‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের ভুল এবং এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক প্রীতিশকুমার সরকারের দায়মুক্তি
ষষ্ঠ শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ে কোরআন হাদীসের আরবী বানান লিখতে ৫৮টি ভুল, একথা শোনার পর এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক প্রীতিশকুমার সরকার দায়ি করেছে স্কুলের ইসলাম ধর্ম শিক্ষকদের। তার কথা হচ্ছে, এতদিন ধরে বইয়ে ভুল ছিলো, কিন্তু শিক্ষকরা কেন সেটা ধরিয়ে দিলো না।
আবার স্কুলের ধর্ম শিক্ষকরা পাল্টা বলেছেন- ‘এতো বড় বড় মাপের মানুষজন বই লেখেন, সম্পাদনা করেন, কীভাবে এতো ভুল থাকে? যোগ্যতর ভেবেই তো শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ওপর বই লেখার মতো গুরুভার দিয়েছেন।’ (http://goo.gl/gM9KQg)
আবার স্কুলের ধর্ম শিক্ষকরা পাল্টা বলেছেন- ‘এতো বড় বড় মাপের মানুষজন বই লেখেন, সম্পাদনা করেন, কীভাবে এতো ভুল থাকে? যোগ্যতর ভেবেই তো শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ওপর বই লেখার মতো গুরুভার দিয়েছেন।’ (http://goo.gl/gM9KQg)
একটি ধর্ম বইয়ে কোরআন হাদীস লিখতে ভুল হয়েছে, একটি দুটি নয় ৫৮টি। এখন এর দায় এনসিটিবি কর্মকর্তারা চাপাতে চাইছে স্কুলের ইসলাম শিক্ষা শিক্ষকদের ঘাড়ে। এখানে শিক্ষকদের দোষ এটাই তারা সারা জীবন শুধু চাকুরী (চাকরগিরি) করেই আসলেন। পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে এতদিন ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের কুশিক্ষা দেওয়া হলো কেন তারা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলেন না ? তাদের বেতন আটকে দিলে তো ঠিকই কাফনের কাপড় পরে প্লেসক্লাবে অনশন শুরু করে দেন। অথচ বই থেকে যে ইসলামী চাপ্টার বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, এর বদলে প্রবেশ করানো হয়েছে হিন্দুত্ববাদ, তারা কেন সেটার প্রতিবাদ করলেন না ? কেন সেটার প্রতিবাদ ফেসবুকে হলো ? কেন ইসলামী দলগুলো এখন শিক্ষানীতি নিয়ে মাঠে আন্দোলন করতে হচ্ছে ? অথচ বিষয়টি তো শিক্ষকদেরই আগে বোঝার কথা ছিলো। শিক্ষকরা শুধু বুঝলেন নিজেদের পেট, চাকরী আর বেতন। এর বেশি তো তারা বুঝতে চাননি। এনসিটিবির হিন্দুগুলো যা ভুল-টুল লিখে দিয়েছে তাই তারা মাছি মারা কেরানীর মত ছাত্র-ছাত্রীদের দিনের পর দিন গিলিয়ে গেছেন।
আসলে, এনসিটিবির হিন্দুত্ববাদীরা চক্রান্ত করে বই ছেপেছে, এখন হাতে নাতে ধরে পড়ে যাওয়ায় তার দায়-দায়িত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে শিক্ষকদের উপর, শিক্ষকরাও চাকুরী বাচাতে চুপ থেকে এতদিন যে ভুল করেছেন তাও প্রমাণিত হলো। তাই শিক্ষকদের উচিত সেই দায় এড়াতে প্রতিবাদ করা। শিক্ষক সমিতিগুলোরই এগিয়ে আসা উচিত পাঠ্য বইয়ে হিন্দুত্ববাদ ও ভুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নিয়ে, প্রতিবাদ করা উচিত এনসিটিবি চেয়্যারম্যান নারায়ন পাল আর প্রীতিশকুমারদের বহিষ্কার করার জন্য। মনে রাখতে হবে- শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের হিন্দু ও নাস্তিক বানানোর কারিগর নয়।
No comments