আমেরিকা রোহিঙ্গাদের উপর চালানো গণহত্যাকে এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি
গতকালকে দেখলাম কেউ কেউ স্ট্যাটাসে বলছে-
“রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে ‘জাতি নির্মূল অভিযান’ বা জেনোসাইড বলছে ট্রাম্প প্রশাসন এবং জাতিসংঘ।......তাই আমেরিকা রোহিঙ্গাদের পক্ষ হয়ে এসে রাখাইন আলাদা করবে ”
“রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে ‘জাতি নির্মূল অভিযান’ বা জেনোসাইড বলছে ট্রাম্প প্রশাসন এবং জাতিসংঘ।......তাই আমেরিকা রোহিঙ্গাদের পক্ষ হয়ে এসে রাখাইন আলাদা করবে ”
যারা এ ধরনের কথা বলছে, আসলে তারা ভুল করছে।
কারণ আন্তর্জাতিক আইনী ভাষায়, জাতিগত নির্মূল অভিজান আর জেনোসাইড এক জিনিস না।
জাতিগত নির্মূল অভিজানকে বলে ethnic cleansing
জেনোসাইড বা গণহত্যা হচ্ছে genocide
এছাড়া আরেকটি শব্দ আছে crimes against humanity
আন্তর্জাতিক আইনী পরিভাষায় এ তিনটি শব্দের ব্যবহার ও প্রয়োগ তিন রকম।
-Crimes against humanity বলতে বোঝায় কোন একটি এলাকায় সকল মানুষের উপর হত্যাকাণ্ড চালানো।
-Genocide বলতে বোঝায়, কোন একটি এলাকায় নির্দ্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর উপর হত্যাকাণ্ড চালানো।
জাতিসংঘ যদি রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতাকে Crimes against humanity বা Genocide বলতো তবে আইন অনুযায়ী মায়ানমারের সরকারের উপর শক্ত ব্যবস্থা নেয়া যেতো এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করা যেতো এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করা যেতো। (http://bit.ly/2hnndvr)
কারণ আন্তর্জাতিক আইনী ভাষায়, জাতিগত নির্মূল অভিজান আর জেনোসাইড এক জিনিস না।
জাতিগত নির্মূল অভিজানকে বলে ethnic cleansing
জেনোসাইড বা গণহত্যা হচ্ছে genocide
এছাড়া আরেকটি শব্দ আছে crimes against humanity
আন্তর্জাতিক আইনী পরিভাষায় এ তিনটি শব্দের ব্যবহার ও প্রয়োগ তিন রকম।
-Crimes against humanity বলতে বোঝায় কোন একটি এলাকায় সকল মানুষের উপর হত্যাকাণ্ড চালানো।
-Genocide বলতে বোঝায়, কোন একটি এলাকায় নির্দ্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর উপর হত্যাকাণ্ড চালানো।
জাতিসংঘ যদি রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতাকে Crimes against humanity বা Genocide বলতো তবে আইন অনুযায়ী মায়ানমারের সরকারের উপর শক্ত ব্যবস্থা নেয়া যেতো এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করা যেতো এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করা যেতো। (http://bit.ly/2hnndvr)
কিন্তু জাতিসংঘ শুরু থেকে মায়ানমারের ঘটনাকে গণহত্যার বিষয়টি এড়িয়ে কৌশলে ethnic cleansing বা জাতিগত নির্মূল অভিজান বলছে। আন্তর্জাতিক আইনী পরিভাষায় ethnic cleansing ব্যবহৃত হয় কোন একটি এলাকা থেকে কোন একটি নির্দ্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীকে তাড়িয়ে দেয়া। Crimes against humanity বা Genocide এর দৃষ্টিতে ethnic cleansing কোন অপরাধ নয়। জাতিসংঘ শুরু থেকে কেন এই ঘটনাকে Crimes against humanity বা Genocide শব্দ দ্বারা অ্যাখ্যায়িত করেনি, এজন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জাতিসংঘের বেশ সমালোচনা হয়েছে। এবং বার্মীজ বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের উপর হত্যাকাণ্ডকে এড়িয়ে গিয়ে তারা মূল বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে হালকা করে ফেলেছে।
অপরদিকে, অতি দুঃখের সাথে বলতে হয়, মোড়ল আমেরিকা রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতাকে Crimes against humanity বা Genocide বলা তো অনেক দূরের কথা ethnic cleansing বলে এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি।
খবর-
-U.S. will not label the Rohingya crisis in Myanmar as ‘ethnic cleansing’ (https://goo.gl/CwPamE)
-U.S. review to confirm Rohingya "ethnic cleansing" (http://cbsn.ws/2zjy4Al)
অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের যে বার্মা থেকে ভাগিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে, এটা এখনও অফিসিয়ালী স্বীকার করেনি আমেরিকা।
-U.S. will not label the Rohingya crisis in Myanmar as ‘ethnic cleansing’ (https://goo.gl/CwPamE)
-U.S. review to confirm Rohingya "ethnic cleansing" (http://cbsn.ws/2zjy4Al)
অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের যে বার্মা থেকে ভাগিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে, এটা এখনও অফিসিয়ালী স্বীকার করেনি আমেরিকা।
অনেকে হয়ত বলতে পারেন,
ইতিমধ্যে আমেরিকা তো হুমকি থামকি দিচ্ছে- “রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে”, “আমরা অবরোধ আরোপ করবো” ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা কেন ?
ইতিমধ্যে আমেরিকা তো হুমকি থামকি দিচ্ছে- “রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে”, “আমরা অবরোধ আরোপ করবো” ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা কেন ?
এটার কারণ হতে পারে- দর কষাকষি। হতে পারে, কোন একটি বিষয় নিয়ে আমেরিকা ও মায়ানমারের মধ্যে দর কষাকষি চলছে। আমেরিকার যদি মন থেকে ইচ্ছা থাকতো, রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু করবে, তবে অন্তত এতদিনে এই ঘটনাকে অফিসিয়ালী ethnic cleansing বা Genocide বলতো, কিন্তু কোনটাই সে বলেনি। সেটা না বলে, হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। অর্থাৎ আমেরিকা বার্মার কাছে কোন কিছু চাচ্ছে, সেটা পেলে তারা হুমকি ধামকি থামিয়ে দেবে। সোজা ভাষায় রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলে বার্মার থেকে কোন স্বার্থ আদায় করতে চাইছে, কিন্তু রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা তার নাই।
উল্লেখ্য, এই ঘটনাকে ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক গণআদালতে “মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলা হয়েছিলো । এবং প্রমাণ সাপেক্ষেই রায় হয়েছে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা, কাচিন এবং অন্যান্য মুসলমান সম্প্রদায়ের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। (http://bit.ly/2zi3nMQ)
এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট-
যে আমেরিকা রোহিঙ্গাদের উপর চালানো গণহত্যাকে এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি, এমনকি তাদেরকে নিজ ভূমি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেনি, সে রোহিঙ্গাদের হয়ে মায়ানমারের সাথে যুদ্ধ করবে, এটা আমার ভ্রান্তি বলে মনে হয়। সুতরাং ভ্রান্তির পেছনে সময় অপচয় না করাই ভালো।
যে আমেরিকা রোহিঙ্গাদের উপর চালানো গণহত্যাকে এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি, এমনকি তাদেরকে নিজ ভূমি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেনি, সে রোহিঙ্গাদের হয়ে মায়ানমারের সাথে যুদ্ধ করবে, এটা আমার ভ্রান্তি বলে মনে হয়। সুতরাং ভ্রান্তির পেছনে সময় অপচয় না করাই ভালো।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
100% Right your post. Thanks a lot
ReplyDelete