Header Ads

ad728
  • Breaking News

    ভারতের কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিণতি

    ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, ভারতে দুইজন মুসলিম ব্যবসায়ীকে গরু বিক্রির অপরাধে গলায় ফাঁসি লাগিয়ে হত্যা করেছে উগ্র হিন্দুরা। (http://goo.gl/wGEWDk)
    উল্লেখ্য, ভারতের মুসলমানরা ১৯৪৭ সালে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ চেয়েছিলো। যার ফল তারা এখন পাচ্ছে গাছের মধ্যে ঝুলন্ত লাশের মাধ্যমে। আর বাংলাদেশের মানুষ ২০১৬ তে এসে গ্রহণ করছে ধর্মনিরপেক্ষতা। তারা বুঝতেও পারছে না, এই কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহণ করলে বাংলাদেশে প্রশাসনের ঢুকে পড়া হিন্দুরা তাদের নানান উপায়ে নির্যাতনের উপলক্ষ পেয়ে যাবে। তখন গরু খাওয়ার অপরাধে এভাবেই গাছে ঝুলতে হবে মুসলমানদের।
    উল্লেখ্য ১৯২৮ সালে তুরষ্কে এভাবেই ধর্মনিরপেক্ষতা জারি করেছিলো কামাল আতার্তুক পাশা। যার ফলগুলো কেমন হয়েছিলো দেখুন-
    ১) শিশুদের ইসলামী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়।
    ২) ধর্ম মন্ত্রণালয়, মাদরাসা-মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং হজ্জ-ওমরা যাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়।
    ৩) বড় বড় মসজিদগুলোতে নামায বন্ধ করে দিয়ে সেগুলোকে জাদুঘর হিসেবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তুরস্কের সর্ববৃহৎ মসজিদ ‘আয়া ছুফিয়া’কে রূপান্তরিত করেছিলেন সরকারি জাদুঘরে।
    ৪) নারীদের জন্য হিজাব পরিধান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশে তুর্কী পুলিশ রাস্তায় বের হওয়া মুসলিম মহিলাদের ওড়না কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলত।
    ৫) আরবী অক্ষরের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়। আরবীতে কুরআন পড়া, নামাজ পড়া ও আজান দেওয়া নিষিদ্ধ হয়।
    ৬) তুর্কী ভাষা আরবী হরফে না লিখে ল্যাটিন হরফে লিখতে হতো।
    ৭) সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে রবিবারকে নির্ধারণ করা হয়।
    ৮) তুরস্কবাসীকে ভিন্ন ধরণের পোষাক পরতে বাধ্য করা হয়।
    ৮) মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদকে বর্জনীয় ঘোষনা করা হয়।
    ৯) তুরস্কের অধীন আজারবাইজানকে রাশিয়ার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
    ১০) বক্তৃতা এবং বিবৃতিতে নিয়মিত ইসলাম ও ইসলামী পরিভাষাসমূহ নিয়ে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনা করে সেগুলো বর্জনের প্রতি সবাইকে আদেশ-নিষেধ করা হয়।
    ১১) সরকারী লোকদের জামাতে নামায পড়া নিষিদ্ধ হয়।
    ১২) ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী সালাম দেওয়াও নিষিদ্ধ করা হয় । এর পরিবর্তে সুপ্রভাত (Good Morning) বিদায় (Good Bye) ও হ্যান্ডশেক রেওয়াজ প্রবর্তিত হয়।
    ১৩) ইমাম-মুফতীদের পাগড়ি ও জুব্বা পরা নিষিদ্ধ করা হয়।
    ১৪) হিজরী সন উঠিয়ে দিয়ে ইংরেজী সন চালু করা হয়
    ১৬) আরবী ভাষায় নাম রাখা নিষিদ্ধ হয়। এর বদলে তুর্কী ভাষায় বাধ্যতামূলক নাম রাখতে হয়।
    ১৭) আলেমদের প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং আলেমদেরকে প্রজতন্ত্রে শত্রু হিসিবে চিহ্নিত করা হয়। কোন আলেম তার বিরুদ্ধাচরণ করলে তাকে সাথে হত্যা করা হয়। এছাড়া ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে আলেমদের অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করা হয়।
    আপনারা নিশ্চিত থাকুন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেওয়ার পর বাংলাদেশেও একই অবস্থা হবে। মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করে মন্দির বানানো হবে, গরুর গোশত খেলে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হবে, আর সবাইকে ভারতের মত সূর্যপূজা করতে বাধ্য করা হবে।
    আপনি কি সেই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ?

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728