মসজিদ বিরোধী শ্লোগান দেয়া শেকৃবির ছাত্রলীগ নেতা বিলাশ পাল গ্রেফতার
মসজিদ উঠায় দাও, মসজিদ উঠায় দাও, শুধু থাকবে মন্দির
এই শ্লোগান দেয়া শেকৃবির ছাত্রলীগ নেতা বিলাশ পাল কিছুক্ষন আগে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার পর স্থানীয় একটি পোর্টাল মূল ঘটনাটি উল্লেখ করে। আমি আপনাদের জন্য তা হুবুহু দিচ্ছি-
“গত ১ অক্টোবর বিকেলে বৈরান নদীতে পৌর এলাকার পালপাড়া পূজা মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের পূর্বে এক শোভাযাত্রা বের করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শোভাযাত্রাটি কোনাবাড়ি মসজিদ অতিক্রম করার সময় আসরের আযানের সময় হওয়ায়, স্থানীয় মুসুল্লিরা শোভাযাত্রায় মাইক ও ঢোল না বাজানোর অনুরোধ করেন। এসময় বিলাশ পাল ঢোল বন্ধ না করে শোভাযাত্রার সাথে থাকা মাইকে ‘সব মসজিদ উঠাইয়া দাও, মসজিদ কিসের, সব মন্দির থাকবে’ বলে ঘোষণা দেন। এসময় স্থানীয় কয়েক যুবক তার এই ঘোষণা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।
পরে গত ২ অক্টোবর গুলজার আহমেদ নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি আপলোড করা হয়। পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেলে স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।পরে, মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনার প্রতিবাদে গোপালপুর পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় ঈমাম সমিতি ও মুসুল্লিরা। (http://bit.ly/2xRCpKU)
‘পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করা’ বলে একটি ফ্রেজ আছে। বাংলাদেশের হিন্দুরা এখন সেই স্তুরে আছে। ভারতে এই কার্যক্রম আরো অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে। বাবরি মসজিদ হিন্দুদের, তাজমহল হিন্দুদের, এরকম বহু মূত্রখোর তত্ত্ব দিয়ে তারা দাঙ্গা লাগাচ্ছে। তবে এখন আরো এক ধাপ এগিয়ে নিজেরাই দাড়ি-টুপি পরে মুসলিম সেজে হিন্দু মিছিলে হামলা চালাচ্ছে। এরপরে সেই অজুহাতে মুসলিম নিধন করছে। (http://bit.ly/2xPUzN1)। অনেক এলাকায় হিন্দুরা নিজেরাই গরু জবাই করে মুসলমানদের দোষ দিয়ে তারপর দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে (http://bit.ly/2y0molF)।
সত্যিই বলতে আপনারা যতই বলেন হিন্দু-মুসলিম সহঅবস্থান করতে হবে। বাস্তবে এটা কিন্তু সম্ভব নয়। এবং সেটা মুসলমানরা যে চায় না, তা নয়, হিন্দুদের কারণেই সেটা সম্ভব না। ইতিহাস বলে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পেছনে মুসলমানরা দায়ি ছিলো না, ছিলো হিন্দুরা। কংগ্রেসের হিন্দু নেতারা সেক্যুলার সেজে থাকতো, মুখে মুখে সেক্যুলার রাষ্ট্রের কথা বলতো কিন্তু বাস্তবে কাজ করতো হিন্দুদের পক্ষে। তাদের চুপা হিন্দুত্ববাদী চালাকি ধরতে পেরে মুসলিম নেতারা কংগ্রেস ছেড়ে দেয় এবং মুসলমানদের জন্য পৃথক ভূমি দাবি করে। অনরুপ বাংলাভাগ হওয়ার পেছনেও হিন্দুরা দায়ী। পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা দেখলো বাংলা এক থাকলে তারা হবে সংখ্যালঘু। একারনে তারা বাঙালীর সাথে থাকতে না চেয়ে ভারতের সাথে থাকতে চাইলো। তাদের কাছে বাঙালীয়ানার চেয়ে হিন্দুত্ববাদ বেশি দরকারী। যার ফলশ্রুতিতে ভাগ হলো বাংলা।
অর্থাৎ যত বিভাজন হয়েছে, সব হয়েছে হিন্দুদের উগ্রপন্থার কারণে। বর্তমানেও বাংলাদেশে একই ঘটনা চলছে। বাংলাদেশেও হিন্দু-মুসলিম বিভেদ চলছে। এটা ঘটাচ্ছেও হিন্দুরাই। বাংলাদেশের হিন্দুরা ইসরাইলের থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসছে, ভারতের বিজেপির থেকে আর্শিবাদ নিচ্ছে। এ অবস্থায় আপনি যতই তাদের সাথে বন্ধুত্ব চান, কিছুতেই তা হবে না। সে পায়ে পারা দিয়ে আপনার সাথে ঝগড়া করবেই। বিষয়টা অনেকটা- হঠাৎ করে মস্তিষ্ক বিকৃত ঘটা পাগলা কুকুরের মত। আপনি পাগলা কুকুরকে কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও পোষ মানাতে পারবেন না, সহঅবস্থান করতে পারবেন না। তাকে আদর করতে গেলেও সে কামড় দেবেই। আপনাকে জলাতঙ্গ বানিয়ে দেবে। কুকুর পাগলা হলে সে কামড় দেয়ার পূর্বে যেটা করতে হয়, হিন্দুদের বেলায়ও এখন একই ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া আমি আর কোন ঔষধ দেখছি না।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments