শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে সেক্যুালাররা মূলত ইসলামধর্মের বিরুদ্ধচারণ করতে গিয়ে মোমবাতি জ্বালায়
আজকাল বাংলাদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোমবাতি জ্বালানোর একটা কালচার চালু করার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটি বিশেষগোষ্ঠী বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কালচারটি চালু করতে চাইছে, এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু সমস্যা হলো, তারা যে খোলস মানে কথিত সেক্যুলারিজমের খোলসে এ মোমবাতি জ্বালানোর কালচার চালু করতে চাইছে, তা কিন্তু মোটেও কোন সেক্যুলারিজম কালচার নয়, বরং (ইসলামভিন্ন) বিভিন্ন ধর্মগুলো থেকে একটি কালচার।
(১) প্যাগান ধর্ম:
মৃতের জন্য প্রদীপ জ্বালানোর প্যাগান বা মূর্তিপূজকদের একটি বিশেষ প্রথা। এ সম্পর্কে উইকিপিডিয়া বলছে-
মৃতের জন্য প্রদীপ : প্যাগানদের একটা রীতি হলো মৃতের জন্য একটি প্রদীপ দেয়া, যেন মৃতব্যক্তি পরবর্তীতে জীবনে আলো পায়। তাদের বিশ্বাস পরবর্তী জীবনের বেশিরভাগ অংশই হচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন, তাই তারা তাদেরকে আলোকিত করতে এই আলো দেয়া। এই কালচার এশিয়াটিক অঞ্চল থেকে উৎপত্তি, Phoenicia এবং Punic colonies- তেও এই কালচার পালিত হয়, তবে মিশর বা গ্রিসে হয় না। ইউরোপে রোমের অধিনে দেশগুলোতে এই রীতি দেখা যায় । (http://bit.ly/2C4CvgH)
(২) হিন্দু ধর্ম :
দিপাবলী পূজার সময় হিন্দুরা বাড়ি বাড়ি প্রদীপ জালায়। হিন্দুদের দাবি, নিকষ অন্ধকারেই অশুভ আত্মা ও অশুভ শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই এই অশুভ শক্তিকে দুর্বল করতে ঘরের প্রতিটি কোনায় কোনায় বাতি বা প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। (http://bit.ly/2zbWbAH)
(৩) শিখ ও জৈন :
হিন্দু ধর্মের দিপাবলীর দিনটি শিখ ও জৈন ধর্মাবলম্বীরাও পালন করে। তারা এ দিনটিতে মোমবাতি জ্বালায়। (http://bit.ly/2zaRfMh) তবে শিখরা এ দিবসটি নাম দিয়েছে Bandi Chhor Divas । (https://en.wikipedia.org/wiki/Bandi_Chhor_Divas)।
(৪) বৌদ্ধ ধর্ম:
মোমবাতি জ্বালিয়ে পূজা ও ধ্যান করা বৌদ্ধ ধর্মের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। (http://bit.ly/2AXU4jc)
(৫) খ্রিস্টান ধর্ম:
মৃত ব্যক্তির জন্য মোমবাতি জ্বালানো কালচারটা খ্রিস্টানদের একটি বড় কালচার। এ দিবসটি তারা পালন করে All Soul’s Day নামে। খ্রিস্টানরা এ দিবসটি পালন করে ২রা নভেম্বর। খ্রিস্টানদের মধ্যে রোমান ক্যাথলিক, বাইজেন্টাইন ক্যাথলিক, ইস্টার্ন অর্থডক্স, প্রটেস্টান্ট, অ্যাঙ্গলিকানদের মধ্যে এ দিবস পালনের রীতি দেখা যায়। (http://bit.ly/2krGdKg)
(৬) ইহুদী ধর্ম :
মৃতব্যক্তিদের জন্য মোমবাতি জ্বালানোর কালচারটা ইহুদী ধর্মও করে। ইহুদীদের এ অনুষ্ঠানটির নাম Yahrzeit candle । এ সময় ২৬ ঘন্টা মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। (https://en.wikipedia.org/wiki/Yahrzeit_candle)
‘মৃতের আত্মাকে শান্তি দিতে মোমবাতি’
অথবা ‘মৃতকে স্মরণ করে মোমবাতি’
অথবা ‘মৃতকে আলো দিতে মোমবাতি’
এই তিনটি বিষয় ইসলামধর্ম ভিন্ন অন্য ধর্ম বা রিচুয়ালগুলো সমর্থন করে। তাই আজকে যারা শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে মোমবাতি জ্বালাচ্ছেন, তারা কি কাজটি সেক্যুালারিজম পালন করতে গিয়ে করেছে নাকি ইসলামধর্মের বিরুদ্ধচারণ করতে গিয়ে করেছেন, তা নিজ দায়িত্বেই হিসেব করে দেখবেন।
========================================
-----------------------------------------------------------------------
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
-----------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------
No comments