যারা চীনকে মিথ্যা প্রতিপক্ষ বানিয়ে আমেরিকাকে গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে, নিশ্চয়ই তাদের সাথে মার্কিন সম্রাজ্যবাদীদের গোপন কোন সমঝোতা হয়েছে
সম্প্রতি কেউ কেউ প্রচার করছে- “চীন রাখাইন প্রদেশে বিনিয়োগের জন্য রাখাইন প্রদেশকে মুসলমানমুক্ত করতে চায়”।
চীন রাখাইন প্রদেশকে মুসলমান মুক্ত করতে চায়, এর স্বপক্ষে দলিল কি কেউ দেখাতে পারবেন ?
কোন গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক নিউজ পেপার বা পোর্টালে এসেছে, এমন কি কেউ দলিল দেখাতে পারবেন ? যেখানে সরাসরি চীনের উদ্ধৃতি বা স্বপক্ষে দলিল আছে, যে তারা রাখাইনকে মুসলিমমুক্ত করতে চায়। অথবা এমন কোন দলিল আছে, যার দ্বারা প্রমাণিত হয়, চীনের ইন্ধনেই গণহত্যা ও ভাগিয়ে দেয়া চলছে ? যদি পারেন, তবে দয়া করে সেই রেফারেন্স লিঙ্ক আমার কমেন্টে দিন।
যদি এর স্বপক্ষে এভিডেন্স দিতে পারেন, তবে ভালো। আর যদি না পারেন, তবে ধরে নিতে হবে – আপনি একজন বিশ্বাসঘাতক। জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। চীনকে মিথ্যা প্রতিপক্ষ বানিয়ে এ অঞ্চলে আমেরিকাকে শেল্টার দিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চাইছেন। নয়ত এমন আজগুবি তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব না।
আমি জানি, কেউ কেউ হয়ত বলবেন, “জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মায়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিলো, সেখানে চীন ভেটো দিয়েছে।”
প্লিজ, যারা এ কথা বলবেন, তারা দয়া করে আন্তর্জাতিক কোন সংবাদমাধ্যম থেকে সেই ঘটনার বর্ণনা দিন। নয়ত আমি বিশ্বাস করবো না।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সিকিউরিটি কাউন্সিলে চীনের বক্তব্য ছিলো ধৈর্য্য ধরার উপদেশ-
China calls for patience with situation in Myanmar's Rakhine
“China condemns the recent violent attacks in Myanmar’s Rakhine State and supports Myanmar’s effort to keep its domestic situation stable. We sincerely hope order will prevail again as soon as possible. So no more harm will come to innocent civilians and social stability, unity among ethnic groups and economic development in Myanmar will be sustained. The question of Rakhine state is rooted in a nexus of complex historical, ethnic and religious factors.”
(সূত্র: http://news.xinhuanet.com/english/2017-09/29/c_136646711.htm)
“China condemns the recent violent attacks in Myanmar’s Rakhine State and supports Myanmar’s effort to keep its domestic situation stable. We sincerely hope order will prevail again as soon as possible. So no more harm will come to innocent civilians and social stability, unity among ethnic groups and economic development in Myanmar will be sustained. The question of Rakhine state is rooted in a nexus of complex historical, ethnic and religious factors.”
(সূত্র: http://news.xinhuanet.com/english/2017-09/29/c_136646711.htm)
চীন বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার পক্ষপাতি-
China advocates Myanmar and Bangladesh resolving the problem via dialogue and consultation," the Foreign Ministry cited Wang as saying.
"China is willing to continue promoting peace talks in its own way, and hopes the international community can play a constructive role to ease the situation and promote dialogue," he said.
(http://mobile.reuters.com/article/amp/idUSKCN1BU070)
"China is willing to continue promoting peace talks in its own way, and hopes the international community can play a constructive role to ease the situation and promote dialogue," he said.
(http://mobile.reuters.com/article/amp/idUSKCN1BU070)
পুরো বিষয়টি পাঠে যেটা বোঝা যায়-
রোহিঙ্গা গণহত্যা শুরু হওয়ার পর ব্রিটেন-আমেরিকা-ফ্রান্স সরাসরি মায়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষপাতি। কিন্তু চীন বলছে- সমস্যাটি হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কোন সমস্যা না। বহুদিন ধরে চলা সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত বিভেদের থেকে এ সংঘাতের উৎপত্তি। তাই মায়ানামরের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট পদক্ষেপ না নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হোক।
কিন্তু এ ঘটনায় কোথাও প্রমাণিত হয় না- চীনের নির্দেশে ঐ অঞ্চলে মুসলিম নিধন চলছে।
রোহিঙ্গা গণহত্যা শুরু হওয়ার পর ব্রিটেন-আমেরিকা-ফ্রান্স সরাসরি মায়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষপাতি। কিন্তু চীন বলছে- সমস্যাটি হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কোন সমস্যা না। বহুদিন ধরে চলা সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত বিভেদের থেকে এ সংঘাতের উৎপত্তি। তাই মায়ানামরের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট পদক্ষেপ না নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হোক।
কিন্তু এ ঘটনায় কোথাও প্রমাণিত হয় না- চীনের নির্দেশে ঐ অঞ্চলে মুসলিম নিধন চলছে।
বরং ইতিহাস বলছে-
সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা বিরোধী জঘন্য সাম্প্রদায়িকতা তৈরীকারী ৯৬৯ মুভমেন্টের আশ্বিন উইরাথুকে জেলে মায়ানমারের চীনপন্থী সামরিক জান্তা।
কিন্তু মার্কিনপন্থী রাষ্ট্রপতি থেইন সেইন আশ্বিন উইরাথুকে ২০১২ সালে জেল থেকে মুক্ত করে এবং বলে- রোহিঙ্গাদের তৃতীয় কোন রাষ্ট্র পাঠিয়ে দিতে হবে।
(বিস্তারিত- http://bit.ly/2yLy0qR)
সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা বিরোধী জঘন্য সাম্প্রদায়িকতা তৈরীকারী ৯৬৯ মুভমেন্টের আশ্বিন উইরাথুকে জেলে মায়ানমারের চীনপন্থী সামরিক জান্তা।
কিন্তু মার্কিনপন্থী রাষ্ট্রপতি থেইন সেইন আশ্বিন উইরাথুকে ২০১২ সালে জেল থেকে মুক্ত করে এবং বলে- রোহিঙ্গাদের তৃতীয় কোন রাষ্ট্র পাঠিয়ে দিতে হবে।
(বিস্তারিত- http://bit.ly/2yLy0qR)
এটা খুব সহজ বিষয়-
আমেরিকা কোন অঞ্চলে নিজেরাই সমস্যা তৈরী করে এবং সমাধান দেয়ার নাম করে সেখানে প্রবেশ করে।
চীনের যদি সেখানে ব্যবসায়ীর ইনভেস্ট থাকে, তবে স্বাভাবিকভাবে সে তো চাইবেই ঐ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় থাকুন। মারামারি কাটাকাটি চাওয়ার তো কথা না।
উল্লেখ্য রাখাইনে গ্যাস পাইপ লাইন তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে ১০-১২ বছর। এতদিন চীন চাইলো না সেখান থেকে মুসলিম তাড়াতে, কিন্তু যখন কাজ শেষ হলো তারা মুসলিম তাড়িয়ে পুরো এলাকা অস্থিতিশীলী করে তুললো, এটা তো গাজাখুরি টাইপের কথা হলো।
আরো উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সাথে সাথে রাশিয়ার স্পুটনিক থেকে রিপোর্ট বের হয়-
রোহিঙ্গা সংকটের পেছনে রয়েছে রাখাইনের তেল সম্পদ, ফান্ড দিচ্ছে মার্কিন ইহুদী তেল ব্যবসায়ী জর্জ সরোস এবং কলকাঠি নাড়ছে খোদ আমেরিকা । (http://bit.ly/2jaK3Kl)
আমেরিকা কোন অঞ্চলে নিজেরাই সমস্যা তৈরী করে এবং সমাধান দেয়ার নাম করে সেখানে প্রবেশ করে।
চীনের যদি সেখানে ব্যবসায়ীর ইনভেস্ট থাকে, তবে স্বাভাবিকভাবে সে তো চাইবেই ঐ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় থাকুন। মারামারি কাটাকাটি চাওয়ার তো কথা না।
উল্লেখ্য রাখাইনে গ্যাস পাইপ লাইন তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে ১০-১২ বছর। এতদিন চীন চাইলো না সেখান থেকে মুসলিম তাড়াতে, কিন্তু যখন কাজ শেষ হলো তারা মুসলিম তাড়িয়ে পুরো এলাকা অস্থিতিশীলী করে তুললো, এটা তো গাজাখুরি টাইপের কথা হলো।
আরো উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সাথে সাথে রাশিয়ার স্পুটনিক থেকে রিপোর্ট বের হয়-
রোহিঙ্গা সংকটের পেছনে রয়েছে রাখাইনের তেল সম্পদ, ফান্ড দিচ্ছে মার্কিন ইহুদী তেল ব্যবসায়ী জর্জ সরোস এবং কলকাঠি নাড়ছে খোদ আমেরিকা । (http://bit.ly/2jaK3Kl)
হঠাৎ করে বাংলাদেশে একটি গ্রুপ তৈরী হয়েছে-
যারা চীনকে মিথ্যা প্রতিপক্ষ বানিয়ে আমেরিকাকে গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে। যারা কাজটি করছে- তারা তো ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির জন্য চীন দায়ী’ এর স্বপক্ষে কোন দলিল দেখাতে পারবে না।
যারা চীনকে মিথ্যা প্রতিপক্ষ বানিয়ে আমেরিকাকে গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে। যারা কাজটি করছে- তারা তো ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির জন্য চীন দায়ী’ এর স্বপক্ষে কোন দলিল দেখাতে পারবে না।
তাহলে কি ধরে নেবো- ঐ গোষ্ঠীটির সাথে মার্কিন সম্রাজ্যবাদীদের গোপন কোন সমঝোতা বা আর্থিক লেনদেন হয়েছে ? নয়ত এমন আজগুবি খবর তৈরী তো স্বাভাবিক না।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments