আজিজুর স্যারদের বোরকা বিরোধী আচরণ
আজিজুর স্যাররা চায় মেয়েরা বোরকা খুলে বের হউক, এরপর যদি সমস্যা হয় তবে সাথে একজোড়া সেপ্টিপিন নিয়ে নেবে, কেউ কিছু করলে সেপ্টিপিন ফুটিয়ে দেবে। অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে লাকীর সাথে কুংফু শিখবে। কোন পুরুষ ডিস্ট্রার্ব করলে ‘ইয়াহু’ করে ছেলের গায়ে লাথি মারবে। খুব সোজা। এই হলো বর্তমান আধুনাবাদীদের নীতি। এই অধুনাবাদীরা নিজে নিজে থিউরী আবিষ্কার করে। বাস্তবে যদিও তাদের থিউরীর কোন মূল্যই না থাকুক না কেন।
আসলে বাস্তবে একটা মেয়ে যতই কুংফুু পারুক অথবা সেপ্টিপিন হাতে সাথে নিক পুরুষ মানুষের শক্তির সাথে কি সে পেরে উঠবে ? কখনই না। একজন নারীর শরীরের শক্তি পুরুষের থেকে অনেক কম। এটা তো সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্য, কারো পছন্দ না হলেও মেনে নিতে হবে। ধর্ষক যখন ধরবে তখন কুফকু-টুংফু কিছুই করতে পারবে না।
পৃথিবীকে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয় - আমেরিকা, সাউথ আফ্রিকা, সুইডেন, ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, শ্রীলঙ্কা, ইথোপিয়া, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডে। দেশগুলো নামের দিকে তাকান। এ সব দেশের বুদ্ধি বর্তমানে কথিত অধুনবাদীদের বুদ্ধি থেকে অনেক বেশি। এমনকি বর্তমান অধুনবাদীরা এসব দেশে যেতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করে। কিন্তু ঐ সব দেশ কিন্তু সেপ্টিপিন আর কুফফু দিয়ে নারী ধর্ষণ থামাতে পারেনি। লক্ষনীয় যে এ সব দেশের মধ্যে কিন্তু একটিও মুসলিম রাষ্ট্র নাই।
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে অমুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ধর্ষণের হার বহুগুন বেশি। তারমানে সঠিক ধর্মচর্চা অবশ্যই ধর্ষণকাণ্ড কমাতে পারে। কিন্তু সেই চর্চা বাদ দিয়ে, বোরকা খুলে অস্ত্র হাতে মাঠে মানিয়ে দেওয়ার অর্থ কি নারীকে আরো বিপদে ঠেলে দেয়া নয়? সৃষ্টি যখন সৃষ্টিকর্তার থেকে বেশি বুঝতে শুরু করে, তখন সৃষ্টির জন্য তা ভয়ানক বিপদের কারণই বটে।
No comments