বাংলাদেশের মূল চাবিকাঠি তুলে দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের হাতে, এখন কি হবে ?

আমি জানি, এ লেখার কারণে আমাকে হয়ত আপনারা সাম্প্রদায়িক ভাববেন। কিন্তু কি করবো বলুন, আপনাদেরকে বিপদ থেকে সতর্ক করা যদি আমার অন্যায় হয়, তবে আমার তো কিছু করার নাই।

মনে রাখবেন, প্রত্যেকটি প্রাণী-ই স্বাধীনতা চায়, তবে স্বাধীনতা পাওয়ার পর তা ধরে রাখা কিন্তু আরো কঠিন। ১৯৪৭- এ দেশভাগ হয়েছিলো ভারত-পাকিস্তানে। ভারতের মাটি হিন্দুদের এবং পাকিস্তানের মাটি মুসলমানদের জন্য। বাংলাদেশ ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত, তাই বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিলো মূলত মুসলমানদের জন্যই। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারত চেয়েছিলো তার সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশে স্থায়ী করতে, কৌশলে বাংলাদেশকে করাত্বয় করতে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তায় সেদিন সেটা সম্ভব হয়নি।

অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশের মাটির প্রতি হিন্দুদের লোভ আছে বৈ কি। কিন্তু আপনি যদি বোকার মত ঐ হিন্দুদের হাতে-ই বাংলাদেশের চাবি কাঠি তুলে দেন, তবে তো নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারলেন। কাশ্মীর কিংবা সিকিমে তো ঠিক এই ঘটনাটি ঘটেছিলো। ভারতীয় দালালদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিলো দেশ, যার ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতা হারিয়েছে সিকিম ও কাশ্মীর। এখন বাংলাদেশের মূল মূল চাবিকোঠিগুলো তুলে দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের হাতে। সোজা ভাষায় বলতে, আপনারা বাংলাদেশেরকে তুলে দিচ্ছেন ভারতের হাতে, কারণ এটা চিরন্তন সত্য, হিন্দুরা যতটুকু না বাংলাদেশী, তার থেকে ঢের ভারতীয়। তাই বাংলাদেশের মূল মুল পদগুলো হিন্দুদের হাতে তুলে দেয়ার মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া, যা সত্যিই ভয়ঙ্কর।

আপনি হয়ত বলবেন, “এরকমটাই যে হবে, সেটা আপনাকে কে বললো ??”

উত্তরে বলবো- ৫০ তলা ছাদের রেলিং এর উপরে দাড়িয়ে সাহস পরীক্ষার পক্ষপাতি আমি নই। বাঁচলে বাঁচলাম, কিন্তু পড়লে কিন্তু রক্ষে নেই, তখন আর জীবন কেউ ফেরত দিতে পারবে না। আপনারা এখন হিন্দুদের হাতে বাংলাদেশের মূল চাবি কাঠি তুলে দিচ্ছেন, কিন্তু যদি এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিলীন হয়, তবে কে দায়ি থাকবে ? ফিরিয়ে দিতে পারবেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ??

আমি আবারো বলছি, সময় থাকতে সচেতন হউন। এখন হয়ত আমার কথা হেলাফেলা করছেন, কিন্তু যখন বিপদে পড়বেন, তখন কিন্তু ঠিকই আমার কথা মনে করবেন। হিন্দুদের হাতে বাংলাদেশের মূল মূল দায়িত্বগুলো তুলে দেওয়া হচ্ছে, যা মোটেও ঠিক হচ্ছে না, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান সমাধান করুন, নয়ত বাংলাদেশের কপালে খুব শীঘ্রই বড় দুঃখ আছে, তখন কিন্তু হাজার কেদে-কেটেও কিছু করার থাকবে না। সবাইকে ধন্যবাদ।