বিদেশী লবিং ছেড়ে এবার জনগণের রাজনীতি ধরুণ
গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় নাকি বলা হয়-
জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের সরকারের নামই নাকি গণতান্ত্রিক সরকার ।
কিন্তু বাস্তবে গণতন্ত্র বলতে মূল সংজ্ঞার বিন্দুমাত্র প্রতিফলন কখন দেখা যায় না।
আর বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলতে তো ভিন্ন কিছু বোঝায় । বাংলাদেশে গনতন্ত্রের অপর নাম বিদেশ লবিং। কে বিদেশের কাছে নিজ দেশকে কতটুকু বিকিয়ে দিতে পারবে, তার উপর নির্ভর করে গনতন্ত্র।
গণতান্ত্রিক চেতনায় ‘মালিক’ হওয়ার কথা ‘জনগণ’র।
কিন্তু মালিক বনে যায়- ‘বহিঃশক্তি’।
যেমন ধরুন- আজকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আসবে। সে হাসিনা-খালেদা উভয়র সাথে দেখা করবে। খুব-স্বাভাবিক এখানে দরকাষাকষি হবে। যে ভারতের কাছে দেশকে বেশি বিকিয়ে দিতে পারবে, আসছে নির্বাচনে ভারত তাকে সাপোর্ট দেবে।
আমি বলবো- এসব জঘন্য গণতন্ত্র চর্চা বন্ধ হোক।
দয়া করে আপনারা বিদেশী লবিং ছেড়ে জনগণের রাজনীতি করুন।
বিদেশ’র হাতে কিছু শক্তি আছে এটা ঠিক, কিন্তু পুরো শক্তিটা নেই।
জনগণের হাতে অবশ্যই অধিকাংশ শক্তি আছে।
বিদেশীরা তাদের স্বার্থের জন্য আপনাকে সমথর্ন দেবে এটা ঠিক, কিন্তু এতে জনসমর্থন হারাবেন। আবার বহিঃশক্তির সমর্থন নিলে ভয়ানক ক্ষতিও আছে। মনে রাখবেন- ওরা আগে দেখবে ওদের স্বার্থ। ওরা যার থেকে বেশি স্বার্থ পাবে, তাকেই তারা সমর্থন দেবে, এবং আগের জনকে শেষ করে দেবে।
যেমন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ- বিদেশী কোন দেশের সাথে বড় ও দীর্ঘমেয়াদী কোন চূক্তি করতে হয় না। এতে জীবনহানী ঘটতে পারে।
উদারহণ স্বরূপ- বাংলাদেশ ভারতের আদানি গ্রুপের সাথে বিদুৎ নিয়ে বড় ও দীর্ঘমেয়াদি চূক্তি করেছে। এটা খুব ভয়ানক। কারণ প্রত্যেকটা চুক্তির দুইটি অংশ থাকে। বাহ্যিক অংশ- যেটা দেখা যায়, আর অভ্যন্তরীন অংশ- কত পার্সেন্ট কমিশন দেয়া হবে।
ধরুন, আওয়ামলীগ ভারতের চূক্তি করলো- তাদের যত কাজ দেয়া হবে, তার ৪০% কমিশন দিতে হবে। কিন্তু এই কমিশন অ্যামাউন্ট যখন বড় হয় এবং সময়টা দীর্ঘমেয়াদী হয়, তখন কমিশনের পরিমাণটাও অনেক বড় হয়। যারা কাজ করে, তারা ভাবে- আমরা এত কাজ করলাম, আর ওরা বসে বসে এত বিরাট কমিশন খাবে? এই চিন্তা থাকে যার সাথে চূক্তি হলো তাকে সরিয়ে দেয়ার (যেমন: হত্যা করা) একটা প্ল্যান থাকে। এতে পরবর্তী যে বসবে- তাকে বলা হয়, এই কাজ তো চলবে, কিন্তু এত কমিশন দিতে পারবো না, ১০% নাও।
আওয়ামী সরকারের বোঝা উচিত ছিলো-
কংগ্রেসের ভারত আর বিজেপি’র ভারত এক না।
কংগ্রেস ছিলো রুশ ব্লকের, আর বিজেপি আমেরিকার।
কংগ্রেসের ভারত হয়ত হাসিনা সরকারের উপর কিছুটা হলেও বিশ্বাস রাখতে পারে।
কিন্তু বিজেপির ভারত মোটেও হাসিনা সরকারের উপর বিশ্বাস রাখে না এবং ভবিষ্যতে রাখবেও না।
কিন্তু সেই মার্কিনপন্থী বিজেপির সাথে কিভাবে আওয়ামীলীগ এত এত চূক্তিতে জড়িয়ে গেলো তা সত্যিই বিষ্ময়কর।
“ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।”
আওয়ামীলীগ ভারতের সাথে যা করছে, তাতে সে নিজেরই বিপদ ডেকে আনছে।
অপরদিকে বিএনপি জনগণের রাজনীতির দিকে না ঝুঁকে, আওয়ামীলীগকে অনুসরণ করছে।
এতেও তার ভুল করেছে। সম্ভবত আমেরিকা-ভারতের কাছে বিএনপির অপর নাম – ‘ভাঙ্গা কুলা’।
তাই ভাঙ্গা কুলার ব্যবহার যতটুকু ততটুকুই করা হবে। এরপর তাকে ফের ছুড়ে ফেলাই হবে, এর বেশি কিছু নয়।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments