পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের আদেশ এবং সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা
সম্প্রতি সংসদ থেকে ষোড়শ সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে হাইকোর্ট আদেশ দিযেছে- “সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা যাবে না”।
হাইকোর্টের এই আদেশে ক্ষেপেছে সাংসদরা। এ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী জানান, রায় মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আগামী সোমবারের মধ্যে রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করা হবে।”
(http://goo.gl/GM1zcD, http://goo.gl/okqrtB)
তবে হাইকোর্ট আদেশ দিযেছে- “সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা যাবে না”।
হাইকোর্টের এই আদেশে ক্ষেপেছে সাংসদরা। এ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী জানান, রায় মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আগামী সোমবারের মধ্যে রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করা হবে।”
(http://goo.gl/GM1zcD, http://goo.gl/okqrtB)
চলুন এবার চলে যাই, ৫ম সংশোধনী বাতিল নিয়ে। ১৯৭৯ সালে সংসদ থেকে সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী আনা হয় এবং সংবিধানে প্রবেশ করে ‘আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’। কিন্তু ২০০৫ সালে মুন সিনেমা হলের ঘটনা নিয়ে ৫ম সংশোধনী অবৈধ বলে বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। সেই রায়ের কারণে ২০১১ সালে সংবিধান থেকে চলে যায় ‘আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’, প্রবেশ করে ধর্মনিরপেক্ষতা। (http://goo.gl/wGEvcp)
ষোড়শ সংশোধনীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশ যদি সংসদের কাছে অগ্রহনযোগ্য হয়,
তবে পঞ্চম সংশোধনীর বিরুদ্ধেও হাইকোর্টের আদেশ অগ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত। কারণ সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ উঠে যাবে এটা জনগণের রায় নয়, গোটা কয়েক বিচারকের রায়। যে রায়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন তো হয় না, বরং চরম বিরুদ্ধচারণ হয়। আর যে রায়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আশা আকাঙ্খার বিরুদ্ধচারণ হয় সেটা সংবিধানের অংশ হতে পারে না, এটা খোদ সংবিধানেরই কথা।
তবে পঞ্চম সংশোধনীর বিরুদ্ধেও হাইকোর্টের আদেশ অগ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত। কারণ সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ উঠে যাবে এটা জনগণের রায় নয়, গোটা কয়েক বিচারকের রায়। যে রায়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন তো হয় না, বরং চরম বিরুদ্ধচারণ হয়। আর যে রায়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আশা আকাঙ্খার বিরুদ্ধচারণ হয় সেটা সংবিধানের অংশ হতে পারে না, এটা খোদ সংবিধানেরই কথা।
তাই, পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের আদেশও বাতিল হোক, এটাই বাংলাদেশের ৯৫% জনগণের দাবি।
No comments