আজকে আপনাদেরকে খুব সিরিয়াস কয়েকটা কথা বলবো, সবাই মনোযোগ দিয়ে শুনবেন।
আমার কাছে যে তথ্য এসে পৌছেছে, তাতে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বড় ধরনের একটা অরাজকতা হবে। এই সময়টা আগামী ৬ মাসের মধ্যেই। দেশে সে সময় যে বিশৃঙ্খলতা হবে সেটা অনেকটা সিরিয়ার সাথে তুলনা করা যাবে। সে সময় ব্যাপক রক্তপাত হবে, মানুষ মারা যাবে, অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনতে হবে। সে পরিস্থিতি আসার আগে, মুসলমানদের কিছু প্রস্তুতি দরকার আছে। আজকে আমি আপনাদেরকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিবো, আপনারা সবাই মনে রাখবেন।
১) আমার এ পেইজে অনেক ইসলামী দলের নেতা কর্মীরা আছেন। আমি এও জানি এরা সবাই বয়সে জুনিয়র। দল চলে সিনিয়রদের কথায়, যারা সমসাময়িক ধারাবাহিকতা রেখে কাজ করেন। অনেকের বয়স এত বেশি যে ফেসবুকে কে কি লিখলো, সেটা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, আপনারা আপনাদের শীর্ষ নেতাদের এইসব ষড়যন্ত্রের ব্যাপারগুলো বুঝান। তাদের সব বিষয়ে অবহিত করুন।
২) মুসলমানদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। কেউ টুপি ছোট পড়ে, কেউ টুপি বড় পরে। কেউ আমিন জোরে বলে, কেউ আমিন আস্তে বলে। কেউ মিলাদ পরে, কেউ মিলাদ পরে না। আপনারা দয়া করে প্রত্যেকে প্রত্যেক দলের নেতাদেরকে বুঝান, এই সব নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করার সময় এখন নয়। আপাতত সবাই যেন এই সব বিষয়ে ঝগড়া থামিয়ে দেয়। যে যার মত ধর্ম পালন করুক, আপানারা কারো পক্ষে বইলেন না, বিরুদ্ধেও বইলেন না। মতপার্থক্য ইস্যুতে আপাতত সবাই যেন চুপ থাকে। মুসলমানরা এখন দলমত নির্বিশেষে নিজেদের মধ্যে এক থাকুন এবং শত্রুর বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ুন। তবে যারা আপনাদের কথা না শুনে এই দ্বন্দ্ব চালিয়ে যাবে- তাদের প্রকাশ্যে ভৎর্সনা করুন, দল থেকে পৃথক করে দিন।
৩) ধর্মীয় নেতাদের পাশাপাশি, মুসলমানদের মধ্যে আরেকটি কথিত শিক্ষিত শ্রেণী আছে যারা সেক্যুলারিজম, মানবতা ইত্যাদির দোহাই দিয়েও বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চালাবে। এদেরকেও ভৎর্সনা করুন। পৃথক করে দিন।
৪) মুসরমানরা এক থাকার সাথে সাথে দৃঢ় থাকারও চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন- কোন একটি ঘটনা ঘটলে মৃত্যু বা রক্তপাত হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে গেলে চলবে না, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। এতে ১০ জনের স্থলে ১০০ জনের লাশ পরতে পারে। কিন্তু এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, মুসলমানদের জনসংখ্যা অনেক বেশি। মনে রাখবেন, এই ১০০ জনের লাশের কারণে ১০ কোটি লোক সেভ হবে। সুতরাং ১০০টি লাশ দেয়ার মনমাসনিকতা থাকতে হবে।
৫) খুব সহজে অন্যের কথায় বিভ্রান্ত হওয়া চলবে না। মনে রাখবেন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মিডিয়া। এই মিডিয়ার কাজ হচ্ছে সবাইকে বিভ্রান্ত করা। এই মিডিয়ার খপ্পর থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।
আপাতত এতটুকুই থাক। আরো কিছু মনে হলে পরে জানাবো। তবে আমার পেইজ যে কোন সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ব্যাকআপ পেইজ খোলা আছে সেটাতে দেখবেন। সেটাও যদি বন্ধ হয়ে যায় আমার ওয়েবসাইট আছে সেটা দেখবেন। সেটাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনেকে ফেক পেইজ খুলে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করবে, সেটা সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। আমি জানি, আমার পেইজ যারা পড়েন, বাংলাদেশের সবচেয়ে সচেতন মুসলিম এবং তাদের জ্ঞান সাধারনের তুলনায় অনেক উচ্চ। আমার পেইজ যদি কোন কারণে নাও থাকে, তবে একটি কথা মনে রাখবেন- দেশ ও জাতির কোন বিপদে আপনাদেরকেই অগ্রগামী ভূমিকায় থাকতে হবে, দায়িত্ব তুলে নিতে হবে নিজ কাঁধে।
======================================
আমার ফেসবুকের মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
-------------------------------------------------------------------------------------------
আমার ফেসবুকের ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
-------------------------------------------------------------------------------------------
-------------------------------------------------------------------------------------------
never stop your mission
ReplyDelete