Header Ads

ad728
  • Breaking News

    কেন আমেরিকা জোর করে হলেও বঙ্গোপোসাগরে ঢুকবে ?

    রোহিঙ্গা নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী হওয়ার পর একটি কথা বার বার উচ্চারিত হচ্ছে- “এ অঞ্চলে আমেরিকা ঢুকবে । ”
    কিন্তু কেন ঢুকবে ?
    উত্তর অনেকে হয়ত দেবেন –
    “তেল গ্যাসের কারণে ঢুকবে ?”
    এর প্রতিউত্তরে হয়ত কেউ কেউ বলবেন-
    “পৃথিবীতে কি তেল গ্যাসের অভাব পরেছে যে এ অঞ্চলেই ঢুকতে হবে ?”
    এর উত্তর পেতে হলে আপনাদেরকে আমেরিকার মুদ্রা ব্যবস্থা বা ‘ডলার’কে বুঝতে হবে।
    আমেরিকার ডলার ছাপতে কিন্তু কোন স্বর্নের প্রয়োজন হয় না। আমেরিকা স্বর্ণ রিজার্ভ ছাড়াই ইচ্ছামত কাগুজে ডলার ছাপতে পারে। ১৯৭১ সালের ১৫ই আগস্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ডলারের ‘স্বর্ণ ভিত্তি’ বাতিল করে।
    কিন্তু স্বর্ণ রিজার্ভ ছাড়া ডলার ছাপালে দেশটিতে মূল্যস্ফিতি দেখা দেয়ার কথা। সেটা কেন হচ্ছে না ?
    আসলে আমেরিকা এটা নিয়ন্ত্রণ করেছে- ডলারের প্রচুর চাহিদা সৃষ্টি ও যোগান হ্রাসের মাধ্যমে। যদি ডলারের প্রচুর চাহিদা সৃষ্টি করা যায়, তবে স্বর্ণ রিজার্ভের প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
    এই চাহিদাটা-ই সৃষ্টি করা হয়েছে ‘তেল’ এর মাধ্যমে। এরজন্য আমেরিকা সৌদি আরব ও অন্যান্য ওপেকভূক্ত তেল রফতানিকারক দেশগুলোকে বাধ্য করেছে শুধুমাত্র ডলার দিয়ে তেল বিক্রি করতে। এতে একদিকে আমেরিকা নিজের ছাপানো কাগজ ‘ডলার’ দিয়ে ফ্রি তেল ক্রয়ের সুযোগ পায়। অপরদিকে অন্যরাষ্ট্রগুলো তেল কিনতে গিয়ে ডলারের শরনাপন্ন হলো, ফলে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে ডলারের অবস্থান শক্তিশালী হতেই থাকলো। এ কারণে স্বর্ণের ভিত্তি কাটিয়ে আমেরিকার মুদ্রা ডলার চিহ্নিত হলো ‘পেট্রো ডলার’ হিসেবে।
    পাঠক, খেয়াল করুন- বর্তমানে আমেরিকার অর্থনীতি অনেকটাই শূন্যের উপর ভেসে আছে। মানুষ যদি তেল ডলার দিয়ে না কিনে, তবে ডলারের চাহিদা হ্রাস পবে এবং তার দাম কমতে থাকবে। এতেই পতন হবে আমেরিকা অর্থনীতি তথা দেশটির সুপার পাউয়ারত্ব। তাই আমেরিকাকে অস্ত্র দিয়ে ঘায়েল করার কোন দরকার নাই, শুধু ডলার দিয়ে তেল বিক্রি বন্ধ করুন, পুরো আমেরিকার পতন ঘটবে। এ কারণে কোন দেশে কেউ যদি ডলার ভিন্ন অন্য কোন মুদ্রা দিয়ে তেল বিক্রির ঘোষণা দেয়, তখনই আমেরিকার মাথা খারাপ হয়ে যায়, এবং আমেরিকা সেখানে যুদ্ধ করে হলেও সেটা বাতিল করে। কারণ আমেরিকার সবচেয়ে স্পর্ষকাতর অংশ হলো এটি , যেখানে আঘাত করে আমেরিকাকে খুব দ্রুত ধরাশায়ী করা সম্ভব।
    উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ইউরো চালু হওয়ার পর ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ঘোষণা দেয়- তারা তাদের তেল আর ডলারে নয় ইউরোতে বিক্রি করবে। এবং ২০০০ সাল থেকে ইরাক ইউরোতে তেল বিক্রি শুরু করে। এ ঘটনায় আমেরিকার ডলারের পতন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। ফলশ্রুতিতে ২০০৩ সালে আমেরিকা ইরাক আক্রমণ করে। তারা সাদ্দাম সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন সরকার বসায় এবং ফের ডলারে তেল বিক্রি শুরু করে। অনেকে বলে, তেল সম্পদের জন্য আমেরিকা ইরাক আক্রমণ করেছে। এর মানে এই নয় ইরাক থেকে তেল চুরি করে আমেরিকা নিয়ে যাওয়া হবে। বরং তেল সম্পদ ডলার দিয়ে বিক্রি করে কাগজের ডলারকে সমুন্নত রাখাই তাদের উদ্দেশ্য।
    এখন কথা হচ্ছে, আমেরিকা কেন বঙ্গোপোসাগরে ঢুকবে ?
    কারণ সম্ভবত মিডল ইস্টের তেল সম্পদ ধিরে ধিরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এবং জ্বালানি সম্পদের জন্য বিশ্বকে অন্য কোথাও ঝুকতে হবে। এবং সেই স্থানটি সম্ভবত বঙ্গোপোসাগর, যা চট্টগ্রামের মহেশখালী কুতুবদিয়া থেকে শুরু করে রাখাইন উপকূল হয়ে নিচ পর্যন্ত পৌছেছে। গ্যাস ফর্মে থাকা বঙ্গোপোসগারে এই জ্বালানির মজুদ পৃথিবীর মোট মজুদের অর্ধেকেরও বেশি।
    বর্তমানে চীন চাইছে এই সব সম্পদ নিয়ন্ত্রণে নিতে। কিন্তু চীনের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে সে নিশ্চয়ই আমেরিকান ডলারে তা ক্রয় করবে না। করবে অন্য কোন মুদ্রায়। ফলে পতন ঘটবে আমেরিকান ডলারের। কিন্তু আমেরিকা কিছুতেই তা হতে দেবে না। অর্থাৎ আমেরিকার মূল ‘প্রাণবায়ু’তে আঘাত লেগেছে। প্রয়োজনে আমেরিকা যুদ্ধ করবে, তবুও এ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ চীনের হাতে দেবে না।
    অর্থাৎ আমেরিকা এ অঞ্চলে ঢুকবেই। এ কারণেই বলি- রোহিঙ্গাইস্যুসহ এ অঞ্চলের প্রত্যেকটি ইস্যু গুরুত্বের সাথে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। কোনভাবে দেরি, হেলাফেলা করা ঠিক নয়। মনে রাখতে হবে, বিশ্বশক্তিগুলো যুদ্ধের ময়দান এখন বাংলাদেশের উপকূল, তাই পুরো বিষয়টি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে বাংলাদেশের ‘ইরাক’র মত ধ্বংসস্তুপ হওয়া অনিবার্য।



    ------------------------------------------------------------------

    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ-  Noyon Chatterjee 6
    (https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728