যে কোন সাধারণ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রংচং দেয়া অ্যাডভোকেট রবীন্দ্রঘোষের কাজ
হিন্দুরা কোথাও নির্যাতিত হচ্ছে, এমন খবর পেলেই ক্যামেরা হাতে হাজির হয়ে যায় অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ। ‘মাইনোরিটি ওয়াচ’ নামক কানাডার একটি সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে সে। ডান হাতে তার লাল সূতা বাধা রবীন্দ্রঘোষকে দেখে স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে, সে হিন্দুদের খবর নিচ্ছে, তাদের আইনী সহায়তা দিচ্ছে এবং হিন্দু নির্যাতনের খবরগুলো মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসছে। কিন্তু বাস্তবে কি হচ্ছে, সেটা হচ্ছে সেটা জানার জন্য আমাদেরকে ২০১৪ সালের ১লা ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরের একটা খবর পড়তে হবে। খবরটির শিরোনাম- “প্রতিবাদকারীরাই পাল্টা মামলার আসামি”। খবরটি ছিলো ঢাকাস্থ নন্দীপাড়া এলাকায় নবম শ্রেণীর ছাত্রী উম্মে কুলসুম ঋতুর আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। শিমুর চন্দ্র বিশ্বাস নামক এক বখাটের যৌন নিপীড়নের স্বীকার হয়ে ঋতু আত্মহত্যা করেছিলো। ঘটনার পর ঐ এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করে। সে সময় রবীন্দ্রঘোষও ঐ এলাকায় যায়। আসুন খবরটি পড়ি-
“খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় ইস্টপয়েন্ট এডুকেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী উম্মে কুলসুম ঋতুর আত্মহত্যার জন্য দায়ী বখাটেদের কোনো শাস্তি হয়নি। বরং প্রতিবাদকারীরাই পাল্টা মামলার হুলিয়া নিয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বখাটে শিমুল চন্দ্র মণ্ডল, তাদের একজন আইনজীবীসহ অপর আসামিরা প্রতিবাদকারীদের নানাভাবে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবাদকারীদের হয়রানি ও ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিসেবে দেখানোর প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানববন্দন করেছেন ইস্টপয়েন্ট এডুকেশনের স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এছাড়া তারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার, খিলগাঁও থানাসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইস্টপয়েন্ট এডুকেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক আল আমিন রকি, ঋতুর মা সাথী আক্তার, ঋতুর ফুফু আমেনা বেগম, এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক, ঋতুর বোন মিতুসহ স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণীর শতাধিক ছাত্রছাত্রী।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইস্টপয়েন্ট এডুকেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক আল আমিন রকি, ঋতুর মা সাথী আক্তার, ঋতুর ফুফু আমেনা বেগম, এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক, ঋতুর বোন মিতুসহ স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণীর শতাধিক ছাত্রছাত্রী।
স্মারকলিপি ও মানববন্ধনে বলা হয়েছে, ৬ সেপ্টেম্বর বখাটের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ার বাসায় আত্মহত্যা করে ইস্টপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী ঋতু। ওই ঘটনায় ঋতুর মা খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় শিমুল চন্দ্র মণ্ডল, তার বাবা রঞ্জন চন্দ্র মণ্ডল, মা মালতী রানী মণ্ডল, আত্মীয় পিন্টু চন্দ্র মণ্ডল ও জয়গোপাল মণ্ডলকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ শিমুলের সহযোগী রফিক, জিয়াদ ও বিল্লালকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। অথচ এজহারভুক্ত একজন আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়নি। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা পলাতক থাকা অবস্থায় সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট ও বাংলাদেশ মাইনোরেটি ওয়াচের সভাপতি রবীন্দ্র ঘোষের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। রবীন্দ্র ঘোষ ঋতু হত্যার প্রতিবাদকারীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন। তিনি বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিসেবে শনাক্ত করার চেষ্টা করেন এবং স্থানীয় হিন্দুদের উস্কানি দেন।
রবন্দ্রীঘোষ প্রতিবাদকারীদের বলেন, আমাকে এই টাকা (১০ লাখ) পরিশোধ না করলে আমি আপনাদের দেখিয়ে দেব আমি কে। কিভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হয় উকিল হিসেবে আমি তা ভালো করেই জানি। স্মারকলিপিতে আরও দাবি করা হয়েছে, এজাহারভুক্ত আসামিরা পলাতক থাকা অবস্থায় রবীন্দ্র ঘোষের আশ্রয়ে ছিল। সে একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক এবং লোভী। সে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলায় ফাঁসিয়ে টাকা-পয়সা আদায় করে। এই রবীন্দ্র ঘোষ নন্দীপাড়া এলাকায় এসে কিছু হিন্দু লোক জোগাড় করে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে, রঞ্জন আপনাদের জাতি ভাই; তার পাশে আপনাদের থাকা উচিত। মুসলমানরা আপনাদের জন্য সব সময় হুমকিস্বরূপ; তাদের পাশে থেকে লাভ নেই। আপনারা মুসলমানদের সঙ্গে প্রয়োজনে সংঘর্ষ করবেন।
আপনাদের যা হয় আমি দেখব। তিনি এলাকায় দাঙ্গা তৈরি করতে চেয়েছেন। এরপর এলাকার গণ্যমান্য কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঋতু আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার আসামি মালতি রানীকে বাদী করে খিলগাঁও থানায় ২৮ নভেম্বর একটি মিথ্যা মামলা করেন। আসামি রঞ্জন মণ্ডল ও মালতি রানী মণ্ডল ঋতুর মা সাথী বেগম ও ফুফু মনিকে বাসায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। বাদী উপায় না দেখে খিলগাঁও থানায় জিডি করেন। মানববন্ধনে আসামিদের নানাবিধ অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে এজাহারভুক্ত আসামিসহ জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
খিলগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঋতু আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর আসামিরা আÍগোপনে থাকে, পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে। এই মামলার তদন্তে পুলিশ কোন ধরনের শিথিলতা দেখায়নি। একটি মহল আসামিদের পক্ষ নিয়ে ঋতুর আত্মহত্যার ঘটনাটিকে হিন্দু মুসলমানের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বলে প্রচার করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তিনি ইস্টপয়েন্ট স্কুলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।”
(http://bit.ly/2zLY0W1, http://archive.is/UHCzo)
(http://bit.ly/2zLY0W1, http://archive.is/UHCzo)
আশাকরি বুঝতে পারছেন, যে কোন সাধারণ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রংচং দেয়া এই রবীন্দ্রঘোষের কাজ। এরপর ক্যামেরা দিয়ে সেই দৃশ্য তুলে বিদেশীদের হাতে তুলে দিয়ে দেশকে বিপদে ফেলে, বিনিময়ে লাভ করে কানাডীয় ডলার।
========================================
-----------------------------------------------------------------------
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
-----------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------
No comments