বঙ্গ নামের উৎপত্তি
কিছু মানুষকে দাবি করতে দেখলাম, বাংলা নববর্ষকে যদি হিন্দু সংস্কৃতি বলে বাদ দিতে হয়, তবে সকল বাংলা সংস্কৃতিকেই বাদ দিতে হবে, কারণ বাংলা সংস্কৃতি মানেই হিন্দু সংস্কৃতি।
আমার মনে হয়, যারা এ ধরনের কথা বলে, তারা নিরেট মূর্খ ছাড়া কিছু নয়। কারণ বাংলা সংস্কৃতি তো অনেক পরের কথা, এই ‘বাংলা’ শব্দটির মালিকই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নয়, মুসলমানরা।
এ সম্পর্কে ‘বাঙ্গালির ইতিহাস’ গ্রন্থে ডা. মোহাম্মদ হান্নান, গোলাম হোসায়ন সলীম জইদ পুরীর ‘রিয়াজ-উস-সালাতীন’ বই হতে বঙ্গ নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। রিয়াজ-উস-সালাতীন গ্রন্থখানি রচিত হয় ১৭৬৮-১৭৮৮ খ্রিঃ। গ্রন্থটিতে বঙ্গ নামের মুসলিম চিন্তা চেতনা চেতনা ও বাঙ্গালি মুসলমানদের প্রাচীন ইতিহাস লিপিবদ্ধ রয়েছে।
সেখানে বলা হয়- “........ হযরত নূহ (আঃ)-এর আমলে মহাপ্লাবন কোরআন শরীফসহ সকল ধর্মগ্রন্থে স্বীকৃত। মহাপ্লাবনের পর হযরত নূহ (আঃ) , তার স্ত্রী, সন্তানসহ ৮০ জন নর-নারী আল্লাহর হুকুমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বংশ বৃদ্ধিতে নিয়োজিত থাকেন। নূহ (আঃ) এর পরবর্তী বংশধরগণই নতুনভাবে পৃথিবী সাজিয়েছেন। নূহ (আঃ) এর এক পুত্র হাম এশিয়া অঞ্চলে বংশ বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করেন। হামের পুত্র ‘হিন্দের’ নামানুসারে হিন্দুস্থান, সিন্দের নামানুসারে ‘সিন্ধুস্থান’ বা ‘সিন্ধু’ এবং হিন্দের পুত্র ‘বঙ্গ’-এর নামানুসারে বঙ্গদেশ। বঙ্গদেশের বা বঙ্গের সন্তানরা বাঙ্গালি বা বাংলাদেশী হিসেবে সারা পৃথিবীতে পরিচিত লাভ করে। তাহলে বলতে আর বাধা নেই নূহ (আঃ) এর পৌত্র বা নাতির নামানুসারে বঙ্গ বা বাংলাদেশ।.......”
উল্লেখ্য বেঙ্গল ও বাংলা শব্দগুলো এসেছে হচ্ছে ফারসী ‘বাঙ্গালহ্’ থেকে। ‘বাংলা’ শব্দটির প্রথম ব্যবহার পাওয়া যায় ফারসীভাষী মোঘল বাদশাহদের শাসন আমলে ‘আইনী আকবরী’ গ্রন্থে।
সেখানে বলা হয়- “........ হযরত নূহ (আঃ)-এর আমলে মহাপ্লাবন কোরআন শরীফসহ সকল ধর্মগ্রন্থে স্বীকৃত। মহাপ্লাবনের পর হযরত নূহ (আঃ) , তার স্ত্রী, সন্তানসহ ৮০ জন নর-নারী আল্লাহর হুকুমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বংশ বৃদ্ধিতে নিয়োজিত থাকেন। নূহ (আঃ) এর পরবর্তী বংশধরগণই নতুনভাবে পৃথিবী সাজিয়েছেন। নূহ (আঃ) এর এক পুত্র হাম এশিয়া অঞ্চলে বংশ বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করেন। হামের পুত্র ‘হিন্দের’ নামানুসারে হিন্দুস্থান, সিন্দের নামানুসারে ‘সিন্ধুস্থান’ বা ‘সিন্ধু’ এবং হিন্দের পুত্র ‘বঙ্গ’-এর নামানুসারে বঙ্গদেশ। বঙ্গদেশের বা বঙ্গের সন্তানরা বাঙ্গালি বা বাংলাদেশী হিসেবে সারা পৃথিবীতে পরিচিত লাভ করে। তাহলে বলতে আর বাধা নেই নূহ (আঃ) এর পৌত্র বা নাতির নামানুসারে বঙ্গ বা বাংলাদেশ।.......”
উল্লেখ্য বেঙ্গল ও বাংলা শব্দগুলো এসেছে হচ্ছে ফারসী ‘বাঙ্গালহ্’ থেকে। ‘বাংলা’ শব্দটির প্রথম ব্যবহার পাওয়া যায় ফারসীভাষী মোঘল বাদশাহদের শাসন আমলে ‘আইনী আকবরী’ গ্রন্থে।
আরে উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের আর্য বলে দাবি করে থাকে। অথচ আর্যদের মূল বাসস্থান কিন্তু ভারত উপমহাদেশ নয়, এরা এসেছে পারস্য থেকে। সে হিসেবে আর্য বা বর্তমান হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা হচ্ছে বিদেশী, বাঙালী তো নয়ই। তাই ‘বাঙালী সংস্কৃতি মানেই হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংস্কৃতি’ ইতিহাস কোন সূত্রই এ বক্তব্য কখন সমর্থন করে না।
No comments