পার্ঠপুস্তকে নাস্তিকতা শিক্ষা এবং বাংলাদেশের মানুষের নিরবতা
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দেশ ও জাতি নিয়ে চিন্তা করে না।
তাদের বেশিরভাগের চিন্তা হচ্ছে ‘পেটে ভাতে’।
‘পেটে ভাতে’ মানে- “আমার পেটে ভাত আছে, আমি চাকুরী-বাকুরী করছি, আমার সংসার চলছে। ব্যস এর থেকে আর বেশি চিন্তা করে আমার কাজ নাই। দেশে যা মলাই তা ঘটুক, তাতে আমার কি ?”
তাদের বেশিরভাগের চিন্তা হচ্ছে ‘পেটে ভাতে’।
‘পেটে ভাতে’ মানে- “আমার পেটে ভাত আছে, আমি চাকুরী-বাকুরী করছি, আমার সংসার চলছে। ব্যস এর থেকে আর বেশি চিন্তা করে আমার কাজ নাই। দেশে যা মলাই তা ঘটুক, তাতে আমার কি ?”
মানলাম আপনার কিছু না। কিন্তু শিক্ষানীতি করে আপনার সন্তানকে পাঠ্যপুস্তকে যা পড়ানো হচ্ছে তাতে কিন্তু আপনার ভবিষ্যত প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আপনি নিজে ভাবেন- “আহারে আমার কত ভাগ্য আমি মুসলমান।” এই ভাগ্য কিন্তু আপনার ছেলে মেয়ের নাই। এখন যে সিলেবাস পড়ানো হচ্ছে তাতে কয়েক বছর পর আপনার ছেলে মেয়ে নিজেকে আর মুসলিম বলে পরিচয় দিবে না। উল্টো ইসলাম ধর্মকে ঘৃণা করবে। তখন কিন্তু আপনার অহংকার বলে কিছু অবশিষ্ট থাকবে না।
তাই বলছিলাম, কিছু নিয়ে মাথা ঘামান আর না ঘামান, পাঠ্যবই-শিক্ষানীতি নিয়ে ঘামাইয়েন। স্বাভাবিকভাবে দোকান থেকে সন্তানের জন্য যখন বাজার করে আসেন, তখন তো ঠিকই বেছে বেছে নেন, যেন খারাপ কিছু না পড়ে। আবার খাবার কিনে আনলেও টেস্ট করে নেন, যেন বিষাক্ত কিছু না থাকে। তাহলে যে পাঠ্যপুস্তক আপনার সন্তানকে এনে দিচ্ছেন পড়ানোর জন্য, সেগুলোও একটু টেস্ট করে দিয়েন। সেই পাঠ্যপুস্তকগুলো আপনার সন্তানকে নাস্তিক-ধর্মচ্যূত বানিয়ে ফেলছে নাকি খেয়াল কইরেন। মনে রাখবেন, বিষাক্ত জিনিস খেলে আপনার সন্তান বড়জোর মরে যাবে, যদিও সে আজ হইলেও মরতো, কাল হইলে্ও মরতো। কিন্তু বিষাক্ত পড়ালেখা করে সে কিন্তু নাস্তিক হয়ে যাবে, আর নাস্তিককে কিন্তু মারা যাওয়ার মর মুসলমান বলে ডাকা যাবে না, কবর-দাফন করা যাবে না।
হয়ত বলতে পারেন, “এটা তো সরকার দিচ্ছে, আমার কি দোষ, আমার কি করার আছে ?”
আমি বলবো- “অবশ্যই আছে। সরকার যদি ভ্যাকসিনের নামে ভুল ঔষধ দেয়, তবে কি আপনি আপনার সন্তানকে খাওয়াবেন ? তখন তো বলবেন- “না আমার বাচ্চাকে আমি ঔষধ খায়িয়ে মারবো না”। তাহলে এখন কিভাবে ভুল বই দিলে সেগুলো বাচ্চাকে গোগ্রাসে গিলাচ্ছেন। অন্তত প্রতিবাদ তো করতে পারতেন ? কিন্তু সেই নূন্যতম প্রতিবাদটা কোথায় ? সকল অভিভাবক যদি প্রতিবাদ করতো, তবে সরকার এক দিনের মধ্যে বই পরিবর্তন করে সঠিক বই দিতে বাধ্য থাকতো । কিন্তু আপনারা তো নূন্যতম প্রতিক্রিয়া দেখননি। তাহলে হবে কিভাবে, বলুন ?
আমি বলবো- “অবশ্যই আছে। সরকার যদি ভ্যাকসিনের নামে ভুল ঔষধ দেয়, তবে কি আপনি আপনার সন্তানকে খাওয়াবেন ? তখন তো বলবেন- “না আমার বাচ্চাকে আমি ঔষধ খায়িয়ে মারবো না”। তাহলে এখন কিভাবে ভুল বই দিলে সেগুলো বাচ্চাকে গোগ্রাসে গিলাচ্ছেন। অন্তত প্রতিবাদ তো করতে পারতেন ? কিন্তু সেই নূন্যতম প্রতিবাদটা কোথায় ? সকল অভিভাবক যদি প্রতিবাদ করতো, তবে সরকার এক দিনের মধ্যে বই পরিবর্তন করে সঠিক বই দিতে বাধ্য থাকতো । কিন্তু আপনারা তো নূন্যতম প্রতিক্রিয়া দেখননি। তাহলে হবে কিভাবে, বলুন ?
লেখার শেষে আবার ‘পেটে ভাতে’ বাঙালী জাতির কথায় ফেরত আসছি। এ জাতি ৫ টাকা ভ্যাট বাড়ালে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে। বুক পেতে দেয় গুলি খাওয়ার জন্য। কিন্তু ধর্ম বইয়ে কোরআন-হাদীস বিকৃত বানানে লিখলে সেটায় তাদের কিছুই আসে যায় না। সেটা নিয়ে ‘টু শব্দ’ করে না। বরং সেই বিকৃত বানানগুলো মুখস্ত করে নেয় গোগ্রাসে।
হায়রে ! এ ‘কেয়ারলেস’ জাতিকে কে রক্ষা করবে শেষ পর্যন্ত ?
No comments