বাংলাদেশকে নিয়ে কথিত সুপার পাওয়ার আমেরিকার ষড়যন্ত্র
আমেরিকা কিন্তু এখন সুপার পাওয়ার নয়। আমেরিকার অর্থনৈতিক ভিত্তি অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে। আমরিকার সুপার পাওয়ারত্ব বলতে শুধু টিকে আছে তার গলাবাজি আর নাক গলানোটুকু। তার গলাবাজি আর নাক গলানোকে পাত্তা না দিলেই হয়। বাংলাদেশের কিছুই করার যোগ্যতা তাদের নেই, যদি না বাংলাদেশ তাকে স্বইচ্ছায় সুযোগ না করে দেয়।
সাম্প্রতিক বাংলাদেশের দু’চারটা নাস্তিক সমকামী মরাতে আমেরিকা যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তাতেই প্রমাণ হয়, তার নূণ্যতম ভ্যালু নেই। এখন রাস্তার কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ তার স্বভাব। কুকুর যেমন সামান্য হাড্ডির জন্য ঘেউ ঘেউ করে চিৎকার করে, তেমনি আমেরিকাও হাড্ডির জন্য চিৎকার করছে।
অনেকে বলে বাংলাদেশের উপর ভারতের প্রভাব আছে। আমি সেটাও মানতে নারাজ। ভারতও বাংলাদেশের কচুটাও উল্টাতে পারবে না। সমস্যা হচ্ছে অন্য যায়গায়। শাসক গোষ্ঠী ভারতের শুধু মৌখিক সমর্থন চায়, এছাড়া রয়েছে কমিশন বানিজ্য, যে সুযোগে বাংলাদেশকে চুষে চুষে খাচ্ছে ভারত। ভারতের সামান্য মৌখিক সমর্থন না হলেও যে কিছু হবে, তাও নয়। কিন্তু তারপরও শাসকগোষ্ঠীর হীনমণ্যতা বাংলাদেশকে ভারতের মুখাপেক্ষী করে রেখেছে।
বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল, সাবলম্বী। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা চললেও বাংলাদেশ যে বিনা বাধায় তরতর করে উপরে উঠেছে, তা সত্যিই আলৌকিক। বাংলাদেশে এখন যে উৎপাদন তাতে সোনার বাংলাদেশকে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশের সেই উন্নয়নের কাজটা কে করবে ? যেই ক্ষমতায় আসে, সেই তো চায় নিজের আখের গোছাতে, লুটপাট করতে, স্বদলবলে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স করতে। দেশের উন্নয়ন তো কেউ চায় না।
বাংলাদেশের মানুষ সত্যিই আজ অসহায়। কবে যে ত্রাণকর্তা এসে উদ্ধার করবে তাদের, শুধু সেই অপেক্ষায়।
No comments