বাংলাদেশের জনগণের কোন নীতি নাই দেখে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোরও কোন নীতি নাই।
যেমন জনগণ, তেমন তার সরকার।
উদহারণ হিসেবে, একটা জিনিস চিন্তা করুণ-“অর্পিত সম্পত্তি আইন”।
উদহারণ হিসেবে, একটা জিনিস চিন্তা করুণ-“অর্পিত সম্পত্তি আইন”।
শেখ হাসিনা এ আইন পাশ করাতে পুরো দেশের ১/৪ অংশ হিন্দুদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ৫০-৬০ বছর আগে বিদেশে চলে যাওয়া হিন্দুরা এখন বাংলাদেশে জমি চাওয়া শুরু করছে। অর্পিত সম্পত্তি আইন এমন একটা আইন যেটা ভারতও দেয় নাই, পাকিস্তানও দেয় নাই। মাঝখান দিয়ে বাংলাদেশ দিয়ে দিছে।
এখন আপনি এটার বিরুদ্ধে বলেন। দেখবেন লাভ হবে না। বাংলাদেশের অনেক মুসলমান দাড়িয়ে বলবে- “ভাই হিন্দু সম্পত্তি দখল করতে চান। তাদের সম্পত্তি তাদের ফিরিয়ে দেন।”
আহারে কত বড় সাধু বাবা।
এখন আপনি এটার বিরুদ্ধে বলেন। দেখবেন লাভ হবে না। বাংলাদেশের অনেক মুসলমান দাড়িয়ে বলবে- “ভাই হিন্দু সম্পত্তি দখল করতে চান। তাদের সম্পত্তি তাদের ফিরিয়ে দেন।”
আহারে কত বড় সাধু বাবা।
এই মুসলমানরা মূল বিষয়টা বুঝতেই চাবে না। বুঝতে চাইবে না- যে হিন্দুরা জমি রেখে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলো, তার বদলে অনেক মুসলমানও ঐ দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছিলো। অদল-বদল হয়েছে। ঐ স্থানে মুসলমানরা যে জমিগুলো ফেলে এসেছিলো তা তো ভারত ফেরত দেয়নি। তাহলে বাংলাদেশের জমিগুলো কেন ভারত থেকে আসা হিন্দুদের ফেরত দিতে হবে ?
এই বিষয়টা বুঝতে এত বেশি জ্ঞানের কিন্তু প্রয়োজন নাই। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের মুসলমানরা সেটা নিয়ে কোন কথা বলবে না। আপনি কথা বলবেন, তারা আপনাকে চুপ করিয়ে দেবে। বাংলাদেশের মুসলমানরা যদি বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন করতো, তবে সরকার এ ভয়ঙ্কর আইন পাশ করার সুযোগই পাইতো না।
আপনাদের মনে থাকার কথা- দেবোত্তর সম্পত্তি আইন নিয়ে ৮৮ বছরের বৃদ্ধ রাগীব আলীকে ১৪ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। ঐ সময় আমি বিষয়টি নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছিলাম। স্থানীয়দের সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে জানিয়েছিলাম- রাগাবী আলী ঐ লোকের থেকে জমি ক্রয় করে। দোষী ঐ হিন্দু। কিন্তু তারপরও ফাসানো হলো রাগীব আলী। বাংলাদেশের মুসলমানদের অধঃপতন এত জঘন্য যে- রাগীব আলী জনকল্যানে ২ হাজার প্রতিষ্ঠান করেছে সেটার কোন মূল্য তাদের কাছে নেই, এক হিন্দু জমি দখল (!) করেছে, এটা নিয়ে দাড়ি-টুপি ওয়ালা মুসলমানরা ছিঃ ছিঃ করতে থাকলো। আমি ঐ সময় বলেছিলাম- এ ঘটনার আড়ালে দুইজন কুচক্রী আছে- এক- প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, অপরজন- সম্প্রতি হিন্দু রাজনৈতিক দল বানানো মিঠুন চৌধুরী। এখন অনেকই জানে ঐ দুইজন খারাপ, কিন্তু আমি যখন বলেছি, তখন কেউ বিশ্বাস করেনি। মাঝখান দিয়ে- রাগীব আলী ও তার ছেলে জেলে পচছে। যে জাতি নিজের লোকের জন্য মায়া নাই, সে উন্নতি করবে কিভাবে ?
আসলে বাংলাদেশের জনগণ নিজেরাই জানে না- তারা কি চায় ?
যদি জানতো, তবে কোন একটা ইস্যুতে একত্র হতে পারতো।
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের কোন নির্দ্দিষ্ট নৈতিক অবস্থান নাই।
অপরদিকে, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলো দিকে তাকান। তাদের নির্দ্দিষ্ট তাত্ত্বিক অবস্থান আছে। সেটা ভুল হোক আর শুদ্ধ হোক। যেমন ধরুন- ভারতে এখন হিন্দুরা আন্দোলন করছে তাজমহল নিয়ে। তাদের দাবি এটা হিন্দুদের মন্দির। সবাই জানে, ইতিহাস সাক্ষী- এটা কে করেছে। কিন্তু তারপরও তারা মানতে নারাজ। মোঘল বাদশাহ শাহজাহান যে খুব ধার্মীক ছিলো সেটা না, কিন্তু সে ‘মুসলমান’ এটুকু পরিচয় হিন্দুদের জন্য যথেষ্ট। তারা কিছুই তো মানবে না।
যদি জানতো, তবে কোন একটা ইস্যুতে একত্র হতে পারতো।
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের কোন নির্দ্দিষ্ট নৈতিক অবস্থান নাই।
অপরদিকে, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলো দিকে তাকান। তাদের নির্দ্দিষ্ট তাত্ত্বিক অবস্থান আছে। সেটা ভুল হোক আর শুদ্ধ হোক। যেমন ধরুন- ভারতে এখন হিন্দুরা আন্দোলন করছে তাজমহল নিয়ে। তাদের দাবি এটা হিন্দুদের মন্দির। সবাই জানে, ইতিহাস সাক্ষী- এটা কে করেছে। কিন্তু তারপরও তারা মানতে নারাজ। মোঘল বাদশাহ শাহজাহান যে খুব ধার্মীক ছিলো সেটা না, কিন্তু সে ‘মুসলমান’ এটুকু পরিচয় হিন্দুদের জন্য যথেষ্ট। তারা কিছুই তো মানবে না।
আপনার দৃষ্টিতে ভারত হয়ত খারাপ, কিন্তু তারা নিজস্ব জাতীয়তাবাদ থেকে ঠিকই উঠে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষও মোদির কোটি কিনছে, হিন্দুত্ববাদী সিরিয়াল গিলছে, ভারতে ঈদের শপিং করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের মুসলমানদের যে নির্দ্দিষ্ট নৈতিক অবস্থান নাই, এটা গত কয়েকদিন আরো স্পষ্ট হয়েছে- লক্ষীপুরে নামাজের সময় দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে। অনেক মুসলমানকে দেখলাম- ঐ মেয়রের ব্যক্তি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠাতে। সে অমুক খারাপ- তমুক খারাপ এসব বলতে।
কেন ? ঐ মেয়র খারাপ হতে পারে, কিন্তু সিদ্ধান্ত তো ভালো। সবার উচিত ছিলো ঐ সিদ্ধান্তকে ভালো বলা, মেয়রকে নয়।
কেন ? ঐ মেয়র খারাপ হতে পারে, কিন্তু সিদ্ধান্ত তো ভালো। সবার উচিত ছিলো ঐ সিদ্ধান্তকে ভালো বলা, মেয়রকে নয়।
হিন্দু পেইজগুলো থেকে সবাই একযোগ পোস্ট দিলো ঐ আইন বাতিল করতে। স্বাভাবিক মুসলিম পেইজগুলো থেকে উচিত ছিলো- পুরো দেশে ঐ আইন জারির জন্য আন্দোলন করার জন্য। কিন্তু উল্টো মুসলিম পেইজগুলো মেয়রের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কাটাকুটি শুরু করলো। অথচ সাধারণ মুসলমান ও মুসলিমদলগুলো যদি অ্যাপ্রিশিয়েট করতো, তবে অন্যরাও সেটা দেখে আকৃষ্ট হয়ে নিজ এলাকায় তা জারি করতো। কিন্তু এখন হলো উল্টো। ঐ নিদের্শ বাতিল করতে হলো।
অনেকে সরকারের থেকে ইসলাম চায়।
আমি ঐ লোকগুলোকে প্রশ্ন করবো- আপনি নিজে কি ইসলাম চান ?
আমার মনে হয় না, আপনি ইসলাম চান। আগে নিজে ইসলাম চান, পরে সরকার থেকে প্রত্যাশা করেন।
হিন্দুরা নিজে হিন্দুত্ব চায়, তাই সরকার হিন্দুদের কথা শুনে ও হিন্দুত্ব বাস্তবায়ন করে।
আগে নিজে ইসলামপন্থী হোন, পরে সরকারকে ইসলামপন্থী হতে বলুন।
আমি ঐ লোকগুলোকে প্রশ্ন করবো- আপনি নিজে কি ইসলাম চান ?
আমার মনে হয় না, আপনি ইসলাম চান। আগে নিজে ইসলাম চান, পরে সরকার থেকে প্রত্যাশা করেন।
হিন্দুরা নিজে হিন্দুত্ব চায়, তাই সরকার হিন্দুদের কথা শুনে ও হিন্দুত্ব বাস্তবায়ন করে।
আগে নিজে ইসলামপন্থী হোন, পরে সরকারকে ইসলামপন্থী হতে বলুন।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments