অমুসলিম কখনই চাইবে না মুসলমানরা এক হয়ে যাক, হয়ে গেলেই তাদের বিপত্তি
গতকালকে একটা নিউজ পোর্টালে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য কানওয়াল সিবালের একটা সাক্ষাৎকার পড়ছিলাম। সাক্ষাৎকারে কানওয়ালে একটা কথা আমার খুব মনে ধরেছে। কানওয়ালা বলেছে-“বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সারা দুনিয়ার নানা প্রান্তের মুসলিমরা কেন এককাট্টা হয়ে যান ?” (http://bit.ly/2xf7Xcr)
মুসলিমরা ‘একাট্টা’- এই বিষয়টা অমুসলিমদের জন্য খুব পীড়াদায়ক একটা বস্তু। অমুসলিম কখনই চাইবে না মুসলমানরা এক হয়ে যাক, হয়ে গেলেই তাদের বিপত্তি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে রোহিঙ্গা ইস্যুটা নিয়ে বিভিন্ন মহলে মোবাইলে যোগাযোগ করেছিলাম। অনেক জ্ঞানী-গুনি ব্যক্তির সাথে আলাপ করেছি। তাদের নিরপেক্ষ মতামত নেয়ার চেষ্টা করেছি। সবাই একটা কথাই বলেছে- রোহিঙ্গা ইস্যুটা এমন এক ইস্যু, যেটাকে মুসলমানদেরই সমাধান করতে হবে। কোন অমুসলিম রাষ্ট্র বা সংগঠন এর জন্য এগিয়ে আসবে না।
ইতিমধ্যে বিষয়টি দৃশ্যমান হয়েছে-
যে চীন-ভারত পরষ্পরের সাথে সাপে নেওলে সম্পর্ক, অথচ রোহিঙ্গা বিরোধী ইস্যুতে কিন্তু তারা এক হয়ে গেছে। রাশিয়া মুসলমানদের সাথে ভালো সম্পর্ক প্রদর্শন করলেও রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে তারা মায়ানমারের সাপোর্ট নিয়েছে। ২রা সেপ্টেম্বর নিউজে পড়লাম, আমেরিকা গণহত্যা বন্ধ করতে আহ্ববান করেছে, কিন্তু ৮ই সেপ্টেম্বর খবরে আসলো- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিথার নাউয়ার্ট বলেছে- গণহত্যার খবর সত্যতা পায়নি আমেরিকা। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানাতে অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। (http://bit.ly/2w2lSj5)
জাতিসংঘ ঘটনা শুরুর ১৮ দিন পর শুধু নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, কিন্তু কার্যকরি কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশার আলো দিয়ে কেবল সময় ক্ষেপন করছে।
যে চীন-ভারত পরষ্পরের সাথে সাপে নেওলে সম্পর্ক, অথচ রোহিঙ্গা বিরোধী ইস্যুতে কিন্তু তারা এক হয়ে গেছে। রাশিয়া মুসলমানদের সাথে ভালো সম্পর্ক প্রদর্শন করলেও রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে তারা মায়ানমারের সাপোর্ট নিয়েছে। ২রা সেপ্টেম্বর নিউজে পড়লাম, আমেরিকা গণহত্যা বন্ধ করতে আহ্ববান করেছে, কিন্তু ৮ই সেপ্টেম্বর খবরে আসলো- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিথার নাউয়ার্ট বলেছে- গণহত্যার খবর সত্যতা পায়নি আমেরিকা। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানাতে অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। (http://bit.ly/2w2lSj5)
জাতিসংঘ ঘটনা শুরুর ১৮ দিন পর শুধু নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, কিন্তু কার্যকরি কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশার আলো দিয়ে কেবল সময় ক্ষেপন করছে।
আমি মুসলমানদের একটা কথা বার বার বলছি, রোহিঙ্গা ইস্যুটি এই অঞ্চলে একটি সমস্যার শুরু মাত্র। আস্তে আস্তে সকল মুসলমানদের মধ্যে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়বে, তখন তারা কি করবে ?
