খবরে এসেছে-“মাদ্রাসা পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে জিহাদ অধ্যায়”
খবরের ভেতরে বলা হচ্ছে-
“বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের নতুন পাঠ্যবইয়ে জিহাদ শিক্ষা বিষয়ক কোনও অধ্যায় থাকছে না। গত চার দশকে এ বিষয়ে এটাই প্রথম উদ্যোগ। আলিয়া বোর্ডের পাঠ্যবই থেকে জিহাদ সম্পর্কিত সব অধ্যায় বাদ দেওয়া হচ্ছে। ২০১৮ সালে এসব বই বিতরণ করা হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, মাদ্রাসাশিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক থাকায় পাঠ্যবই থেকে জিহাদ অধ্যায় বাদ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মাদ্রাসার পাঠ্যবইগুলোতে, ‘জিহাদ’ বলতে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম বা যুদ্ধকে বোঝানো হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়— জঙ্গি প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির ধারণা, মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ের কয়েকটি অধ্যায় শিক্ষার্থীদেরকে জঙ্গি কাজে সম্পৃক্ত হতে উদ্বুব্ধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল মাদ্রাসা বোর্ডে একটি চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চিঠিতে মাদ্রাসার পাঠ্যবই থেকে জিহাদ শিক্ষা বিষয়ক সব অধ্যায় সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। (http://bit.ly/2iyyk8h)
মেনে নিলাম মাদ্রাসা বোর্ডের বইয়ে- ‘জিহাদ বলতে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ঘোষণা দেয়ায়’ সেই জিহাদ বাদ দিতে বলা হয়েছে।
কিন্তু ডান পাশের ছবিটি দেখুন। নবম-দশম শ্রেণীর হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বই (সাধারণ বোর্ড) এর ব্যবহৃত ছবি। যেখানে বইয়ের কভার ফটোতেই ‘দূর্গা অসুরকে হত্যা করছে’ এই ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ছবিতে কি হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধচারণকারীদের হত্যা করতে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে না ?
একটি ধর্মের লোককে শত্রু পক্ষকে মারতে নিষেধ করছেন, আরেকটি ধর্মের লোককে শত্রু পক্ষকে মারতে উৎসাহিত করছেন, এটা কেমন পক্ষপাতিত্ব ??
‘জিহাদ’ শব্দটি মুসলমানদের ধর্মীয় টার্ম। আর মাদ্রাসায় যেহেতু ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হয় সেহেতু সেখানে ধর্মীয় টার্ম পড়ানো হবে এটাই স্বাভাবিক। জিহাদের যেন কেউ অপব্যাখ্যা করতে না পারে, সে উদ্যোগ আপনারা নিতে পারেন, কিন্তু কোন ধর্মের ধর্মীয় অংশকে, ধর্মীয় শিক্ষালয় থেকে কেটে ফেলার অধিকার রাষ্ট্র দেয় না। আজকে যদি আপনি হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে, বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে, খ্রিস্টান ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ ফেলে দিতে চান, তবে কি তারা সেটা মেনে নেবে ??
মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থগুলোতে ‘জিহাদ’ নিয়ে বক্তব্য আছে। আমার মনে পরে আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে একটি এন্টিইসলামীক দল বের হয়েছিলো, যাদের দাবি ছিলো- “মুসলমানদের ধমীয় গ্রন্থ কোরআনে প্রায় সহস্রাধিক আয়াত আছে, সেগুলোর অন্যধর্মের প্রতি শত্রুতা বৃদ্ধি করে। এই আয়াতগুলো বাদ দিয়ে ধর্মগ্রন্থটি ছাপতে হবে।” আমি নিশ্চিত, আজকে যারা মাদ্রাসার বই থেকে ‘জিহাদ’ বাদ দেয়ার কথা বলছে, কালকেই তারা বলবে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ সংস্কার করে ছাপাতে।
পাশাপাশি, এই ‘জিহাদ’ টার্মটি বাদ দেয়ার নেগেটিভ এফেক্টও কিন্তু আছে। মানুষের নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকাঙ্খা বেশি থাকে। বই থেকে ‘জিহাদ’ বাদ দেয়ায় অনেকে আরো বেশি সেদিকে আগ্রহ প্রকাশ করবে। ফলে হিতে বিপরীত হবে।
আরেকটি কথা না বললেই না,
সাম্প্রতিক সময়ে যে সব কথিত জঙ্গীদের খবর আমরা পেয়েছি, বেশির ভাগই হলো ইংলিশ মিডিয়াম আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র। তাদের কারিকুলামের মধ্যে ‘জিহাদ’ টার্মটি ছিলো না, বরং ইসলামবিমুখী শিক্ষা ছিলো। তাহলে তারা কেন সেই দিকে ধাবিত হলো ??
বাংলাদেশের এইসব আজগুবি সিদ্ধান্ত যারা নেয়, দয়া করে তারা আমার এ প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments