Header Ads

ad728
  • Breaking News

    রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে চীন-রাশিয়ার বাধা কেন ?

    প্রথমেই বলে রাখি, এ লেখাটা আমার কোন তত্ত্ব প্রকাশ করার জন্য নয়। আমি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো এবং তার পক্ষে-বিপক্ষে কমেন্ট আশা করবো । এতে হয়ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরো ক্লিয়ার হবে।
    মায়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে একটি বিষয় ষ্পষ্ট, চীন-রাশিয়া বার বার আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ গৃহিত যে কোন কমসূচিতে বাধা দিচ্ছে এবং মায়ানমারের পক্ষ নিচ্ছে। এর কারণটা কি ?
    আমার ধারণা (আমি ১০০% শিওর নই)
    ১) চীন-রাশিয়া কোনভাবেই চায় না এ অঞ্চলে কোন ছুতানাতা দিয়ে আমেরিকা প্রবেশ করুক । কারণ এতে-
    ক) বঙ্গোপোসগার উপকূলে তাদের এত দিনের ইনভেস্ট নষ্ট হবে,
    খ) এ অঞ্চলের খনিজ সম্পদে আমেরিকার হাত পড়বে।
    গ) এবং তার থেকেও বড় চীনের বড় সাধের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ নষ্ট হবে।
    ২) জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত রোহিঙ্গারা এথিনিং ক্লিনজিং ঘোষনায় চীনের ভেটো দেয়ার মূল কারণ সম্ভবত এটি কার্যকর হলে জাতিসংঘের অধিনে বিভিন্ন এনজিওগুলো মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেয়ার জন্য সুযোগ পাবে। কিন্তু চীন-রাশিয়ার সম্ভবত ধারণা- এই ত্রাণ দেয়ার সুযোগে এনজিওগুলো রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিবে। মার্কিনপন্থীদের অস্ত্র (জাতিসংঘ ও তার এনজিও আমেরিকার এজেন্ট) নিয়ে রোহিঙ্গারা আরাকান স্বাধীন করুক, এটা চীন-রাশিয়া চায় না।
    ৩) আমি একটি পোস্টে (http://bit.ly/2yLy0qR) দেখিয়েছিলাম, রোহিঙ্গা বিতাড়নের মূল প্ল্যান ২০১২ সালে আমেরিকানপন্থী প্রেসিডেন্ট থেইনসেইনের তত্ত্ববধানেই হয়। থেইন সেইন ঐ এলাকায় ৯৬৯ মুভমেন্টের আশ্বিন উইরাথুর মাধ্যমে বৌদ্ধ সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় কোন রাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করে । কথা হলো – আমেরিকা যদি রোহিঙ্গাদের বের করে দেয়ার জন্য প্ল্যান শুরু করে, তবে চীন-রাশিয়ার তো রোহিঙ্গাদের পক্ষ নেয়ার কথা। কিন্তু তারা নিচ্ছে না কেন ?
    এর কারণ হতে পারে রোহিঙ্গা প্রবাসীদের অনেক নেতাকে (যেমন ড. ওয়াকার উদ্দিন, U Kyaw Min, U Shwe Maung) আমেরিকা কাছে টেনেছে, এবং মার্কিন বাউন্ডারিতে তাদের দিয়ে বক্তব্য দেয়াচ্ছে। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গা নেতাদের দূরদর্শীতার অভাব আছে বলতে হবে। আবার পানিতে ভাসতে থাকার মানুষ খড়-খুটো ধরেও ভেসে থাকার চেষ্টা করে। যারা উপর দিয়ে দরদ দেখিয়েছে, রোহিঙ্গাদের নেতারা সেদিকেই ঝুকেছে এমনটাও হতে পারে। (এক্ষেত্রে বাংলাদেশের দূরদর্শীতার কথা টানা যায়। বাংলাদেশকে সর্ব প্রথম স্বীকৃতি দানকারী রাষ্ট্রের নাম কিন্তু ইসরাইল। ১৯৭১ সালের ২৮শে এপ্রিল তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতি দিয়ে চিঠি পাঠায় এবং সেই সঙ্গে অস্ত্র সাহায্য দেবে বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। কিন্তু তৎকালীন মুজিবনগর সরকার সেই স্বীকৃতি ফিরিয়ে দেয়। এরপর ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয়বার স্বীকৃতি দেয়। বঙ্গবন্ধু সেই স্বীকৃতি ফেরত দেন এবং ইসরাইলের সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন করেন। অর্থাৎ বিপদে সাহায্য করতে আসলেই যে ভালো তা কিন্তু নয়।)