খবর নিয়ে জানা গেছে, আরাকান রাজ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের একটি প্রচলিত বিশ্বাস বা ভবিষ্যত বাণী আছে। সেটা হলো- “আরাকান রাজ্য এক সময় মুসলমানরা দখল করবে।” এ কারণে তারা শুধু গণহত্যা করে ক্ষান্ত হয় না, রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে এলাকাশূণ্য করার প্রতি গুরুত্ব দেয়।
বৌদ্ধদের ভবিষ্যত বানী খুজতে গিয়ে দেখলাম, এ অঞ্চলগুলো সম্পর্কে মুসলমানদেরও কিন্তু অনেক ভবিষ্যতবাণী প্রচলিত আছে। মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ হাদীসে ‘গাজওতুল হিন্দ’ নামক একটি যুদ্ধ সম্পর্কে ভবিষ্যত বাণী পাওয়া যায়, যেই যুদ্ধে মুসলমানরা এই অঞ্চলে কর্তৃত্ব দখল করবে । একই ধরনের ভবিষ্যতবাণী পাওয়া শাহ নেয়ামতুল্লাহ নামক এক মুসলিম ধার্মীকের কবিতায়। তিনিও ভবিষ্যতবাণী করেন- এ অঞ্চলে মুসলিমরা কর্তৃত্ব করবে এবং মূর্তিপূজকরা বিলীন হবে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, আরাকান রাজ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের একটি প্রচলিত বিশ্বাস বা ভবিষ্যত বাণী আছে। সেটা হলো- “আরাকান রাজ্য এক সময় মুসলমানরা দখল করবে।” এ কারণে তারা শুধু গণহত্যা করে ক্ষান্ত হয় না, রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে এলাকাশূণ্য করার প্রতি গুরুত্ব দেয়।
বৌদ্ধদের ভবিষ্যত বানী খুজতে গিয়ে দেখলাম, এ অঞ্চলগুলো সম্পর্কে মুসলমানদেরও কিন্তু অনেক ভবিষ্যতবাণী প্রচলিত আছে। মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ হাদীসে ‘গাজওতুল হিন্দ’ নামক একটি যুদ্ধ সম্পর্কে ভবিষ্যত বাণী পাওয়া যায়, যেই যুদ্ধে মুসলমানরা এই অঞ্চলে কর্তৃত্ব দখল করবে । একই ধরনের ভবিষ্যতবাণী পাওয়া শাহ নেয়ামতুল্লাহ নামক এক মুসলিম ধার্মীকের কবিতায়। তিনিও ভবিষ্যতবাণী করেন- এ অঞ্চলে মুসলিমরা কর্তৃত্ব করবে এবং মূর্তিপূজকরা বিলীন হবে।
যাক, আমি সেই ভবিষ্যতবাণীর দিকে যাবো না, তবে এতটুকু বুঝি, এ অঞ্চলে কোন ইস্যুকে কেন্দ্র করে মুসলমানরা এককাট্টা হোক সেটা অন্য ধর্মাবলম্বীরা চাইবে না, কারণ তার পেছনে তারা অন্য কিছু চিন্তা করে। তাই তারা মুসলিম পক্ষে কোন সাপোর্টও দিবে না।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মুসলমানদের একটি কথা চিন্তা করতে হবে, আজকে রোহিঙ্গাদের যে অবস্থা হচ্ছে, কালকে যদি সে অবস্থা তাদের হয়, তখন কোন অমুসলিম দেশ তাকে সহায়তা দিবে ? আমি প্রথম দিন থেকেই বলছি- এই অবস্থা নিরসনে মুসলমানদের একটি আলাদা বলয় তৈরী করা উচিত, যারা কোন মুসলিম দেশ আক্রান্ত হলেই সাহায্যে এগিয়ে যাবে, এছাড়া কোন সমাধান দেখি না।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মুসলমানদের একটি কথা চিন্তা করতে হবে, আজকে রোহিঙ্গাদের যে অবস্থা হচ্ছে, কালকে যদি সে অবস্থা তাদের হয়, তখন কোন অমুসলিম দেশ তাকে সহায়তা দিবে ? আমি প্রথম দিন থেকেই বলছি- এই অবস্থা নিরসনে মুসলমানদের একটি আলাদা বলয় তৈরী করা উচিত, যারা কোন মুসলিম দেশ আক্রান্ত হলেই সাহায্যে এগিয়ে যাবে, এছাড়া কোন সমাধান দেখি না।
গতকালকে একটি খবর খুব ভালো লেগেছে, খবরটা হলো-
“রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্য করতে চায় পাকিস্তান ও ইরানের সামরিক বাহিনী।”
খবরে বলা হয়- পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ও ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে দ্রুত মানবিক ত্রাণ বিতরণে মুসলিম বিশ্বের সব দেশের সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক সংস্থাকে তাদের সম্পদ ও স্থাপনা ব্যবহার করতে গুরুত্বারোপ করেন। (http://bit.ly/2fuaeHx)
গত কয়েকদিন আগে ইচ্ছায় হোক আর ভুল করে হোক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই কথা বলে ফেলেছেন- মুসলিম বিশ্বকে এক হতে হবে। (http://bit.ly/2fdviVR)
“রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্য করতে চায় পাকিস্তান ও ইরানের সামরিক বাহিনী।”
খবরে বলা হয়- পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ও ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে দ্রুত মানবিক ত্রাণ বিতরণে মুসলিম বিশ্বের সব দেশের সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক সংস্থাকে তাদের সম্পদ ও স্থাপনা ব্যবহার করতে গুরুত্বারোপ করেন। (http://bit.ly/2fuaeHx)
গত কয়েকদিন আগে ইচ্ছায় হোক আর ভুল করে হোক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই কথা বলে ফেলেছেন- মুসলিম বিশ্বকে এক হতে হবে। (http://bit.ly/2fdviVR)
এ সম্পর্কে গত ৮ই সেপ্টেম্বর আমার দেয়া স্ট্যাটাসের মূল অংশখানা তুলে ধরলাম-
“মুসলমানদের পৃথক একটি বলয় থাকবে, যেখানে সকল মুসলিম রাষ্ট্র (তুরষ্ক, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য) এক হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে কোন দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে বলবে। প্রয়োজনে আক্রান্ত দেশে সৈন্য পাঠাবে। দুই মুসলিম দেশের মধ্যে যদি দ্বন্দ্ব হয় তবে তারাই দুইভায়ের মধ্যে মধ্যস্ততা করে বিনারক্তপাতে সমঝোতা করবে।”
“মুসলমানদের পৃথক একটি বলয় থাকবে, যেখানে সকল মুসলিম রাষ্ট্র (তুরষ্ক, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য) এক হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে কোন দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে বলবে। প্রয়োজনে আক্রান্ত দেশে সৈন্য পাঠাবে। দুই মুসলিম দেশের মধ্যে যদি দ্বন্দ্ব হয় তবে তারাই দুইভায়ের মধ্যে মধ্যস্ততা করে বিনারক্তপাতে সমঝোতা করবে।”
হিসেব যদি ঠিক থাকে, তবে এই উপায়েই কাজ হবে। মূল প্রসেসটা শুরু হয়েছে মাত্র…..
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/
No comments