দেবী দূর্গাকে যৌনকর্মী বলায় বিপাকে পড়েছে ভারতের দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক
দেবী দূর্গাকে যৌনকর্মী বলায় বিপাকে পড়েছে ভারতের দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক (http://bbc.in/2xyj9Bm)। ঐ অধ্যাপকের সাসপেন্ড চেয়েছে অনেকে। আসলে এসব বিষয়ে কথা বলা আমি পছন্দ করি না। আমি চাইনা কোন ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করতে। তবে প্রত্যেকটা ঘটনার ভেতরে ঢোকা আমার শখ। আমি প্রত্যেক পোস্টে সেটাই চেষ্টা করি। দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কেদার মণ্ডল কেন এ ধরনের মন্তব্য করলো সেটা খুজতে গিয়ে পেলাম এক ব্রাহ্মণ ছেলের একাউন্টে এক ইতিহাস। ২০১৫ সালে লেখা সায়ন্ত ভট্টাচার্জ নামক ঐ ছেলের একাউন্ট থেকে পুরো স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরলাম-
///////………দেবী দুর্গা আসলে ফ্রি সেক্স-এর দেবী।
শাস্ত্রে ও পুথিতে দেবী দুর্গাকে প্রজননের, উদ্দাম যৌবনের ও অবাধ মদ্যপানের দেবী বলে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ তার একটি নিদর্শণ তামিল মহাকাব্য শিলপদ্দিকারম। সেখানে দুর্গার যে তামিল রূপ, কোররাবাই, তিনি মদ মাংস ও অবাধ যৌনাচারের দেবী। এ-প্রসঙ্গে প্রাচীন স্মার্ত পুথিকার জিমূতবাহনের ‘কালবিবেক’, রঘুনন্দনের অষ্টাবিংশতিতত্ত্ব’, শূলপাণির দুরগোৎসববিবেক আলোচিত হতে পারে ৷ খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে বিহারের সহরসার রাজা শালিবাহনের পুত্র জিমূতবাহন লিখেছিলেন কালবিবেক ৷ চতুর্দশ শতকে নবদ্বীপে জন্মানো পণ্ডিত শূলপাণির লেখা অনেক গ্রন্হের অন্যতম হল দুরগোৎসববিবেক ৷ এই তিনজনের লেখাতেই দেখা যাচেছ, দুর্গা পুজোয় আমোদ-প্রমোদই প্রধান এবং মদ্যপান বিধেয়৷ তাঁরা লিখেছেন, “আদিম রিপুর প্রবৃত্তি এবং অবাধ যৌনাচারের হুল্লোড় না থাকলে দেবী প্রসন্না হতেন না ৷ বরং, কুপিতা এই দেবী উপাসকদের প্রাণভরে অভিশাপ দিতেন৷”
কথাসরিþৎসাগর-এর ‘বেতালপঞ্চবিংশতি’ অংশে একাদশ শতকের পণ্ডিত সোমদেব ভট্ট বলেছেন, রাজা যশকেতুর রাজ্যে মহিষের কাটা মুণ্ড-র উপর নৃত্যরতা আঠারো হাত বিশিষ্ট এক দেবীর কথা, দস্যু ও ডাকাতরা যার কাছে নরবলি দিত। শাস্ত্র মতে এই দেবীর নাম ‘পাতালভৈরবী’। একই সঙ্গে তারা লিখেছেন দেবীর পুজোয় অবাধ যৌনাচারের কথাও।
শুধু তাই নয়, স্কন্ধ পুরাণে আছে যে পার্বতী ভগবান বিষ্ণুর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। ঠিক এমন সময় সেখানে গনেশ এসে হাজির। গনেশ ছিল পার্বতীর আপন ছেলে। তখন পার্বতী গনেশের থেকে নিজেকে লুকানোর জন্য নিজ চেহারা তুলশীর চেহারায় পরিবর্তন করে ফেলে। তুলশীর সাথে গনেশের পূর্ব থেকে যৌন সম্পর্ক ছিল। তখন গনেশ নিজ মা পার্বতীকে তুলশী ভেবে তার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হন। পরবর্তীতে এই ঘটনা মহাদেব জানতে পেরে অভিশাপ দিয়ে নিজ ছেলে গনেশের মাথা হাতির মাথায় পরিবর্তন করে দেয় । (স্কন্ধ পুরাণ, নাগর খন্ডম ৪৪৪১, পৃঃ১-১৬)।
পার্বতী হলো দূর্গার অপর নাম। যখন মহাদেবের প্রমত্ত যৌন উত্তেজনার ফলে পার্বতী মরনাপন্ন হয়ে পড়ে, তখন পার্বতী প্রান রক্ষার জন্য ভগবান কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে প্রার্থণা করতে থাকে। এ অবস্থায় কৃষ্ণ তার সুদর্শন চক্রের দ্বারা উভয় লিঙ্গ কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পার্বতীর প্রান রক্ষা করেন। আর এই স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য প্রবর্তন হয় এই যুক্তলিঙ্গ পূজা । (ভগবত, নবম স্কন্ধঃ৫৯৮)।……//////
(সূত্র: http://bit.ly/2xo019F, আর্কাইভ- http://archive.is/HVFc1)
আমার ধারণা সম্ভবত এই ইতিহাস পাঠ করেই দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কেদার মণ্ডল এই মন্তব্য করেছেন। কাউকে আঘাত স্ট্যাটাসটা দিতে চাইনি। তাই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
--আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/
No comments