Header Ads

ad728
  • Breaking News

    পান্তা ও ইলিশ নিয়ে আরো দুটি কথা


    আমি আগেই দেখিয়েছি, পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার কালচার শুরু হয়েছে আজ থেকে মাত্র ৩২ বছর আগে (http://goo.gl/PHt4jT) যদিও অনেকে বলে থাকে, বাঙালী সংস্কৃতি হিসেবে পান্তা-ইলিশ চালু হয়েছে, আবার অনেকে বলে থাকে, গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে পান্তা-ইলিশ চালু হয়েছে। কিন্তু আমি বলবো ভিন্ন কথা, যারা কালচারগুলো বাংলাদেশে চালু করেছে, তারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকেই ভারতীয় দূতাবাস থেকে নিয়মিত ভাতাপ্রাপ্ত তথাকথিত সংস্কৃতিবাদী ব্যক্তিত্ব। তারা এমনি এমনি পান্তা-ইলিশ চালু করেনি, তাদের পান্তা-ইলিশ চালুর পেছনে ছিলো দুটো ভিন্ন থিউরী বা বিশ্বাস। আসুন দেখি------
    ) পান্তা থিউরী: চৈত্রের শেষ দিন হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশেষ পূজার নাম হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি। দিন হিন্দু নারীরা স্নান, ব্রত আর উপবাস করে দিন কাটায়। কোন খাবার খেতে পারে না। তাই দিনের ভাত পানি দিয়ে রেখে দেয় এবং পরদিন সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সেটা পান্তা হিসেবে খায়। এখান থেকে আগমণ ঘটে পহেলা বৈশাখের ভোরে পান্তা খাওয়ার থিওরী
    ) ইলিশ থিউরী: বালাদেশে গ্রাম বাংলার মানুষের জন্য ইলিশ খুব সহজলভ্য মাছ কখনই ছিলো না, তাই সেটা গ্রাম বাংলার চিরাচরিত কালচার নয়, কালচার এসেছে ভিন্ন স্থান থেকে। মূলত: চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে মেয়ের জামাইকে দাওয়াত দেয়া হিন্দু ধর্মালম্বীদের একটি পুরাতন ঐতিহ্য। আবার গোড়া হিন্দুরা জামাই সমাদর ইলিশ ভিন্ন করতেই পারে না (জামাইষষ্ঠী পূজার কথা মনে আছে তো ?) ফলে দিন বাসায় অবশ্যই থাকতো ইলিশ মাছের আইটেম। হিন্দু ধর্মালম্বীদের সেই আচার পুরো বাঙালী (হিন্দু + মুসলিম) জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চালু করা হয় পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাওয়ার সংস্কৃতি

    আসলে এটাই নিয়ম, কেউ যখন নতুন কোন সংষ্কৃতি চালু করতে চায়, তখন তার স্বজাতীয় সংস্কৃতি এভাবেই মিথ্যা বলে পুশ করে দেয়। ভারতীয় দূতাবাসের ভাতা খাওয়া সংস্কৃতিবাদীরা সেই মতেই কাজ করেছিলো, বোকা বানিয়ে ছিলো বাংলাদেশী মুসলমানদের

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728