    ৪) রোহিঙ্গা প্রবাসী নেতারা মার্কিন বাউন্ডারীতে বক্তব্য দেয়ায় রাশিয়া-চীন কোনভাবেই রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস করছে না, এবং আরসাকেও মার্কিনপন্থী বলে মনে করছে। তাই-গণ্ডগোল যেহেতু লেগেই গেছে তাই রোহিঙ্গাদের যত তাড়াতাড়ি রাখাইন থেকে বের করা যায় ততই রাশিয়া-চীন ভালো বলে মনে করছে। এবং সেই রোহিঙ্গাদের জাতিসংঘের অধিনে রাখাইনে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে চীন-রাশিয়া কখন সমর্থন করবে বলে মনে হয় না।
    আমার ধারণা (আমার বিশ্বাস নয়)-
    চীন-রাশিয়ার মূল চাওয়া ‘আমেরিকা না ঢুকুক’, ‘রোহিঙ্গাদের বিরোধীতা করা নয়’। রোহিঙ্গাদের উপর আমেরিকা চেপে বসে ঢুকতে পারে এটাই তাদের মূল ভয়। কারণ তারা জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাগুলোকেও বিশ্বাস করতে চায় না। অথচ ঘটনা ঘটার ১ সপ্তাহের মধ্যে তুর্কি ত্রাণ সংস্থা টিকার মাধ্যমে মায়ানমারের অভ্যন্তরে ঢুকে প্রায় ১০০০ টন ত্রাণ বিলি করে তুরষ্ক। বার্মীজ সরকার সেটাকে সাপোর্ট দেয়। এক্ষেত্রে হয়ত চীনের বিশ্বাস ছিলো তুর্কীদের মাধ্যমে আর যাই হোক আমেরিকা ঢুকবে না। (http://bit.ly/2lh6Tkrhttp://bit.ly/2i5WgfD)
    একটি বিষয় লক্ষণীয়-
    আমেরিকা কূট-নীতিতে চীন-রাশিয়া থেকে অনেক উন্নত। এরা ডুয়েল রোল প্লে করতে পারে। আমেরিকা ঘটনা উস্কেও দেয়, আবার মানবতার নাম করে প্রবেশ করে। কিন্তু চীন-রাশিয়া আমেরিকার মত ডুয়েল রোল প্লে করার মত স্ম্যার্ট নয়, অথবা লোকবল বা যোগ্যতা তাদের নেই।
    রাশিয়া-চীনের ভয় যদি আমেরিকাকেই নিয়ে হয়, তবে বাংলাদেশের কি করা ?
    চীন-রাশিয়া শুধু আমেরিকাকে নিয়ে ভয় করে তা নয়, খোদ বাংলাদেশেরও ভয়- আমেরিকা যেন কোন ভাবেই এখানে প্রবেশ না করে। কিন্তু সমস্যা হলো- মায়ানমারের পক্ষ নিয়ে চীন-রাশিয়া রোহিঙ্গা নামক স্ট্রাইকারটা ছুড়ে ফেললেও তা কিন্তু আমেরিকা হাতে নিয়ে নিতে পারে। এবং তারা হাতে নিতে ইতিমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছে। এখনও বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সহজ ছিলো ‘রোহিঙ্গা’ নামক স্ট্রাইকারটা নিজের হাতে তুলে নেয়া। একা নিলে যদি দোষ হয়, তবে তুরষ্ক-ইরান-পাকিস্তানকে ডেকে নিক। তুরষ্ক-ইরান থাকলে চীন ও রাশিয়ারকে অন্তত এতটুকু আশ্বস্ত করা যাবে – এখানে আমেরিকার প্রবেশের কোন সুযোগ নেই।
    ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে চীন-রাশিয়ার বাধা’ আমার মনে হয় এই ‘বাধা’টা আসলে কোথায় সেটা ডায়গনোসিস করে ওষুধ দিলেই দ্রুত সমাধান পাওয়া সম্ভব।



    ------------------------------------------------------------------

    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ-  Noyon Chatterjee 6
    (https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728