ভারতীয় শিল্পী এনে আর্মি স্টেডিয়ামে উচ্চাঙ্গ সংগীতের অনুষ্ঠান বাতিলের কারণ
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভারতীয় শিল্পী এনে আর্মি স্টেডিয়ামে ৫ দিনব্যাপী উচ্চাঙ্গ সংগীতের অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে । পর পর ৫ বছর অনুষ্ঠান হলেও এ বছর করতে দেয়া হচ্ছে না। প্রশাসন দাবি করেছে- তার দুইদিন পর পোপ বাংলাদেশে আসবে। এ কারণে হবে না। তবে আমার মনে হয়েছে, এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে। কারণ ঢাকার অন্য কোন ভেন্যুতেও তার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বেশ কান্নাকাটিও করেছে।
আমি এ বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই বিরোধী। কারণ এ ধরনের বিদেশী সংস্কৃতি অনুষ্ঠানগুলো সাধারণত বিদেশী গোয়েন্দা সম্মেলন হয়ে থাকে। সেখান থেকে অনেককে বিদেশের দালাল বানানো হয়। আর এই সব বিদেশী অনুষ্ঠান যখন হয় আর্মি স্টেডিয়ামে, তখন তো কথাই নেই।
এ সম্পর্কে আবু রুশদের লেখা- বাংলাদেশে র’ বইয়ে একটি আর্টিকেলে বলা হয়-
“১৯৯১ সালের বাংলাদেশে ‘র’ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলো মি. মহাপাত্র। ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের কূটনীতিকের ছদ্মাবরণে তিনি ছিলেন ইন্টেলিজেন্স ক্যাডারের কর্মকর্তা। ১৯৯১ সালের পর প্রায়শই ভারতীয় দূতাবাসের উদ্যোগে কথক নাচের আয়োজন করা হতো। সেখানে মি. মহাপাত্র সুপ্রশিক্ষিত স্ত্রী থাকতেন আসরের মধ্যমনি। পৃথিবীখ্যাত ভারতীয় কথক নাচের ঐসব অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হতো দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিরোধী দল এমনকি সরকারের বহু হোমরা চোমড়া মন্ত্রীদের। আপাত দৃষ্টিতে নাচ দেখার জন্য সেখানে দাওয়াত কবুল করতে কোন মন্ত্রী আপত্তির কিছু দেখতেন না। সরল বিশ্বাসে উপস্থিত হতেন কথক নাচ দেখার জন্য। অথচ এই নাচের ফাকে ফাকে বা আপ্যায়নের সময় মি. মহাপাত্রসহ ভারতীয় কূটনীতিকদের ছদ্মাবরণে থাকা র’ অপারেটিভগণ মন্ত্রী, এমপিদের কাছ থেকে আলাপছলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন লাভ করতেন তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসঙ্গেও ভারতের অনুকূলে আদায় করতেন অসংখ্য সুবিধা। এভাবে চলে গেছে বেশ কয়েকদিন। পরবর্তীতে বাংলাদেশী গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের নজরে আসার প্রেক্ষিতে সরকারি উচ্চপর্যায়ে এনিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানে সরকারি দলের সদস্যদের যোগদান বন্ধ হয়ে যায়। তবে তাই বলে যে কথক নাচের আসরসহ বিভিন্নরূপ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আড়ালে র’ তার কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছিলো তা কিন্তু নয়। বরং অসংখ্য নাট্যশিল্পী সঙ্গীতশিল্পী বুদ্ধিজীবি কলামিস্ট যারা জ্ঞাতসারে বা অবচেতনভাবে র’ এর চক্রে জড়িয়ে গিয়েছিলো তাদের আনাগোনা এসব অনুষ্ঠানে মোটেও হ্রাস পায়নি। তথ্য আদান-প্রদান করনীয় সম্পর্কিত নির্দেশ লেনদেন রুটিন ওয়ার্ক চলেছে স্বাভাবিকভাবে।
(বই: “গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানদের কথা: বাংলাদেশে র”: অধ্যায়-১০, পৃষ্ঠা-২২২। লেখকের সূত্র: ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত এনএসআই’র মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত দু’জন উর্ধ্বতন সেনা কমকর্তার সাক্ষাৎকার)
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর র’ ও সিআইএ’ এক লাইনে চলছে। সম্ভবত এ প্রোগ্রামটি দুইজনের মিলিত উদ্যোগ ছিলো। দেখা যেতো অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতো ইনু, আসাদুজ্জামান নূর, মাল মুহিত। উপস্থিত থাকতো- ভারতীয় রাষ্ট্রদূত, আমেরিকান রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানের স্পন্সর এনজিও ব্র্যাক, ধর্মান্তরিত স্কয়ার। প্রচারের দায়িত্ব প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, মাছরাঙা টিভির মত চিহ্নিত বাইরের মদদপুষ্ট মিডিয়াগুলো।
কিন্তু সরকার কোন বিশেষ কারণে তাদের কার্যক্রম চলতে দিতে নারাজ। এ কারণে সুষমা স্বরাজের আসার দিন সকালেই মিডিয়ার সামনে কান্নাকাটি করে গেলো প্রোগ্রামের আয়োজক আবুল খায়ের লিটু।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments