Header Ads

ad728
  • Breaking News

    মায়ানমার থেকে চাল আমদানি করে সরকার কি বুঝাতে চাইছে ?

    মায়ানমার থেকে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। সরকার মায়ানমার থেকে ১ লক্ষ টন আতপ চাল আমদানি করবে। প্রতি টনের দাম পড়বে ৪৪২ ডলার। চূক্তি সম্পূর্ণ হতে ১৫-২০ দিন সময় লাগবে । তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে চাল পৌছাবে। (http://bit.ly/2y9jCaD)
    রোহিঙ্গাদের বাঙালী বলে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে মায়ানমার। এরপরও উস্কানিমূলকভাবে একাধিকবার বাংলাদেশ সীমানার ১০ কিলো ভেতরে যুদ্ধ হেলিকপ্টার প্রবেশ করিয়েছে। এছাড়া সীমানায় কোন বক্তব্য ছাড়াই ল্যান্ড মাইন পূতে রাখছে, যার দরুণ ইতিমধ্যে একজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। এছাড়া হর-হামেশাই গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি উত্তেজিত করছে।
    কিন্তু এই উত্তেজনার মধ্যে কোন দোহাই দিয়ে সরকার মায়ানমার থেকে চাল আমদানি সিদ্ধান্ত নেয় ? চাল আমদানি করার আর কোন দেশ কি নেই ?
    এখানে বোঝার বিষয় হচ্ছে,
    সরকার চাল আমদানি দ্বারা এই প্রমাণ হয় না, বাংলাদেশে চালের সংকট আছে। বরং মজুদদারি কারণে চালের মার্কেটের লাগাম টেনে ধরতে এই কার্যক্রম।
    যেমন: ১ জন যদি গড়ে দৈনিক ১ পোয়া করে চাল খায়, তবে ১৬ কোটি জনগণ (শিশু আছে অনেক) চাল খায় ৪ কোটি কেজি বা ৪০ হাজার টন। তারমানে ১ লক্ষ টন চাল আমাদানি করে সরকার মাত্র আড়াই দিনের চাল মজুদ করেছে, যা আসবে আরো ৩ মাস পর ! বলাবাহুল্য যে দেশ ৩৬২.৫ দিনের চালের সরবরাহ দিতে পারে, সে দেশ ৩ মাস পর আড়া্ই দিনের চালও সরবরাহ করতে পারবে।
    তারমানে সরকারের সর্বোচ্চ দাবি হতে পারে, চালের মার্কেটের লাগাম টেনে ধরতেই এই আমদানি।
    কিন্তু আতপ চাল আমদানি মার্কেট কতটুকু নিয়ন্ত্রন করতে পারবে ? কারণ খবর আসছে, ওএমএস মাধ্যমে মাত্র ৩০ টাকা করে আতপ চাল বিক্রি করলেও জনগণ তা কিনতে চাইছে না। খবর-
    ১) খুলনায় ওএমএসে আতপ চাল, ক্রেতাদের অনিহা (http://bit.ly/2xKqfE3)
    ২) রাজধানীতে ওএমএসে এবার আতপ চাল, ক্রেতাও বিমুখ (http://bit.ly/2fuGI4l)
    ৩) বরিশালে ওএমএসে আতপ চাল, অনীহা ডিলার-ক্রেতাদের (http://bit.ly/2y9enaE)
    তারমানে ওএমএস- আতপ চাল দিয়েও ফায়দা হবে না, কারণ বাংলাদেশের মানুষ আতপ চাল খেয়ে অভ্যস্ত নয়। আলটিমেটলি সরকার যে কারণেই মায়ানমার থেকে আতপ চাল কিনুক, সেই স্বার্থ আদায় হচ্ছে না। তবে কেন এ রকম একটি মুহুর্তে চাল তাও আবার আতপ চাল মায়ানমারের থেকে কেনা হচ্ছে?
    উল্লেখ্য, মায়ানমারে গণহত্যা শুরু হওয়ার সাথে সাথে মালদ্বীপ মায়ানমারের সাথে সব ধরনের বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। (http://bit.ly/2feahuk)
    মায়ানামরের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন দাবি জানিয়েছে।
    মায়ানমারের পন্য বর্জন করতে বাংলাদেশের অনেক সংগঠন আন্দোলন করছে।
    অথচ এ অবস্থায় কি না বাংলাদেশ সরকার মায়ানমার থেকে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাও কি না আতপ চাল ! এই চাল আমদানি মাধ্যমে সরকার কি পুরো ১৬ কোটি জনগণের মাথা হেট করে দিচ্ছে না ? বুঝাচ্ছে না- বাংলাদেশের মানুষ প্রধান খাদ্যের জন্য মায়ানমারের উপর নির্ভরশীল, মায়ানমার চাল না দিলে বাংলাদেশের মানুষ না খেতে মারা যাবে। যে বাংলাদেশে মানুষ রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে মায়ানমারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলো, সবার মুখে চুন কালি মাখিয়ে দিলো সরকার।
    আসলে আওয়ামী সরকার মায়ানমারকে বুঝাতে চাইছে-
    রোহিঙ্গা ইস্যুতে যত যাই হয়েছে, মায়ানমার-আওয়ামী সরকারের সম্পর্কে কিন্তু কোন ফাটল ধরে নাই। বিনাভোটে নির্বাচিত সরকারের যা নিলর্জ্জ বৈদেশিক নীতি।
    [ বি:দ্র: আওয়ামী সরকারের মদদে আওয়ামী ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে বাজার চাল শূণ্য করেছে, বৃদ্ধি করেছে চালের মূল্য। এতে একদিকে মূল্যবৃদ্ধিতে আওয়ামী সরকার পেয়েছে ভাগ, অন্যদিকে, আমদানির নামে পকেটে পুরেছে বিরাট এমাউন্টের কমিশন। ]


    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728