Header Ads

ad728
  • Breaking News

    বাংলাদেশীরা প্রতি বছর মায়ানমারের ৩ বছরের সামরিক বাজেটের সমান বার্মা থেকে ইয়াবা কিনে !


    আপনি কি জানেন ?
    বাংলাদেশীরা মায়ানমার থেকে প্রতি বছর যত টাকার ইয়াবা কিনে, তা দিয়ে মায়ানমারের ৩ বছরের সামরিক বাজেট হয়?

    আপনি যদি মায়ানমার থেকে শুধু এক বছর ইয়াবা আসতে না দেন, তবে আপনি মায়ানমার সেনাবাহিনীকে ৩ বছরের বাজেট শূণ্য করে দিলেন।
    আসুন হিসেবটা দেখি-
    বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ২৬শে মে, ২০১৬ তারিখের রিপোর্ট অনুযায়ী-
    বাংলাদেশে ইয়াবা সেবীর সংখ্যা ৩০ লক্ষ
    যারা দৈনিক ইয়াবার পেছনে খরচ করে ১৩৫ কোটি টাকা
    অর্থাৎ বাৎসরিক খরচ করে ৪৯ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
    (http://bit.ly/2gwBNmr)

    এবার আসুন মায়ানমার সেনাবাহিনীর বাজেটের দিকে তাকাই-
    দ্য ডিপ্লোম্যাট পত্রিকার দেয়া তথ্য অনুসারে,
    ২০১৭-১৮ বছরে মিয়ানমারের সামরিক বাজেটের পরিমাণ ২.১ বিলিয়ন ডলার বা ১৭ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা।
    (http://bit.ly/2xjyXbt)
    অর্থাৎ মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বাৎসরিক বাজেটের ৩ গুন টাকার ইয়াবা ক্রয় করে বাংলাদেশীরা।

    এবার আসুন দেখি,
    মায়ানমারের ভেতরে কারা এই সব ইয়াবা বানায়-
    ২০১৩ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে সরেজমিন রিপোর্ট করে বাংলানিউজ২৪ ডট কম। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সে সময় মায়ানমার সীমান্তে ৩৭টি ইয়াবা কারখানা আছে, যারা ১৩ ধরনের ইয়াবা তৈরী করে। এর মধ্যে-
    ১) কেচিন ডিফেন্স আর্মির রয়েছে ১০টি কারখানা,
    ২) পানশে ক্যাও ম্যাও অং মৌলিন গ্রুপের রয়েছে ২টি কারখানা,
    ৩) স্পেশাল পুলিশ এক্স হলি ট্র্যাক্ট গ্রুপের রয়েছে ১টি কারখানা,
    ৪) ম্যাংপাং মিলিশিয়ার রয়েছে ১টি কারখানা,
    ৫) মংঙ্গা মিলিশিয়া শান স্টেট আর্মির (নর্থ) রয়েছে ১টি কারখানা,
    ৬) ইয়ানজু গ্রুপের রয়েছে ১টি কারখানা,
    ৭) ন্যাশনালিটিজ লিবারেশন অ্যান্ড কাই-সান চুউ শাং গ্রুপের রয়েছে ৪টি কারখানা,
    ৮) ইউনাইটেড ওয়া এস্টেট আর্মি ও লাহু মিলিশিয়ার রয়েছে ১৩টি কারখানা,
    ৯) ন্যাশনালিটিজ পিপল আর্মির রয়েছে ২টি কারখানা
    ১০) মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির রয়েছে ১টি কারখানা।
    তবে পুরো বিষয়টির সাথে মায়ানমারের ফেডারেল পার্লামেন্ট ও শান স্টেট লেজিসলেচার (সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি) ও বিচ্ছিন্নতাবাদী দল ও নাসাকা বাহিনী সরাসরি জড়িত।
    (তথ্য সূত্র : http://bit.ly/2wWRgDj, আর্কাইভ- http://archive.is/MNXEw)

    বাংলা নিউজের তথ্য মতে বাংলাদেশে এই ইয়াবা প্রবেশের মূলে রয়েছে ২টি সিন্ডিকেট ।
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় ও বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টে ১টি সিন্ডিকেটের পরিচয় ফাঁস করা হয়েছে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে অপর প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের পরিচয় গোপন করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় যে সিন্ডিকেটের পরিচয় ফাঁস করা হয়েছে-
    ১) আওয়ামী সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি
    ২) আবদুস শুক্কুর (বদির ভাই)
    ৩) আবদুল আমিন (বদির ভাই)
    ৪) মজিবুর রহমান (বদির ভাই)
    ৫) শফিক (বদির ভাই)
    ৬) ফয়সাল (বদির ভাই)
    ৭) শাহেদুর রহমান নিপু (বদির ভাগিনা)
    ৮) কামরুল হাসান রাসেল (বদির ফুপাতো ভাই)
    (http://bit.ly/2jop4nv)

    মজার বিষয় হচ্ছে, ইয়াবা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও, এবং এমপি বদির অপকর্মের ফিরিস্তি সরকারের কাছে থাকা সত্ত্বেও বদিকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। ২০১৬ সালে সম্পদের তথ্য গোপন করার কারণে দুদকের করা মামলায় বদিকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু বোদি মাত্র ১৮ দিনের মাথায় জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আসে। বোদিকে বরণ করতে রাস্তা সাজানো হয়েছিলো ২০০ তোরণ দিয়ে। (http://bit.ly/2h2ecuLhttp://bit.ly/2w85bGY)

    বিশেষ সূত্র থেকে আমার কাছে আসা তথ্য মোতাবেক, ঐ সময় বোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ১১০০ কোটি টাকা দিয়ে বিশেষ সমাঝোতা করে ছাড়া পেয়েছিলো।

    আমাদের স্মরণ রাখতে হবে,
    মায়ানমারে গত কয়েকদিনে ৩ হাজার রোহিঙ্গা হত্যা করেছে, এই জন্য আমরা উত্তেজিতো।
    কিন্তু এই মায়ানমারই বাংলাদেশে ইয়াবা পাঠিয়ে ৩০ লক্ষ বাংলাদেশীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিযেছে এবং তাদের পরিবারকে অতিষ্ট করে তুলেছে।

    বাংলাদেশে ইয়াবার বিস্তার কতটুকু সেটা বোঝার জন্য ২০১৪ সালের ৯ই ডিসেম্বর প্রথম আলো অনলাইন এক প্রতিবেদনে বলেছিলো-
    “৬ বছরে বাংলাদেশে ইয়াবা প্রবেশ বেড়েছে ৭৭ গুন।” (http://bit.ly/1ItooA9)
    তাহলে প্রতি বছর ইয়াবা প্রবেশ বাড়ছে গড়ে প্রায় সাড়ে ১২ গুন।

    যাই হোক,
    আমরা রোহিঙ্গা হত্যার বিচার চাই
    রোহিঙ্গারা পুনরায় ভূমি ফিরে পাক সেটাও চাই।
    এবং সেটার শক্ত জবাব হবে, যদি শুধুমাত্র তাদের দেশ থেকে ইয়াবা আসা বন্ধ করা যায়।
    এবং সেটার জন্য আগে প্রয়োজন বাংলাদেশের ইয়াবা গডফাদারদের ধরে জেলে ভরা।
    গুটি কয়েক দুষ্টু লোককে ধরতে পারলেই পুরো ইয়াবা সিস্টেম ক্র্যাশ করা অবশ্যই সম্ভব।



    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728