণসামগ্রী যেন রোহিঙ্গাদের কাছে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন হয়, অপচয়/চুরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হোক।

আপাতত উপরের বিষয়গুলো জরুরী, এরপর বাংলাদেশের উচিত হবে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বসা।
না ! কোন অমুসলিমের কাছে বিচার চেয়ে লাভ নেই।
জাতিসংঘের অপর নাম ইহুদীসংঘ, ওরা উপর দিয়ে যত কথাই বলুক,
আলটিমেটলি ওরা আন্তর্জাতিক ইহুদীবাদীদের স্বার্থ হাসিল করে।
বাংলাদেশের উচিত মুসলমানদেশগুলো সাথে এক হওয়া।
যেহেতু তুরস্ক এগিয়ে এসেছে, তাই তুরস্করে নেতৃত্বে অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এক হয়ে মায়ানমারের সাথে দেনদরবার করা। দাবি থাকবে-

ক) রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদের নিজভূমিতে সুস্থভাবে ফিরে যেতে দিতে হবে।
খ) তাদের উপর আর গণহত্যা চালানো যাবে না।
গ) যাদের উপর নির্যাতন চলছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর যারা গণহত্যা করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সমস্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এক হয়ে মায়ানমারকে চাপ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে চীন-আমেরিকা-রাশিয়া আর জাতিসংঘের পায়ে ধরলে তারা শুধু নিজেদের স্বার্থগুলো আগে দেখবে আর মুসলমানদের আধার বানিয়ে খাবার শিকার করবে। বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে মুসলমান নির্যাতনের মূল কারণ- মুসলমানদের কোন মা-বাপ নাই। একজন অমুসলিম মরলে সারা বিশ্ব থেকে অমুসলিমরা হুঙ্কার দিয়ে উঠে। কিন্তু হাজার হাজার মুসলমান মরলে সব মুসলমান এক হয়ে উঠে না, বরং যারা হত্যাকারী তাদের পায়ে ধরে, বিচারের জন্য হত্যাকারীর দিকে চেয়ে থাকে। যতদিন পর্যন্ত মুসলমানরা পৃথক বলয় তৈরী করতে না পারবে, ততদিন মুসলমানরা বাপ-মা'হীন এতিম হয়েই থাকবে।

---------------------------------------------------

--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।

--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/