Header Ads

ad728
  • Breaking News

    অবশেষে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাহায্য চাইলো।


    গত কয়েকদিন যাবত লক্ষ্যনীয়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ভারত সরাসরি অস্বীকার করেছে। বিশেষ করে-

    ১) গত সপ্তাহে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ভারতে গিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাহায্য চাইলে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর সরাসরি না করে দেয়। (http://bit.ly/2hCImRI)

    ২) একই সময় সাবেক বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জনও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে খোটা মেরে ‘না’ করে দেয়। (http://bbc.in/2zikgUe)

    ৩) গত এক মাসে আগে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কানওয়াল সিবালও একই কথা বলেছিলো। বলেছিলো - ‘ঢাকাকে বুঝতে হবে, দিল্লির পক্ষে এর বেশি কিছু করা সম্ভব নয়। (http://bit.ly/2xf7Xcr)

    সম্ভবত চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রজেক্টে বাংলাদেশের যুক্ত থাকাকে পছন্দ করছে না ভারত। এবং সেখান থেকে বাংলাদেশ সরে না আসলে “রোহিঙ্গা ইস্যুতে কিছুতেই বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে না ভারত” এমনই আভাস দেয়া হয়েছে।

    আমার মনে হয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত যে বাংলাদেশকে সাহায্য বা সমর্থন করবে না, এটা আওয়ামী সরকারের অনেক আগেই বোঝা উচিত ছিলো এবং এটা বুঝতে তারা যথেষ্ট সময়ক্ষেপন করেছে। বিশেষ করে গণহত্যার শুরুতেই ‘মিয়ানমারে মোদির সফর’ এবং ‘ভারতে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা’ তা বোঝার জন্য পর্যাপ্ত ছিলো। যদি বাংলাদেশের আওয়ামী সরকার কখনই চায় না- তাদের সাথে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে এটা বাংলাদেশের মানুষ বা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো বুঝুক। এ কারণে শহীদুল হককে এত অপমান করার পরও সে বিবিসির কাছে নিলর্জ্জের মত বলেছে- “রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের ভূমিকায় বাংলাদেশ খুশি।” (http://bbc.in/2wQDYFf)

    আসলে বাংলাদেশের আওয়ামী সরকার ভারতের সাথে অনেক ব্যবসায়ীক চূক্তি করেছে এটা ঠিক। কিন্তু আওয়ামী সরকারের বোঝা উচিত ছিলো- রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পুরো গেইম খেলছে আমেরিকা। সে এখানে ভারতকে ঠিকাদারি দিয়েছে তার কার্যাবলী বাস্তবায়ন করার জন্য। আওয়ামী সরকার ব্যবসায়ীক সম্পর্কের দোহাই দিয়ে হয়ত ভারতের কাছে সাহায্য চেয়েছে, কিন্তু এতে লাভ হবে বলে মনে হয় না। কারণ ভারতকে আমেরিকা দেখিয়েছে ‘রিজিওনাল সুপার পাওয়ার’ হওয়ার লোভ। সেই লোভেই আওয়ামীলীগের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে দ্বিধা করবে না।

    এ অবস্থায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে যোগাযোগ করেছে, এটা অবশ্যই ভালো দিক। পাকিস্তান রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটিভ হলে চীন কিছুটা হলেও ঠাণ্ডা হবে। তবে শুধু পাকিস্তান নয়, ইরানের সাথে যোগাযোগ করা জরুরী। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইরানকে একটিভ করা গেলে রাশিয়াও ঠাণ্ডা হবে পড়বে। অপরদিকে তুরষ্ক-মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া-কাজাখস্তানকে কাছে টানলে তৈরী হবে আলাদা শক্তি।

    বাংলাদেশ সরকারকে বুঝতে হবে, পঞ্চমুখী ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে সে আটকানো, রোহিঙ্গাদের পর নেক্সট টার্গেট বাংলাদেশ,যা প্রসেস ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। সুতরাং বাচতে চাইলে ‘মুসলিম’ হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরী করার কোনই বিকল্প নেই।


    ------------------------------------------------------------------

    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ-  Noyon Chatterjee 6
    (https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728