বাংলাদেশের শিক্ষানীতির মেশিন এবং এদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম

মুনতাসীর মামুন বলেছিলো-
“সার্বিকভাবে সাংস্কৃতিক চর্চা ছাড়া ইসলাম ঠেকানোর আর কোন পথ নেই।” (সূত্র:https://youtu.be/ZU3THiLon8U, সময়: ০:৫০-১:২৫ )

মুনতাসীর মামুনদের সেই বেধে দেওয়া প্ল্যান অনুসারে শিক্ষানীতিতে সংযুক্ত করা হয়েছে ‘কারুকলা ও সুকুমারবৃত্তি’ নামক একটি অংশ। প্রত্যেক ক্লাসে পাঠ্য করা হয়েছে ‘চারু ও কারুকলা’ নামক একটি সাবজেক্ট। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে কথিত সংস্কৃতি চর্চা, ঠেকানো হচ্ছে ইসলামকে।
চারু ও কারুকলা বইগুলো খুলে দেখবেন, সেখানে সেখানো হচ্ছে- মূর্তি-ভাষ্কর্য্য বানানো, শেখানো হচ্ছে- গান-বাজনা, যাত্রাপালা, নাটক-থিয়েটার। ফলে কোন ধার্মীক মাইন্ডের শিক্ষার্থী চাইলেও ধর্মীয় মানসিকতায় থাকতে পারছে না। মুনতাসীর মামুনদের বেধে দেওয়া থিউরী মোতাবেক তাকে বানানো হচ্ছে কথিত সংস্কৃতিমনা, ইচ্ছা-অনিচ্ছায় সরে যেতে হচ্ছে ধর্ম থেকে।

আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি- শিক্ষানীতি হচ্ছে একটা মেশিনের মত। এই মেশিনটাকে এমনভাবে বানানো হয়েছে যেন- এর একদিক দিয়ে কাঁচা মাথার নতুন প্রজন্ম প্রবেশ করে, অন্যদিক দিয়ে ব্রেইনওয়াশ নাস্তিক-ধর্মচ্যূত হয়ে বের হয়। এই শিক্ষানীতির মাধ্যমে আপনার ছেলেমেয়েকে আপনার চোখের সামনেই নষ্ট করা হবে, কিন্তু আপনার কিছুই বলার থাকবে না।

(ছবি- শিক্ষানীতি- ২০১০, পৃষ্ঠা-৪১)