Header Ads

ad728
  • Breaking News

    মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গা তাড়ানোর বৈধতা দিয়েছে বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক বোর্ড !


    মায়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা এবং বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেওয়ার মূলে রয়েছে দেশটির ১৯৮২ সালের এক আইন। সেই আইনে দাবি করা হয়- রোহিঙ্গারা মায়ানমারের আদিবাসী নয়, বাংলাদেশ থেকে আগত বহিরাগত। 

    সাম্প্রতিককালে এই প্রচার এতটাই জটিল মায়ানামার প্রশাসন ও মিডিয়ায় ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি পুরোপুরি উধাও হয়ে যায়, এবং তার বদলে ‘বাঙালী সন্ত্রাসী’ শব্দটি প্রচলন করা হয়। মিডিয়ায় যে কফি আনান কমিশন রিপোর্টের এর কথা শোনা যাচ্ছে, সেখানেও রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা নামে ডাকা হয়নি। গত কয়েকদিন আগে মিডিয়ায় মায়ানমারের সেনাপ্রধানের বক্তব্য শোনা গেছে। সেখানে বার্মীজ সেনাপ্রধানের বক্তব্যটা লক্ষ করুণ-

    মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং বলেছে, “তারা রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করছে অথচ তারা কখনো মিয়ানমারের নৃগোষ্ঠী ছিল না। এটি ‘‘বাঙালি’’ ইস্যু। আর এই সত্য প্রতিষ্ঠায় আমাদের একতাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।”( http://bit.ly/2y9tYan)
    তারমানে মায়ানমারের জন্য এখন বিরাট চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী নাকি মায়ানামরের নৃ-গোস্ঠী। যদি তাদের দেশটির নৃগোষ্ঠী হিসেবে প্রমাণ করা না যায়, তবে রোহিঙ্গা বিতাড়নের বিষয়টি আইনী বৈধতা পেয়ে যায়। আর যদি সেটা বৈধতা পায়, তবে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশেরই পালতে হবে।

    মজার বিষয় হচ্ছে সেই বৈধতাই দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে। পাঠ্যপুস্তকের ক্লাস ৮ এর বইতে ‘মংডুর পথে’ (লেখক-বিপ্রদাশ বড়ুয়া) শিরোনামের ভ্রমণ গল্পে বলা হয়েছে-

    ১) “সারা মিয়ানমারে আমাদের রিকশার বদলে পাইক্যা। স্থানীয় মুসলমানরা এর একচেটিয়া চালক। মংডুর ব্যবসাও ওদের দখলে, আর হিন্দুরাও আছে। এরা চট্টগ্রাম থেকে এসেছে”।

    ২) “রান্নাঘর থেকে ছুটে এলো একটি মেয়ে। বাঙালী। লুঙ্গি এবং কোমর-ঢাকা ব্লাউজ পরেছে। মেয়েটি দিব্যি চট্টগ্রামী ভাষায় এটা ওটা আছে জানিয়ে রাখতে লাগলো। ওর নাম ঝর্ণা। পূর্ব পুরুষের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে, আমার পাশের থানা। ওর মত আরো একজন বাঙালী মেয়ে রান্না বান্না করে। চেহারা ও স্বাস্থ্য গরীব ঘরের রোগা পটকা নারীর মত। পোড়া লংকা কচলে নুন তেল দিয়ে ভর্তা করলো। একটা প্লেটে তার সঙ্গে দিলো কিছু কচি লেবু পাতা। বাহ্ খাস চট্টগ্রামের খাবার।”

    ৩) “দোকানটির দিকে এগিয়ে গেলাম।......রোয়াইংগা মুসলিম বয় আছে দুজন। ওরা মূলত চট্টগ্রামের।”

    ৪) পাঠ পরিচিতিতে বলা হয়েছে- “আমাদের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। .....মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্তের শহর মংডু......বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে অনেকে মংডুতে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে।”

    এটা ঐতিহাসিক সত্য ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের আরাকান নামে স্বাধীন রাজ্যই ছিল। এবং ১৫৮১ সাল থেকে ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সম্পূর্ণভাবে আরাকানের অন্তর্ভূক্ত ছিলো। সে হিসেবে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামের অধিবাসী বলা ভূল।
    কয়েকদিন আগে সংসদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলো-

    “রাখাইন (এক সময়ের আরাকান) রাজ্যের মুসলিম রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে মানতে নারাজ মিয়ানমার সরকার। তারা এদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে দেখে। রোহিঙ্গারা তাদেরই নাগরিক।।”(http://bit.ly/2hdw55Z)

    অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকের পুরো অধ্যায়টি বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী এবং মায়ানমারের খুনি সরকারের পক্ষে করা হয়েছে। এর দায় বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে বইটির সংকলন, সম্পদনা ও রচনাকারী সবার উপরই পরে। কিন্তু সেটার বিচার হবে কি ?



    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/

    1 comment:

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728