রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনাকেই সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে
দুইদিন আগে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে একটি মিটিং হয়েছে। মিটিং এর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সরকারী দলের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছে- মায়ানমার নাকি রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যারা প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে পারবে, তাদেরই নাকি ফেরত নেয়া হবে।
রোহিঙ্গারা ৮২ সাল থেকে নাগরিকত্ব বঞ্চিত, তারা রাষ্ট্রীয় কোন কাজেই অংশগ্রহণ করতে পারে না, এরা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন একটি জনগোষ্ঠী। ঘটনার সময় এক কাপড়ে হঠাৎ করে চলে আসতে হয়েছে। মায়ানমার সরকার যেসব কাগজপত্র বা দলিল চাচ্ছে, দেখা যাবে ৯৫% রোহিঙ্গা সেটা দিতে পারবে না। তারমানে রোহিঙ্গারাও ফেরত যাবে না।
আর যদি কিছু রোহিঙ্গাকে লোক দেখানো নেওয়ায় হয়, তবে নিকট ভবিষ্যতে হয়ত দেখা যাবে, ঐ রোহিঙ্গাদের ব্রাশ ফায়ার করে মেরে একটা বড় পুকুর খুড়ে সবাইকে গণকবর দিয়ে দিয়েছে মায়ানমার সরকার।
আমি লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশ আওয়ামী সরকার যে কোন সমাধানের থেকে মায়ানমারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বেশি তৎপর। বাংলাদেশ সরকার যে মায়ানমার সরকারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বেশি আগ্রহি তার প্রমাণ মনে হয় গণহত্যা চলার সময় মায়ানমারের সাথে চাল নিয়ে চূক্তি।
আর যদি কিছু রোহিঙ্গাকে লোক দেখানো নেওয়ায় হয়, তবে নিকট ভবিষ্যতে হয়ত দেখা যাবে, ঐ রোহিঙ্গাদের ব্রাশ ফায়ার করে মেরে একটা বড় পুকুর খুড়ে সবাইকে গণকবর দিয়ে দিয়েছে মায়ানমার সরকার।
আমি লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশ আওয়ামী সরকার যে কোন সমাধানের থেকে মায়ানমারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বেশি তৎপর। বাংলাদেশ সরকার যে মায়ানমার সরকারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বেশি আগ্রহি তার প্রমাণ মনে হয় গণহত্যা চলার সময় মায়ানমারের সাথে চাল নিয়ে চূক্তি।
আমি একটি বিষয় বুঝি না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন এই ন্যূনতম বিষয়টি বুঝতেছেন না ?
মায়ানমার সরকার তার দেশের সংখ্যাগুরুর ধর্ম বৌদ্ধদের প্রাধান্য দিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে গেছে
ভারত সরকার তার দেশের উগ্রহিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ নিয়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গেছে
চীন সরকার তার দেশের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের পক্ষ নিয়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গেছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন এই ন্যূনতম বিষয়টি বুঝতেছেন না ?
মায়ানমার সরকার তার দেশের সংখ্যাগুরুর ধর্ম বৌদ্ধদের প্রাধান্য দিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে গেছে
ভারত সরকার তার দেশের উগ্রহিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ নিয়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গেছে
চীন সরকার তার দেশের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের পক্ষ নিয়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গেছে
ধর্মের রাজনীতি কিন্তু সবাই করছে। চীনের সাথে বাংলাদেশেরও বড় অর্থনৈতিক লেনদেন আছে, ভারতের সাথেও বাংলাদেশের বড় অর্থনৈতিক লেনদেন আছে। কিন্তু তারা দেশের জনগনের সেন্টিমেন্ট ধরে রাখার জন্য সাম্প্রদায়িকতায় হাওয়া লাগাতে কখন পিছপা হয় না।
শেখ হাসিনা একটা জিনিস বুঝতে হবে-
ট্র্যাম্প সাম্প্রদায়িক হওয়ার কারণেই জনপ্রিয়
ইউরোপের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এখন সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে জনগণের নজর কাড়ছে এবং দোষত্রুটি ঢেকে রাখছে।
মোদি সাম্প্রদায়িক হওয়ার কারণেই কংগ্রেস থেকে ৫ গুন ভোট বেশি পেয়েছে। দেশে এত অর্থনৈতিক মন্দা, তারপরও জনগন মোদির বিরুদ্ধে কিছু বলে না। কারণ মোদি অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করবে এটাই তাদের আশা।
পৃথিবী যখন ধানত্মক বা ঋণাত্মক চার্জ নিয়ে চলেছে, তখন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা নিরপেক্ষ চার্জ নিয়ে কত দিন টিকে থাকবে সেটাই দেখার বিষয়।
ট্র্যাম্প সাম্প্রদায়িক হওয়ার কারণেই জনপ্রিয়
ইউরোপের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এখন সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে জনগণের নজর কাড়ছে এবং দোষত্রুটি ঢেকে রাখছে।
মোদি সাম্প্রদায়িক হওয়ার কারণেই কংগ্রেস থেকে ৫ গুন ভোট বেশি পেয়েছে। দেশে এত অর্থনৈতিক মন্দা, তারপরও জনগন মোদির বিরুদ্ধে কিছু বলে না। কারণ মোদি অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করবে এটাই তাদের আশা।
পৃথিবী যখন ধানত্মক বা ঋণাত্মক চার্জ নিয়ে চলেছে, তখন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা নিরপেক্ষ চার্জ নিয়ে কত দিন টিকে থাকবে সেটাই দেখার বিষয়।
শেখ হাসিনার উচিত ছিলো জনগনের পক্ষ নেয়া। জনগণ যেটা চাচ্ছে সেটাতে হাওয়া লাগানো। শেখ হাসিনার বয়স প্রায় ৭০ এর মত। এই বৃদ্ধ বয়সে , যে যদি এমন কোন চমক দেখাতে পারতো, যা দিয়ে শেখ হাসিনার গুরুত্ব জাতীয় গন্ডি থেকে বের হয়ে আন্তজার্তিক গন্ডিতে ছড়িয়ে পড়তো। তখন শেখ হাসিনাকে নির্বাচন নিয়ে এত চিন্তা করতে হতো না। এত লুকোচুরি করতে হতো না। সবাই বলতো শেখ হাসিনা ছাড়া এত বড় আন্তর্জাতিক ইস্যু হ্যান্ডেল করার মত নেতা কৈ? সুতরাং তাকে ভোট দেয়া ছাড়া বিকল্প নাই।
আমার মনে হয়, রোহিঙ্গা ইস্যুটা শেখ হাসিনার জন্য সেরকম একটি ইস্যু ছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনা অতি দুর্বল কলিজার কারণে সেই ইস্যুটাকে হাত ছাড়া করে ফেলেছেন। তিনি শুধু একটি বার বলতেন- “রোহিঙ্গাদের উপর এত নির্যাতন হয়েছে, আমি নির্যাতনের বিরুদ্ধ। মায়ানমার রোহিঙ্গাদের উপর টেরোরিজম ঘটিয়েছে। আমি ওদের উপর এন্টি টেরোরিজম প্রয়োগ করবো।“ ব্যস এতটুকুই যথেষ্ট ছিলো শেষ হাসিনার ২১ আর ৪১ ভিশন অবশ্যই সফল হতো।
কি অন্য দেশের উপর বলপ্রয়োগ করলে বাংলাদেশের দোষ হবে ?
কখনই না। বাংলাদেশ একা করবে কেন ?
বাংলাদেশ তুরষ্ক-ইরান-ইন্দোনেশিয়া-পাকিস্তান-মালয়েশিয়া-কাজখস্তাকে ডেকে নিয়ে আসতো। রোহিঙ্গাদের সামনে রাখতো। এতজন থাকলে কে কাকে দোষ দিবে বলুন ?
কখনই না। বাংলাদেশ একা করবে কেন ?
বাংলাদেশ তুরষ্ক-ইরান-ইন্দোনেশিয়া-পাকিস্তান-মালয়েশিয়া-কাজখস্তাকে ডেকে নিয়ে আসতো। রোহিঙ্গাদের সামনে রাখতো। এতজন থাকলে কে কাকে দোষ দিবে বলুন ?
কি ভারত বিরোধীতা করবে ?
কোন সমস্যা নাই। শুধু শিলিগুড়ি করিডোরে ১ ব্রিগেড সেনা নিয়োগ করেন। দেখবেন ভারত ১ বছরের বাচ্চার মত চুপ হয়ে যাবে।
কোন সমস্যা নাই। শুধু শিলিগুড়ি করিডোরে ১ ব্রিগেড সেনা নিয়োগ করেন। দেখবেন ভারত ১ বছরের বাচ্চার মত চুপ হয়ে যাবে।
চীন-রাশিয়া বিরোধীতা করবে ?
পাকিস্তান-ইরান-কাজখস্তান থাকলে ভুলেও তারা সে চিন্তা করবে না।
পাকিস্তান-ইরান-কাজখস্তান থাকলে ভুলেও তারা সে চিন্তা করবে না।
বাংলাদেশের দিকে বিদেশী শকুনীদের নজর পড়েছে। আজ হোক কাল হোক বাংলাদেশকে তারা খাবে। শেখ হাসিনা যে সব বিদেশী শক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইছে তারাও যে তাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চাইছে সেটা শেখ হাসিনা নিজেও জানে। কিন্তু শেখ হাসিনার ভুল- সে জনগণকে কাছে না টেনে, বিদেশীদের কাছে টেনেছে। শেখ হাসিনার এই ভুল তাকে বঙ্গবন্ধুর শেষ পরিনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। শেখ হাসিনার উচিত ছিলো এরদোগানের দিকে তাকানো, জনগণের সাপোর্ট থাকায় যে ১০ মিনিটে সামরিক অভ্যূত্থান ঠেকিয়ে দিতে পেরেছিলো।
শেখ হাসিনার খুব দ্রুত চিন্তা করা উচিত। সে কি এখনও পরমুখাপেক্ষী হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে দুর্বল হয়ে থাকবে, নাকি জনগণের চাহিদায় মেনে পুরো পরিস্থিতি নিজের কন্ট্রোলে নেবে, জনগণের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে দীর্ঘমেয়াদী করবে তার ক্ষমতা। আমার মতে, এই শেষ বয়সে শেখ হাসিনার একটি মাত্র সাহসী পদক্ষেপ, তাকে নিয়ে যেতে পারবে বহুদুর।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments