Header Ads

ad728
  • Breaking News

    মুসলমাদের সময় খুব কম। বাঁচতে চাইলে দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করুন

    ধরুন,
    আপনার বাবা ও পাশের বাড়ির প্রতিবেশীর মধ্যে মারামারি লেগেছে।
    আপনার বাবা তাকে মেরেছে, প্রতিবেশীও আপনার বাবাকে মেরেছে।
    এখন আপনি কাকে সমর্থন করবেন ? কার পক্ষে কথা বলবেন ?
    আপনার বাবার পক্ষে ? নাকি প্রতিবেশীর পক্ষে ?
    নাকি বাবা ও প্রতিবেশীর মধ্যে তুলনা করবেন, ন্যায়-অন্যায় বিচার করে পক্ষ নিবেন ?
    আমি জানি- আপনি আপনার বাবা’র পক্ষই নিবেন।
    কারণ- আপনার বাবা দোষ করুক, আর ভালো করুক- সে আপনার বাবা।
    একই সাথে-আপনি আপনার বাবার কাছেই প্রতিপালিত। সে সব কিছু দিয়ে আপনাকে লালন-পালন করেছে, সুতরাং তার একটি প্রতিদান আছে।
    অথবা আপনি যদি আপনার বাবার বিরুদ্ধে যান, তবে আপনার বাবা আপনাকে ত্যাগ করবে।
    এতে যদি কখন প্রতিবেশী আপনারও বিরুদ্ধে যায়, তখন আপনার বাবা-ই আপনাকে শেল্টার দিবে।
    বাস্তবতা হচ্ছে, পুরো লাভ-ক্ষতির হিসেব আনকনসাস মাইন্ডে করে আপনি আপনার বাবা’রই পক্ষ নেন। (গাড়ি চালকের সামনে কোন মানুষ আসলে সে চিন্তা না করেই ব্রেকে চাপ দেয়, কারো চোখের সামনে হাত গেলে সে কিছু চিন্তা না করেই চোখ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনাগুলো ব্রেনের আনকনসাস মাইন্ড থেকে হয়।)
    ঠিক একইভাবে চিন্তা করুন-
    আপনার মুসলিম সমাজ ও হিন্দু সমাজ মারামারি লেগেছে।
    দু’জন দু’জনকে মেরেছে।
    এখন আপনি কার পক্ষ নিবেন ?
    স্বাভাবিকভাবে যেটা দেখা যায়- মুসলিমরা অতি ভদ্র সেজে, নীতিবাক্য মেরে ন্যায়-অন্যায় বিচার করা শুরু করে দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধ যায়, হিন্দুর পক্ষ নেয়।
    কিন্তু সে একবারও ভাবে না-
    ১) হিন্দু সমাজের পক্ষ নেয়ায় সে মুলত তার প্রতিপালনকারী মুসলিম সমাজের উপর আঘাত করলো।
    ২) দ্বন্দ্বের সময় মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধে যাওয়ায়, সে মুসলিম সমাজ থেকে চ্যূত হয়ে গেলো।
    ৩) মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধে গেলেও, হিন্দু সমাজ কি সুযোগ পেলে তাকে ছেড়ে দিবে ?
    ৪) কখন যদি ঐ হিন্দু সমাজ তার উপর হামলা করে তবে মুসলিম সমাজের থেকে কি সে কোন সাহায্য পাবে ?
    কয়েকদিন আগে মায়ানমার থেকে যখন রোহিঙ্গা তাড়ানো হচ্ছিলো- তখন বার্মীজ সেনাপ্রধান এক ভাষণে বলেছিলো- “রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আমাদের জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” এবং দেখা যায়- রোহিঙ্গা বিতাড়নে পুরো বার্মীজ জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিলো। বিষয়টি দৃশ্যত অন্যায় হলেও, তাদের একত্রিত থাকার সুফল কিন্তু তারা পেয়েছে। সারা বিশ্ব তাদের এই গণহত্যার জন্য নিন্দা জানিয়ে লাভ হয়নি, যেহেতু তারা জাতিগতভাবে বিষয়টিতে এক হয়েছে, তাই কেউ তাদের কিছু করতে পারে নাই। অর্থাৎ জাতিগতভাবে কোন কিছুর উপর দৃঢ় হলে সেখানে প্রতিপক্ষ ঢোকার সুযোগ পায় না।
    আমি দেখেছি, বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে জাতিগত দৃঢ়তার থেকে ভালো-মন্দ যাচাই করার প্রবণতা খুব বেশি। এবং যেহেতু তাদের ভালো-মন্দের ভিত্তি হচ্ছে মিডিয়া, সুতরাং তাদের বিভ্রান্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রকৃতপক্ষে মুসলিমরা এই ভালো-মন্দ বিচার করতে গিয়ে আসলে নিজ জাতির গোড়ায় কুড়াল মারছে। এবং সেই আঘাতে আলটিমেটলি সে নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হিন্দু-মুসলিম যদি একটা গন্ডগোল লাগে এবং তখন যদি মুসলমানদের অবস্থা শক্তিশালী না হয়, তবে সে নিজেও কি বঙ্গোপোসাগরে নামার
    তালিকা থেকে বাদ যাবে ? অবশ্যই না।
    আমি মুসলিম সমাজকে বলবো- আপনাদের সময় কিন্তু খুব কম। বাঁচতে চাইলে দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করুন।
    আপনার বাবার স্থলে আপনার ধর্ম ও জাতিকে প্রতিস্থাপন করুন।
    ব্যস, এবার বাবা-প্রতিবেশীর দ্বন্দ্বে যেভাবে পক্ষ-বিপক্ষ নিতেন
    ঠিক একইভাবে মুসলিম-হিন্দু সমাজ দ্বন্দ্বে মাইন্ডে পক্ষ-বিপক্ষ নিন।
    দেখবেন সব হিসেব মিলে যাবে।


    ======================================
    আমার ফেসবুকের মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
    পেইজ কোড- 249163178818686

    -------------------------------------------------------------------------------------------
    আমার ফেসবুকের ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
    (https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
    -------------------------------------------------------------------------------------------

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728